নিজের পুত্র ভাবতেই সাধ হয় ওদেরকে। ফেসবুকের এই Tushnik, Sabyasachi, Aindril, Smaran আর অন্য বয়সে ছোটো ডাক্তারদের । একথা প্রকাশ্যে বলতে সাহস পাই না। যদি অন্যতর অভিযোগ উঠে পড়ে। সেই একবার কন্যা পাতিয়ে যা কেলেঙ্কারি বাধল। তবু সন্তানসম নয়, “সন্তান”ই মনে করি এদের।
…বলে বলুক লোকে, মানি না মানি না, কলঙ্ক আমার ভালো লাগে।
তো এই সব্যরই একটা লেখা পড়ে অ্যাক্কেরে যাকে বলে মোহিত হয়ে গেছি। লেখাটা হোলি নিয়ে। তৎসংক্রান্ত ভাষা বৈচিত্র নিয়ে।
আজই, এই একই বিষয় নিয়ে যদিও নয়, ফেসবুক ফেরাল ঐন্দ্রিলের অন্য একটা লেখাও।
সব্য আর ঐন্দ্রিল এরা দুজনই আমার তিরিশ বছরের ছোটো। সেই কবে ফেলে আসা আমার বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রীটের হোস্টেলে এরা দুজন একে অন্যের রুমমেট ছিল। একই রুমে দু দুজন এই মাপের লেখক। কী কাণ্ড!
এদের লেখা, পড়লেই বোঝা যায় স্বাদে ও গন্ধে, ভাষা আর শব্দ ব্যবহারে এরা সম্পূর্ণ আলাদা। তা সে আলাদা হতেই পারে! সর্ষে-পোস্ত দিয়ে রাঁধা সজনে ডাটা আর পনির কালিয়ার স্বাদ কি এক হতে পারে? হয় কখনও? আমি কিন্তু দুটোই চাখি। তারিয়ে তারিয়ে।
সব্য লিখেছে দোলের দিনের নাইট ডিউটির অভিজ্ঞতা। পড়তে পড়তে নিজের সেই অনতি অতীত তিক্ত মধুর দিনগুলো মনে পড়ে গেল।
সব হাসপাতালেই আমার বা আমার গিন্নির মত এই রকমের ছাই ফেলতে ভাঙা কুলো লাগে। যে কোনও তথাকথিত উৎসবের বা ঝামেলার দিনে কাজ করার জন্য স্পেসিফিক দুএকজনকে বলি দেওয়া হয়। দুর্গাপুজোয় অষ্টমীর দিনে কে ডিউটি করবে, কালীপুজোর নাইটডিউটি কে করবে, কিম্বা হোলি-দোলের মাতাল কণ্টকিত নাইট? রোস্টার বানানোর কর্তা-কর্ত্রী(মানে প্রভাবশালীরা) জানত, স্ট্যান্ডার্ড উত্তর একটাই।
আর তাছাড়া অজুহাতটাও মানে অজুহাতগুলোও ছিল মোক্ষম।
– ও তো নাস্তিক। লক্ষ্মীপুজোর ও কী জানে?
কিম্বা
– ওই শালাকে ভাইফোঁটা কে দেবে, কেনই বা দেবে?
– ও নিজের ধম্মোই মানে না, ওর আবার ইদ-ক্রিসমাস কী?
