Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

তপোধনের ফিচলেমো ১

Screenshot_2022-07-16-23-13-46-50_680d03679600f7af0b4c700c6b270fe7
Dr. Aniruddha Deb

Dr. Aniruddha Deb

Psychiatrist, Writer
My Other Posts
  • July 17, 2022
  • 8:50 am
  • One Comment

প্রথমাংশ

গ্রামে ঢোকার খানিক আগে অঙ্কন গাড়ির স্পিডটা কমিয়ে বাঁ দিকের ফাঁকা-মতন জমিটা দেখিয়ে জিজ্ঞেস করল, চিনতে পারছিস?

না চেনার কারণ ছিল না, তাই কিছু না বলে শুধু ঘাড় নাড়লাম। পেছনের সিটে সুমোহন ঢুলছিল, হঠাৎ জেগে উঠে — কী? এসে গেছি, এসে গেছি? বলে ডাইনে বাঁয়ে তাকিয়ে বলল, কী রে? কী চিনতে পারার কথা বলছিস?

অঙ্কন আরো স্পিড কমিয়ে বলল, ওই দেখ না, বাঁ দিকে।

সুৃৃমোহনের পরীক্ষা সবে শেষ হয়েছে, কতদিন ধরে মাঝরাতের পর অবধি পড়াশোনা চালিয়েছে, ও-ই জানে। কিছুক্ষণ আরক্ত চোখে চেয়ে থেকে বলল, না। কী চিনব?

অঙ্কন আবার গাড়িটা জোরে চালিয়ে বলল, তাহলে কাজ নেই আর চিনে, চ’, বাড়ি যাই।

সুমোহন ছাড়বে না, খালি বলে, আরে কী চেনার কথা বলছিলি, বল না?

শেষে ওকে থামানোর জন্যই বললাম, ওটাই শ্মশানটা।

সুমোহন এক লহমা চুপ করে থেকে বলল, ও-ও-ও-ও! ওই যেখানে তুই… তারপর আর কিছু বলল না। আমরাও কথা বাড়ালাম না।

অঙ্কন, সুমোহন আর আমি — ক্লাস ফাইভ থেকে বন্ধু। কালিম্পংয়ের আবাসিক স্কুলে একসঙ্গে ভর্তি হয়ে একসঙ্গে পাশ করে বেড়িয়েছি। এর পর তিনজনে একসঙ্গে না পড়লেও পাশাপাশি কলেজে ঠাঁই হয়েছিল বলে বন্ধুত্বটা একরকমই রয়ে গেছিল। আমি আর অঙ্কন প্রেসিডেন্সিতে, আর সুমোহন, পাশেই — মেডিক্যাল কলেজে। আমরা তিন বছরে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে এম.বি.এ করে কাজে লেগেছি কয়েক বছর হলো, সুমোহন পাঁচ বছরের এম.বি.বি.এস, একবছরের ইন্টার্নশিপ আর তিন বছরের এম.ডি শেষ করেছে সবে গতকাল।

আগে থেকেই ঠিক করা ছিল, সুমোহনের পরীক্ষা শেষ হলেই তিন বন্ধু মিলে আবার যাব অঙ্কনের গ্রামের বাড়িতে, সেই ক্লাস সেভেনের শীতের ছুটির মতো।

আর এখন যে অঙ্কন শ্মশানঘাটটা দেখাল, সে-ও সেই ছুটির একটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই।

বছর সাড়ে তেরো-চোদ্দোর তিনটে ছেলে, অ্যাডভেঞ্চারের খোঁজে তখন হেদিয়ে মরছি আমরা। তাই অঙ্কনের কাকাবাবু — বয়েস অনেক হলেও ভীষণ মাইডিয়ার লোক ছিলেন — যখন ওঁর ক্লাসমেট তপোধনের গল্প বললেন, তখন আমাদের রক্ত টগবগিয়ে উঠল।

তপোধন সরকার ছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইকনমিকস্ অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। অঙ্কনের কাকাবাবু আর তপোধন একই সঙ্গে নকশাল আন্দোলন করেছিলেন। সে এক সময় গেছিল পশ্চিমবঙ্গে, যখন পুলিশ নাকি নির্বিচারে সন্দেহজনক যুবক আর তরুণদের গুলি করে মারত। কাকাবাবু আর তপোধন আন্দোলনের একটা অপারেশনে যাচ্ছিলেন বর্ধমান। একই ট্রেনে ছিলেন দুজন, আলাদা কামরায়। পথে দলের একটি ছেলে ওঠে। বলে অপারেশন ক্যানসেল। ইনফরমেশন পেয়ে পুলিশ বর্ধমান স্টেশনে অপেক্ষা করছে। ছেলেটি যে স্টেশনে ট্রেনে উঠেছিল, সেখানেই ওঁরা চট করে লোকাল ট্রেন থেকে নামলেন, কিন্তু ট্রেন চলে যাবার পর বুঝলেন তপোধন নামেনি। ওঁকে খবর দিতে আর একটি ছেলে উঠেছিল, সে-ও নামেনি। বেশি চিন্তা করেননি, ভেবেছিলেন তপোধনরা পরের স্টেশনে নামবেন না হয়। বর্ধমান তো এখনও দূর আছে।

