মেডিকাল কলেজে করোনা রোগীর পাশাপাশি অন্য রোগীদের চিকিৎসা এবং প্রশিক্ষণার্থীদের পঠন-পাঠন ও প্রশিক্ষণের দাবীতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার এক এক্সপার্ট কমিটি গঠন করে। দুদিনের পরিদর্শনের শেষে তারা রিপোর্ট দিয়েছেন যে, এমসিএইচ বিল্ডিং, এজরা বিল্ডিং, ডেভিড হেয়ার ব্লক ও শ্যামাচরণ ল ইনফার্মারী– এই চারটি বিল্ডিং কোভিড চিকিৎসার অনুপযুক্ত। সেখানে নন কোভিড রোগীদের ভর্তি করা যেতে পারে।
এবং ক্যাজুয়াল্টি ব্লক পরিকাঠামোগত ভাবে কোভিড চিকিৎসার উপযুক্ত হলেও এখানে কোভিড চিকিৎসা করার বেশ কিছু সমস্যা আছে। কারণ এটি মেডিকাল কলেজের ইমারজেন্সি ভবন। ট্রমা, সার্জারি, অর্থোপিডিক্স সহ সব জরুরিকালীন অপারেশন থিয়েটার এখানে। ফলে ইনফেকশাস ডিসিস বিশেষজ্ঞদের আলোচনা করে, আদৌ প্রপার সেগ্রেগেশন মেনে এখানে কোভিড চিকিৎসা সম্ভব কিনা ঠিক করতে হবে।
আর কলেজ কাউন্সিল-এর মিটিং-এ আলোচনা হয়েছে যে, (প্রশিক্ষণার্থীদের দাবি অনুযায়ী) ইডেন বিল্ডিং ও গ্রিন বিল্ডিং-এ কোভিড চিকিৎসার কি খামতি আছে, তার ফলে কি সমস্যা হচ্ছে, কিভাবে একই বিল্ডিং-এ কোভিড চিকিৎসা ও ডাক্তারদের হস্টেল থাকার ফলে বহু জুনিয়র ডাক্তারদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে, সেগুলো আজ নবান্নে মেডিকাল কলেজের ২১ জন শিক্ষককে ডেকে পাঠানো হয়েছে, সেখানে তারা তুলবেন।
নবান্নে মিটিং চলছে। লাইভ সেই মিটিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন করোনার পাশাপাশি অন্য রোগীদের চিকিৎসাতেও গুরুত্ব দিতে হবে।
সাব্বাশ । তবে প্রশাসন কতটা ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় সেটাই দ্রষ্টব্য ।