বন্ধ্ কিম্বা তেমন কোনও ঝামেলার দিনে,
– বস, তোমার তো অনেক চেনা জানা। স্কুটারে চলে এসো কোনও গতিকে। এই ডিউটিটা করা তোমার মত ওস্তাদের বাঁ হাতের খেলা।
অথবা,
– তুমি তো কোয়ার্টারে থাকো দিদি। এই জন্যেই তো কোয়ার্টারে রাখা তোমাকে।(যেন হাউসরেন্ট না পাওয়াটা কোনও ব্যাপারই না। হতভাগা সুপারও বাড়ি থেকে আসা যাওয়া করে হাউসরেন্ট নেয় নির্লজ্জের মত।)
সে যাক, মোটমাট এই সব ঝামেলার ডিউটি করতে হয় পোলট্রির এই মুর্গিদের। সর্বত্রই এই মুরগিরা ছিল আছে থাকবে।
ঝুলি উপুড় করেই সেই সব দিনের কয়েকটুকরো বলি।
আমাদের গ্রুপ ডি স্টাফ শ্যামাদা। শ্যামাদা আবার ড্রাইভিং জানতেন। অফ ডিউটি থাকলে সেই সময়ে পার্ট টাইম ড্রাইভারি করতেন। কথাও বলতেন সেই ড্রাইভারের ভাষাতেই। উনি ডিউটি করতেন খুব ভালো। সেলাই ফোঁড়াই, মায় পার্টি ম্যানেজমেন্ট… সব কিছুতে এক্সেলেন্ট।
ওঁর নিজের ভাষাতেই, – স্যার আমি ফুল ট্যাঙ্কি না করে রাস্তায় গাড়ি নামাই আনা। নিজেও ফুল ট্যাঙ্কি না করে ডিউটিতে নামি না।
আমি কিন্তু শ্যামাদাকে মদ খেতে খুব বারণ করতাম।
সেবার দোলের রাতে হাজার মাতালের ভিড়ে একটি রত্ন এলেন এমারজেন্সিতে। নিজে আসেনি। রোঁদে বেরুনো পুলিশেরা এনেছে। হয় তো দক্ষিণা দিতে পারেনি। নইলে নিছক জনসেবায় উদ্বুদ্ধ পুলিশ। মোটামুটি তারা গ্যারেজ করে দিয়ে কেটে পড়েছে তৎক্ষনাৎ। এই বারে সেই ভিআইপি (বাঃ, ভিআইপি তো বটেই, মহামান্যকে সরকারি পুলিশের গাড়ি পৌঁছে দিয়েছে না!) পেশেন্ট পুরো এমারজেন্সিকে তছনছ সন্ত্রস্ত করে তুলেছে। এই সে রেরে করে ঝাঁপিয়ে শঙ্করদা’র ড্রয়ারে লুকোনো জলের বোতলে চুমুক দিচ্ছে, পরমুহূর্তেই স্ট্রেচারে শোয়ানো মাথায় স্টিচ করা পেশেন্টকে স্ট্রেচার থেকে নামিয়ে সেখানে শোবার তাল করছে। আর মুখ দিয়ে যে অনর্গল লাভাস্রোত বেরুচ্ছে, এককথায় অতুলনীয়।
এক অক্ষরের বাঁ.. থেকে শুরু করে পাঁচ অক্ষরের মা** *দ, এই সব চেনা জানা খিস্তি শুধু নয়। ভারি ইনোভেটিভ এই মাতালশ্রী(মতান্তরে মাতাল-বিভূষণ)টি।
তাকে সামলাতে সামলাতে এই সব খিস্তি শুনে মনে হচ্ছিল এক রাতেই সাবালকতর হয়ে গেলাম বেশ কিছুটা।
বিরক্তির শেষ সীমা পেরিয়ে গেছে বেশ কিছুক্ষণ, এমন সময় এমারজেন্সি রুমের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল শ্যামাদা’। তার এখন ডিউটি না। বাইরে থেকে কোয়ার্টারে আসছিল। গণ্ডগোলের আওয়াজ শুনে ভেতরে ঢুকেছে। হাজার হোক, গার্জিয়ান বলে কথা!
