রাস্তাঘাটে মাস্ক না পরে ঘুরলে রাজ্য পুলিশ ধরপাকড় করছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের মুখপাত্র Dr V K Paul, ঘরের মধ্যেও মাস্ক পরে থাকার নিদান দিয়েছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউএ বাড়িতে একজনের করোনা হলে সব সদস্যই আক্রান্ত হচ্ছে, এটা লক্ষ্য করবার পরেই এই নিদান।
সিম্পটম্যাটিক তো বটেই, যারা অ্যাসিম্পটমেটিক, তারা যদি হাঁচে, কাশে, চেঁচায়, কথা বলে বা গান করে, তাহলেও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই, তাদের অবশ্যই মাস্ক পরা উচিৎ।
মাস্ক পরে আপনি নিজেকে যত না প্রতিরোধ করছেন, অন্যকে আপনার অ্যাসিম্পটমেটিক মুখ নিঃসৃত ভাইরাস দান প্রতিহত করছেন অনেক বেশি।
নর্থ ক্যারোলিনার ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ & হিউম্যান সার্ভিসের একটা সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুজন মানুষের মধ্যে:
যখন দুজনেই মাস্ক পরে আছে, তখন #রোগের_রিস্ক 1.5%.
যখন ইনফেক্টেড ব্যক্তি (ভাইরাস সংক্রামিত) মাস্ক পরেছে, কিন্তু সুস্থ ব্যক্তি পরেনি, তখন #রোগের_রিস্ক 5%.
উল্টো ক্ষেত্রে, অর্থাৎ, যখন সংক্রামিত (অ্যাসিম্পটমেটিক সহ) ব্যক্তি মাস্ক পরেনি, কিন্তু সুস্থ মানুষটা পরেছে, তখন রোগ ছড়ানোর #রিস্ক বেড়ে হয়ে যাচ্ছে 30%.
যখন দুজনের কেউই মাস্ক পরছেনা, তখন এই #রিস্কটা বেড়ে 90%. হয়ে যাচ্ছে।
ফ্যামিলির মধ্যের চিত্রটা বলে এই অঙ্কের কচকচি শেষ করবো।
ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্ণালে যা প্রকাশিত হতে চলেছে।
124 টি পরিবারের 335জন সদস্যের মধ্যে এই স্টাডি। দেখা যাচ্ছে, প্রাইমারি পজিটিভ পার্সন যদি শুরু থেকে মাস্ক না পরে থাকেন, তাহলে সেই পরিবারে অন্যান্যদের সংক্রমণের রিস্ক 18 গুণ বেশি। আর, সিম্পটম ডেভেলপ করবার আগে থেকেই যদি পজিটিভ পার্সন মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে পরিবারের মধ্যে রোগ বিস্তার না করতে 79% সাকসেসফুল হবেন।
চেম্বার করছি, বাজার করি, তাই ভাবছি, আজ থেকেই আমিও সরকারী গাইডলাইন মেনে ঘরের মধ্যেও মাস্ক পরেই ঘুরবো, খাওয়ার সময়টা বাদে।
লম্বা সময় মাস্ক পরে আমার কষ্ট হয় না।