কাল সকাল থেকেই একটা ছবি খুব ভাইরাল হয়ে সমাজ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
ছবিটা নাকি কুখ্যাত আর জি করের সেমিনার রুমের। সেখানে অস্পষ্ট ছবিতে মেলার হাট। গুরুত্ব দিই নি। এরকম ছবির নীচে সংবাদ মাধ্যম লিখে দেয় ছবির ‘সত্যতা যাচাই করা হয় নি’।আমি বা আমার মতো অনেকেই ছবির সত্যতা নিয়ে সন্দিহান ছিলেন।ঐ ছবি দেখে নিঃসন্দেহ হওয়া যায় না যে ওটা সেই কলঙ্কিত সেমিনার রুম।
বিকাল হতেই সব সংশয়ের অবসান। কলকাতা পুলিশ নিজেই ঘটা করে জানিয়ে দিলেন ছবিটা সত্যি। আরো বিস্ময়ের যাদের অস্পষ্ট উপস্থিতি পরিচয় নিশ্চিত করছিল না তাদেরও পরিচয় স্পষ্ট করলেন। একজন ল’ ইয়ারের উপস্থিতির কি সুন্দর ব্যাখ্যা দিলেন।
অথচ আইনজীবী বললেন, তিনি নাকি ওপিডি তে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন তখন এইরকম খবর শুনে ভাবলেন নিশ্চয়ই একটা মিটিং ডাকা হবে, আবার বাড়ি ফিরে আসতে হবে তার চেয়ে এখনই চলে যাই।
লালবাজার জানালেন সেই অধুনা বিখ্যাত তত্ব, ওরা চল্লিশ ফুট কর্ডনের বাইরে।
অথচ সেই চল্লিশ ফুট ঘেরা জায়গার ছবি দেখালেন না। কখন ঘেরা হয়েছে বললেন না।
শিক্ষিত বিশাল পুলিশ বাহিনীর কাছে একটা প্রশ্ন। একদল গুন্ডা বদমায়েশের দলকে প্রোটেক্ট করার জন্য আপনারা সকলে এভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন কেন? মানলাম আপনারা চাকরি করেন। চাকরি তো আর জি করের ঐ প্রাক্তন ডেপুটি সুপারও করতেন। আর জি কর-এ সেদিন কি হয়েছিল গোটা দেশের কাছে আজ তা পরিষ্কার। আপনারা নিজেদের পরিবারের লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেও সত্য ঘটনা জানতে পারবেন।
আসুন না, ঐ রকম হাস্যকর সাংবাদিক বৈঠক না করে অন্য রকম ভাবে কিছু ভাবা যাক।
এ বাংলা তো আপনাদেরও বাংলা।