কী বলব, শ্যামাদা’কে দেখেই সেই সম্মাননীয় উৎপাতকারী একেবারে জিভ টিভ বার করে সাষ্টাঙ্গ প্রণিপাত! – মুঝে মাফি কর্ দো ওস্তাদ। পাতা নহি থা, ইধার তুমহারা ঘর…
এই না বলে নিজের কানটান মুলে সে যা করল,, পুরো এমারজেন্সি মুহূর্তের জন্য স্তব্ধ বাক। সেই এক স্তব্ধ মুহূর্তের পরই সমবেত পেশেন্টদের অভিযোগের আকাশপ্রমাণ ঢেউ আছড়ে পড়ল। শ্যামাদার এজলাসে। শ্যামাদা সবার কথা একসঙ্গে শুনল।
শুনে ঢুলুঢুলু তাকালো সেই উৎপাতকের(আজ্ঞে হ্যাঁ, উৎপাদক নয়, উৎপাত যে করে, উৎপাতক) দিকে।
তার না বলা তিরস্কারের দৃষ্টিতে যা লেখা, তা হল, এ কী সত্য সকলই সত্য, হে আমার চিরভক্ত?
– চল বেটা, ঘর চল
শ্যামাদা আদেশ করতের বেটাচ্ছেলে গুটিগুটি দরজার বাইরে।
শ্যামাদাও সশিষ্য চলে যাচ্ছিল। কী ভেবে আবার ঘুরে দাঁড়াল।
দৃঢ় প্রত্যয়ের গলায় আমাকে আর শঙ্করদা কে বলল, – দেখছেন তো স্যার, আপনারা বারণ করলেও কেন খাই…? এই আপদগুলো আমায় চিনবে, তবেই না এদের সামলাবো। আমি মদ না খেলে চলবে? আপনাদের কথা ভেবেই খাই স্যার!
এর পরের কাহিনি হাওড়া হাসপাতালের। গাড়ি করে গেছি নাইট ডিউটিতে। কালিপুজোর নাইট। আর এক অন্যরকমের বীভৎসতা কালিপুজোর সেই নাইটে। নেশা, অ্যাকসিডেন্ট সেই সঙ্গে বাজি পটকার বার্ন ইনজুরি।
খালি ওখানে বলে না সব হাসপাতালে… সর্বত্রই। তো একটা মাথা ফাটা কেস এল। সেই স্ক্যাল্প ইনজুরি রিপেয়ার করার জন্য রেফার করেছে মাত্রই কয়েক কিলোমিটার দূরের টি এল জয়সোয়াল থেকে। তা সেই ইনজুরি সেলাই হল যথাকালে। কাজটা করল সঞ্জয়। মাঝে ডেকে একবার দেখিয়েও নিল ঠিকঠাক হচ্ছে কি না। এসে চেয়ারে বসার পর খুব আক্ষেপ হল। কেন?
তার আগে বলে নিই সঞ্জয় কে? ও আমার বাড়ির তৎকালীন ড্রাইভার। শিক্ষিত ছেলে। পরে পরীক্ষা দিয়ে ফায়ার ব্রিগেডে চাকরি পেয়ে এখন মস্ত পোস্টে রয়েছে।
খুব উদ্যমী ছেলে। শেখার খুব আগ্রহ। আমার সঙ্গে হাওড়া হাসপাতালের ডিউটিতে এসে অবধি ভারি যত্নে এমারজেন্সির কাজ শিখেছিল। সেলাই ব্যান্ডেজ স্টমাক-ওয়াশ।
হ্যাঁ, যা বলছিলাম। সেই আক্ষেপের কথা।
যে গাড়িতে করে পেশেন্ট এসেছিল তার ড্রাইভারকে ডেকে বললাম, – হ্যাঁ গো, এমন পেশেন্টই আনলেন, তার সেলাই আমার ড্রাইভার অবধি করে ফেলল?
সত্যিই খুব আক্ষেপ হল। সরকার আস্ত একটা হাসপাতাল পুষছে। সেখানে কাজের কাজ তো হলই না উলটে সরকারি তেল পুড়িয়ে এখানে! জয়সোয়ালের
ড্রাইভার ভদ্রলোক খুব অমায়িক। পুরো কান এঁটো করা এক হাসি হেসে বললেন, – স্যার আমাদের এরিয়াটা তো চেনেন। চেনেন না? এই কালী পুজোর রাতে হাসপাতালের সব স্টাফ মাল খেয়ে আউট। শুধু আমি আর ডাক্তারবাবু স্যার বাদ। সেই জন্যেই তো!
