করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক্তাররাই আমাদের ভরসা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারাই আমাদের সুস্থ করতে রাতদিন কাজ করছেন। কিন্তু এই মহামারীর সময়ে তাদের জীবনের ঝুঁকিই থাকছে সবচেয়ে বেশি। কারণ সরাসরি তারাই রোগীদের সংস্পর্শে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় তাদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট বা পিপিই।
কিন্তু গোটা দেশের তথ্য বলছে, অপ্রতুল এই পিপিই। কাজেই রক্ষাকবচ ছাড়াই কাজ করতে হচ্ছে ডাক্তারদের। মৃত্যুর পরোয়ানা সঙ্গে নিয়েই ঘুরতে হচ্ছে তাদের।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে প্রায় এক কোটি ৭০ লক্ষ পিপিই-র অর্ডার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু শনিবার পর্যন্ত সরকারের হাতে এসেছে মাত্র ৫৫৯৯০ টি পিপিই। যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই মুহূর্তে ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ব্যবহারের জন্য পিপিই-র কোনো অভাব নেই। প্রায় প্রতিদিনই নিয়ম করে সরকারের অর্ডার করা পিপিই আসতে শুরু করেছে। এবং বিভিন্ন রাজ্যের প্রয়োজনমতো তা নাকি পাঠিয়েও দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু এরপরেও প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। ভারতের একটা বিশাল দেশ যেখানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ছে দ্রুতগতিতে। এই অবস্থায় যারা মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজ করবেন তারাই এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নন। আর সে কারণেই ভয় আরো বাড়ছে।
যদিও কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আশ্বস্ত করা হচ্ছে, পিপিই, মাস্ক ও গ্লাভসের জন্য দেশি ও বিদেশি মিলে ত্রিশটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সব জায়গায়ই সরকারের অর্ডার পূরণের জন্য কাজ চলছে। এবং ধীরে ধীরে এগুলি আসতেও শুরু করেছে। তাই এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কিছু নেই, সরকারের বক্তব্য।