করোনার থাবা গ্রাস করেছে গোটা বিশ্বকে। তটস্থ গোটা দুনিয়া। কোনো কোনো দেশের অবস্থা রীতিমতো শোচনীয় আর সেই আশঙ্কাতেই জনজীবন বিপর্যস্ত। ভারতে এই রোগের আক্রমণের খবর তুলনামূলকভাবে কম কিন্তু ভয় মনের অন্দরমহলে দানা বেঁধে থেকেই যাচ্ছে। ভারত ও তাই রীতিমত সতর্কিত। নবান্নে বৈঠক করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত স্কুল, কলেজে ছুটি ঘোষণা করেছেন। রাস্তাঘাট, অফিস, কলেজ, বিমানবন্দর এমনকি টালিগঞ্জ স্টুডিও পাড়া কার্যত ফাঁকা। ডাক্তারদের নির্দেশ, ঘন ঘন করে সাবান দিয়ে নিজের হাত পরিষ্কার রাখুন, আক্রমণের সম্ভাবনা থাকলে মাস্ক ব্যবহার করুন, প্রয়োজনে সাবানের বিকল্প হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। আর এখানেই যত বিপত্তি, করোনা আতঙ্ক তুঙ্গে উঠতেই কালোবাজারির ছোঁয়া লেগেছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর বাজারে। অধিকাংশ লোক দোকানে খোঁজ করে কার্যত খালি হাতেই ফিরছেন – কোথাও স্টক শেষ, কোথাও বিকোচ্ছে চড়া দামে।
এই অবস্থায় উপায় একটাই – একেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এটি তৈরিতে মূলত প্রয়োজন অ্যালকোহল, কার্বোপোল জাতীয় পলিমার, অ্যালোভেরা জেল ( বা পরিবর্তে গ্লিসারিন ) আর সামান্য সুগন্ধি তেল। বানিজ্যিক ভাবে প্রস্তুত ( বাজারে যে ধরনের বিক্রি হয়) মূলত এই গুলি দিয়েই বানানো হয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিন্তু কার্বোপোল জাতীয় পলিমার সহজলভ্য নয়, তাই না ব্যবহার করলেও চলবে। সুগন্ধি তেলের প্রয়োজন আকর্ষণীয় গন্ধ দানের জন্য – এটিও ঘরোয়া পদ্ধতিতে না ব্যবহার করাই শ্রেয়। মধ্যবিত্ত ঘরে অ্যালোভেরা জেল না থাকলেও গ্লিসারিন মোটামুটি সহজলভ্য। বাজার থেকে ভালো গ্লিসারিন কিনলেই চলবে। প্রসঙ্গত বলে রাখি বিশ্ব স্বাস্থ্য নিয়ামক সংস্থা ( WHO) এর নির্দেশিকা অনুযায়ী কোন পলিমার জাতীয় যৌগ এবং সুগন্ধীর উল্লেখ নেই, তবে সেক্ষেত্রে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড নামক একটি জীবাণুনাশকের উল্লেখ আছে যা খুব স্বল্প মাত্রায় ব্যবহার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু এই বিশেষ জীবানুনাশকটি খুবই অল্প পরিমানে প্রয়োজন হয় এবং চারিত্রিকভাবেও এটি খুব সৌখিন কারণ সঠিকভাবে শীতল পরিবেশে রক্ষণাবেক্ষণ না করলে এটি নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া সহজলভ্যতা এবং দামের দিকেও বিষয়টি লক্ষ্য দিতে হবে। মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত ঘরের পাঠকদের কথা খেয়াল রেখে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড বাদেই স্যানিটাইজার বানানোর পদ্ধতি বর্ণিত হল।
যে কোন ওষুধের দোকানে বা অনলাইনে পাবেন ইথাইল অ্যালকোহল অথবা আইসো প্রোপাইল অ্যালকোহল।
একটি পাত্রে দুই কাপ অ্যালকোহল নিন, তাতে তিন চামচ ( বড়ো চামচ ) গ্লিসারিন দিন। বাড়িতে ব্লেন্ডার থাকলে ভালো, ব্লেন্ডার দিয়ে ধীরে ধীরে মেশান। ব্লেন্ডার না থাকলে চামচ দিয়ে ধীরে ধীরে একই গতিতে একই অভিমুখে গোল করে মেশাতে থাকুন। প্রসঙ্গত, যদি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড (বহু মেডিকেল স্টোরে পাওয়া যায়) জোগাড় করতে পারেন, তবে অ্যালকোহলে গ্লিসারিন মেশানোর পূর্বে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মেশাতে পারেন। যদি জোগাড় করতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে শুধু অ্যালকোহল ও গ্লিসারিন এই কাজ চালানো যাবে কারণ অ্যালকোহল নিজেও খুব ভালো একটি জীবানুনাশক। ভালোভাবে মিশ্রণ তৈরি হলে একটি কৌটোতে ঢেলে ভালোভাবে মুখ বন্ধ করে দিন, প্রয়োজন মত ব্যবহার করুন। তবে এটি সম্পূর্ণ ঘরোয়া পদ্ধতি, এই দুঃসময়ে কাজ চালিয়ে নেওয়া যেতে পারে এভাবে সহজেই।
ধন্যবাদ, বন্ধু। তুমি বিপদের বন্ধু।
Important information.
Very informative. Could you please share the information in English so that we can share with non bengalees?
ডাক্তারবাবু আপনার এই পোস্টটি কি ফেসবুকে শেয়ার করতে পারবো? যদি অনুমতি দেন, তাহলেই করবো, নাহলে নয়।
করুন, আর আমি ডাক্তার নই।
I thanks you for homemade sanetijar hand wase. how to make. I want to say if you seriously show. TV channel for all our cuntrie.