মানে শুধু পেশেন্ট না। একটা গোটা হাসপাতাল নেশায় ফিদা!
জীবন, তুই আশ্চর্য ম্যাজিক জানিস।
এবং সেই ম্যাজিকের শেষ নেই। অনিঃশেষ ম্যাজিকের শেষ গল্পটা আপনাদের সমীপে পেশ করি।
সেই রকমেরই এক হোলির ডিউটি। স্থান কাল পাত্র পালটে যায়। কিন্তু একই রকম ডিউটিতে একই রকম মাতাল কণ্টকিত গল্প রিপিট হচ্ছে। এমন সময় সবাইকে সচকিত করে এমারজেন্সিতে ঢুকল এক চেনা চরিত্র।
ক্যালকেটিয়া ডোম। নামটা অদ্ভুত। ওদের মধ্যে এই রকম নাম চলে। কলকাতায় জন্ম হয়েছিল ওর। চল্লিশ বছর আগে। বাড়ির লোক কৃতজ্ঞ চিত্তে নাম রেখেছে ক্যালকেটিয়া। বাঙালিদের মধ্যে এই কৃতজ্ঞতা দেখিনি। নেপাল কান্ত, বৃন্দাবনচন্দ্র বা বিহারীলাল জাতীয় নাম আগে রাখা হত বটে, আজকাল ক্রনশই বিরল এই জাতীয় নাম। আর অন্য কোনও নাম তো শুনিই নি জায়গার নাম দিয়ে। যেমন ধরুন চেন্নাই চট্টোপাধ্যায় বা বেঙ্গালুরু বসু।
আমি ক্যালকেটিয়াকে কখনও বলতাম কালকেতু।
ক্যালকেটিয়ার গল্পে ফিরি। সে এই হাসপাতালেরই সুইপার। ওর কিন্তু আজ ডিউটি না। আগের থেকে ছুটি করে রেখেছে ভালো করে হোলি খেলবে বলে।
এখন এই রাতে ওকে আর ওর বউকে ধরাধরি করে নিয়ে এসেছে জগপাল বাল্মিকী আর অন্য কিছু দেশোয়ালি বন্ধু। এমারজেন্সিতে রোগী সমেত সবাই মাতাল। কাজেই ভাষাবিন্যাস পুনরুক্তিদোষের ভয়ে সেগুলো আর দেওয়াা হচ্ছে না। ক্যালকেটিয়া দম্পতিও পেশেন্ট।
ব্যাপার যা তা। ক্যালকেটিয়া আর ওর বউ দুজনেই আক্ষরিক অর্থে হোলি খেলেছে। গা মাথা রক্তে মাখামাখি। তারপরেও একে অন্যের দিকে আঙুল তুলে অশ্রাব্য গালিগালাজ করে চলেছে। মিসেস ক্যালকেটিয়া মানে এতোয়ারির তারস্বর ক্রন্দন সহ অভিযোগ, তার মরদ কেন রুকমিনী নামের পড়শিনী যে আদতে রেন্ডিই, তাকে রঙ দিয়েছে। শুধু রঙই দেয়নি। জাপটেও ধরেছিল। তাই সে ওই পাপীর মাথায় খুন্তি দিয়ে মেরেছে। বেশ করেছে। খুন নিকলা। আভি খতম কর দেগা।
ক্যালকেটিয়া ছেড়ে দেবার পাত্র না। এমনি দিনেই সে এতোয়ারিকে পেটায়। আজ আবার বউ তার গায়ে হাত তুলেছে। তাই সে বুনো শুয়োরের মত তেড়ে গিয়ে চেলা বাঁশ দিয়ে এতোয়ারির মাথা ফাটিয়েছে।
আবার চেঁচিয়েমেচিয়ে নিজের এক্সকিউজ গাইছে।
সে নাকি মোটেই রুকমিনীকে রঙ মাখাতে চায়নি। মাখাতে চেয়েছিল শাকিলাকে। চিনতে ভুল হয়েছে। মালের ঘোরে এটুক হেরফের তো হতেই পারে। না কি ডাক্তারসাব?
