৬ ডিসেম্বর ২০২২
ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা যে আন্দোলন করছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ শে নভেম্বর ২০২২ কলেজের প্রিন্সিপাল ও ভাইস প্রিন্সিপাল-এর স্বাক্ষর সম্বলিত এক আদেশ বার করে কর্তৃপক্ষ, বলা হয় ২২,শে ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে।
নির্বাচনের প্রস্তুতি সব তরফেই চলছিল এমন সময় গতকাল ৫ই ডিসেম্বর রোগী কল্যাণ সমিতির প্রধানের অঙ্গুলি হেলনে ইলেকশন কন্ডাকশন কমিটি ঘোষণা করে যে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে না।
ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রীরা ইলেকশন কন্ডাকশন কমিটির সদস্যদের ঘেরাও করে। ভীতি প্রদর্শনের জন্য শাসকদলের ৩০-৪০ জন গুন্ডার বাহিনী কলেজ চত্বরে গালাগালি দিতে দিতে ঘুরে বেড়ায় কাল রাতে।
আজ সকালে কিছু নার্সিং স্টাফ নার্সিং সুপারকে মুক্ত করতে ঘেরাওরত ছাত্রদের মাড়িয়ে প্রিন্সিপালের ঘরে ঢোকেন। আহত দুই ছাত্র হাসপাতালে ভর্তি।
এরপর আসরে নামানো হয় শাসকদলের অনুগত জিডিএ দের। তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকে যে এই আন্দোলনের জন্য নাকি রোগীদের পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে, ল্যাবরেটরীতে সই করার লোক নেই, অপারেশন এবং অন্যান্য পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। তারা ভুলে গেছিলেন যে ল্যাবরেটরি রিপোর্টে ইনচার্জের সই লাগে না আর হাসপাতালে পরিষেবা দেন মূলত ইন্টার্ণ, হাউস স্টাফ, পিজিটি ও সরকারি ডাক্তাররা, তারা কিন্তু আন্দোলন করছেন না।
নার্স এবং জিডিএ-দের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ছাত্র-ছাত্রীরা অবস্থা সামাল দিয়েছেন। কিন্তু শাসক দল নতুন নতুন আক্রমণ শানাবে।
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ওয়েস্ট বেঙ্গল গণতন্ত্রের পক্ষে। মেডিকেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক এমনটাই জয়েন্ট প্লাটফর্ম চায়।
মেডিকেল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের ন্যায্য আন্দোলনের পাশে জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম ছিল এবং থাকবে।
স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে জয়েন্ট প্লাটফর্মের আবেদন মেডিকেল কলেজে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ফিরিয়ে আনুন, ছাত্র-ছাত্রীদের যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তা অনুযায়ী ২২শে ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।
ডা পুণ্যব্রত গুণ
ডা হীরালাল কোঙার
যুগ্ম আহ্বায়ক
জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস, ওয়েস্ট বেঙ্গল
সংযোজন
যেভাবে আজ ছাত্রদের উপর চড়াও হলেন শিক্ষকদের একাংশ, গলা টিপে ধরেন ও খুনের হুমকি দেন, মেডিকেল কলেজের ইতিহাসে সম্ভবত তা এর আগে ঘটেনি। আক্রমণকারী ওই শিক্ষকদের শাস্তির দাবিত, পূর্বঘোষিত ২২ শে ডিসেম্বরেই ইউনিয়ন ইলেকশন করানোর দাবিত এবং শুধুমাত্র আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য বিনাকারণে স্বাস্থ্যপরিষেবা ব্যাহত করে রোগীদের নাকাল করা হল কেন? কার নির্দেশে বন্ধ হল সেন্ট্রাল ল্যাব? কার নির্দেশে বন্ধ হল সমস্ত ot? এসবকিছুর তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি চেয়ে ৭ই ডিসেম্বর দুপুর ২ টো অব্দি সময় ছাত্রছাত্রীরা কলেজ অথরিটিকে দিয়েছেন। তুলে নেওয়া হয়েছে ঘেরাও। দুপুর ২ টোর পরও কোন মীমাংসা না হলে তাঁরা আমরণ অনশনের ডাক দিয়েছেন।