কোভিড 19 এর দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় দেশ এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা যখন নগ্ন হয়ে পড়েছে, সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের চিকিৎসকদের সর্ব বৃহৎ সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের নেতৃবৃন্দ আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে তাঁঁদের দাবি তুলে ধরেন।
১। যেহেতু এখন অবধি করোনা প্রতিরোধে মাস্কের ব্যবহারই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য, তাই প্রশাসন পাবলিক প্লেসে মাস্ক এর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করুক। মাস্ক ব্যবহার না করলে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা হোক।
২। কোভিড 19 এর টিকা রোগ সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে না পারলে ও টিকা লাগালে রোগের তীব্রতা কমে, হাসপাতালে এবং আই সি ইউ তে ভর্তির প্রয়োজন কমে, মৃত্যু বহুল পরিমাণে কমে–এমনটা ইতিমধ্যে প্রমাণিত। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সমস্ত প্রাপ্তবয়স্কের (১৮ বছরের বেশি বয়সী) নিঃশুল্ক টিকার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছে।
৩। কেবলমাত্র কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল করে অবস্থার মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম সাবডিভিশনাল হাসপাতাল এবং তার উপরের স্তরের সমস্ত হাসপাতালে কোভিড উইং খুলবার দাবি জানায়। অক্সিজেন বেডের অভাবে যেন কোনো মৃত্যু না হয়।
৪। কোভিড রোগ নির্ণয়ে আরটিপিসিআর সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য হলেও তা সময়সাপেক্ষ। অনেক কম সময় লাগে রেপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে, অথচ অল্প কিছু সরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষা হচ্ছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম দ্রুত রোগ নির্ণয়, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব করার জন্য সমস্ত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা করার দাবি জানাচ্ছে।
৫। করোনা রোগের প্রথম ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী সহ প্রথম সারির যোদ্ধারা। প্রতিশ্রুতি মত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি না পেয়েছেন কেন্দ্র সরকারের 50 লক্ষ টাকা না পেয়েছেন রাজ্য সরকারের 10 লক্ষ টাকা।
রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে পকেটের পয়সা খরচ করে চিকিৎসা করাতে হয়েছে অনেককেই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম দাবি জানাচ্ছে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা কর্মী এবং তাঁদের পরিবারের বেড নিশ্চিত করা হোক। যে প্রতিষ্ঠানে তাঁরা কাজ করেন সেই প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসার সমস্ত খরচ বহন করতে হবে।
ডা রাজীব কুমার পান্ডে
ডা কৌশিক লাহিড়ী
ডা পুণ্যব্রত গুণ
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের পক্ষে ।
ন্যায্য দাবি।