হতভাগা খেয়ালই করছে না, এই বক্তব্য আরও মারাত্মক। শাকিলাও অন্যের জরু, পরস্ত্রী। তা ছাড়া নাম শাকিলা বলেই অন্য সামাজিক সমস্যাও হতে পারে।
দুজনে দুজনকে যথেচ্ছ আঁচড় কামড় কিল ঘুষিও কষিয়েছে। তায় আবার এই অঞ্চলে হোলিতে কাদা ড্রেনের জল এসবেরও প্রচলন। দুজনের গা সেই সব নোংরাতেও আবৃত। মানে এই মুহূর্তে এমারজেন্সি ঘরে রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ তদুপরি শব্দেরও এক আজব ককটেল। পুরো ম ম করছে।
অন্যদের সাহায্য নিয়ে দুজনকে ধরে বেঁধে সাফ সুতরো করা হল। উন্ডে ইনফেকশন অনিবার্য। তবু যতটা সম্ভব। নেক্সট একঘণ্টা আমি আর গ্রুপ ডি নারায়ণ, অতিকষ্টে সেলাই ব্যান্ডেজ সারলাম।
দুজনেই ব্যস্ত থাকায় ইতিমধ্যে পেশেন্টের সংখ্যা বেড়ে চারগুণ। সব কটা মাতাল। আর দেরি হচ্ছে বলে তেড়ে মা-মাসী করছে আমাকে আর নারায়ণকে।
ব্যান্ডেজ মোড়া এতোয়ারি হঠাৎ তেড়ে গেল ওদের দিকে। আবে বাহেঞ্চো… এই স্যার আমার বাপ য্যায়সা। সব শালার জিভ উপড়ে নেব।
ক্যালকেটিয়াও পারসোনাল ইস্যু ভুলে বউএর সঙ্গে তারই পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের রক্ষাকর্তা তখন। আর মাতাল যখন রক্ষাকর্তা, সে যে কী বিপদ।
চলে যাবার সময় এতোয়ারি, ব্যান্ডেজ বাঁধা মুখে আর মাথাতে বিরাট করে ঘোমটা চাপিয়ে, কোথাও কিছু নেই, হঠাৎ করে প্রণাম আমাকে। আমার লাজুক পার্বতীর চোখে তখন নেশাতুর এক সলজ্জ হাসি।
আর তার শিব, ক্যালকেটিয়া? নাঃ, প্রণামটনাম নয়।সে অত নীচু হতে শেখেনি। তা ছাড়া এতোয়ারির চেয়ে শিক্ষিতও বটে। ক্লাস এইট পাশ।
বিজয়গর্বে শিব তার পার্বতীকে নিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। মাথায় শরীরে ব্যান্ডেজের শিরোপা। দরজার কাছে পৌঁছে ক্যালকেটিয়া কী ভেবে একগাল হেসে আমার দিকে ফিরে, ওই মাতাল গলাতেই যদিও, বলল, হ্যাপ্পি হোলি স্যার!
গলা জড়াজড়ি করে চলে গেল আমার শিব-পার্বতী। ক্যালকেটিয়া গাইছে, রঙ দে চুনারিয়া।
এতোয়ারি? সে ও মাতাল গলায় জড়িয়ে জড়িয়ে গাইছে কী যেন একটা হোলিরই গান…
বাইরে নিশ্চয়ই ওদের ভিজিয়ে দেবে পূর্ণিমা চাঁদ থেকে চুইয়ে পড়া জ্যোৎস্না!
★