ওঁরা যেখানে ছিলেন সেখান থেকে কাকাবাবু, মানে অঙ্কনদের গ্রাম খুব দূর নয়। ওঁকে খবর দিয়ে ট্রেন থেকে নামিয়েছিল যে, সে নির্দেশ এনেছিল — বাড়ি চলে যাও। খবর পাওয়া অবধি ওখানেই গা-ঢাকা দিয়ে থাকবে। ছেলেটাকে হাওড়াগামী ট্রেনে তুলে দিয়ে অঙ্কনের কাকাবাবু হেঁটে রওয়ানা দিয়েছিলেন গ্রামের দিকে। কিছুদূর গিয়ে খটকা লেগেছিল। এতই যদি জানবে তবে পুলিশ নিশ্চয়ই ওদের ট্রেনে না পেয়ে গ্রামে গিয়েও হানা দেবে? তখন পালানোর পথ থাকবে না। কাকাবাবু তাই পথ বদলে হাইওয়েতে গিয়ে কলকাতার বাস ধরেছিলেন। কলকাতা পৌঁছে বুঝতে পারেন, ওদের যে ছেলেদুটো খবর দিয়েছিল, তারাই বিশ্বাসঘাতক। পুলিশ বর্ধমান স্টেশনে ছিল না। ছিল অঙ্কনদের গ্রামের আসেপাশে। তপোধন যখন শ্মশানের পাশ দিয়ে হেঁটে গ্রামের দিকে যাচ্ছে, তখনই রাইফেলের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যায় ওর বুক-পিঠ। গ্রামের লোকগুলির শব্দ পেয়ে যতক্ষণে ওখানে পৌঁছয়, ততক্ষণে কেউ কোথাও নেই, তপোধনের প্রাণহীন দেহ থেকে শেষ রক্তটুকু জমাট বাঁধছে রাস্তার ধুলোর ওপর।

তপোধনের মৃত্যুরহস্যের কোনও কিনারা করতে পারেনি, বা বলা ভালো, করেনি পুলিশ। অজানা আততায়ীর গুলিতে নিহত — এই রিপোর্ট আসে। এ-ই সব, এ-ই শেষ। অন্তত পুলিশের খাতায়।

শেষ অন্য কোথায় কোথায় হয়েছে তা বলতে পারেননি কাকাবাবু, কিন্তু গ্রামে শেষ হয়নি। প্রতি বছর, ওই দিনে তপোধনের আত্মা ফিরে আসে। শ্মশানে, বা তার চারপাশের মাঠে, রাস্তায়, অনেকেই দেখেছে তাকে।

কী করে? শুকনো মুখে জানতে চেয়েছিল সুমোহন। কাকাবাবু বলেছিলেন, যারা দেখেছে তারা প্রচণ্ড ভয় পেয়েছে, অনেকে অজ্ঞান হয়ে গেছে, কিন্তু তপোধন যে তাদের ভয় দেখানোর জন্য কিছু করেছে, তা নয়। তারপর বলেছিলেন, পরের সপ্তাহে তপোধনের মৃত্যুবার্ষিকী। প্রতিবারের মতোই এবারও গ্রামে মৃত্যুদিবস পালন করা হবে। শ্মশানের কাছে ওর স্মৃতির উদ্দেশ্যে মালা দেওয়া হবে, গান-টান হবে। সবই হবে দিনের বেলা, কিন্তু কোনও অবস্থাতেই সেদিন যেন রাতে কেউ বাড়ি থেকে না বেরোয়। ভয়ানক সব দুর্ঘটনা ঘটেছে ওই রাতে।

আমরা তারপর অনেক আলোচনা করেছিলাম। আমার মতে পুরো গল্পটাই ছেলেভুলানো বানানো ঢপ। সুমোহন শুধু ভূতে বিশ্বাস করে তা নয়, ভয়ানক ভয় পায়। ওর মতে সবটাই বর্ণে বর্ণে সত্যি। আমরা কথা বলতে বলতে প্রথমে তর্ক, এবং তার পরে ঝগড়া করতে আরম্ভ করলাম। যত দিন যায়, তত ঝগড়া বাড়ে। শেষে, ওঁর মৃত্যুদিনে, তপোধন-স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গান শুনতে শুনতে সুমোহন ফিসফিস করে বলল, অতই যদি মুরোদ, তবে আজ রাতে এখানে এসে ওই গাছটার গায়ে একটা কাপড় বেঁধে দিয়ে যাবি।

বোকা বোকা ছেলেমানুষী চ্যালেঞ্জ, কিন্তু সে কথা বলামাত্র সুমোহন আমার পেছনে লাগতে শুরু করল — কাওয়ার্ড, এ বাবা, ভয় পেয়েছিস, স্বীকার কর… এসব বলে। অঙ্কন চেষ্টা করেছিল নিউট্রাল থাকতে, আমার ধারণা ও-ও আমার সঙ্গে একমত ছিল, কিন্তু নিজের কাকা বাজে ঢপ দিয়েছে তা স্বীকার করা তো সহজ না! ও-ও কিন্তু শ্মশানে যাবার চ্যালেঞ্জের কথায় একেবারে বেঁকে বসল — কী দরকার হিরোবাজি করার?

তবে আমি ততক্ষণে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। শ্মশানে গিয়ে গাছের গায়ে কিছু একটা বেঁধে না আসলে আমার মুক্তি নেই।

অঙ্কনদের বুড়ো দারোয়ান গেট খুলে সেলাম করে দাঁড়াল। দেউড়ির ওপারে অঙ্কন গাড়ি থেকে নামতেই ছুটে এল মালপত্র নামাতে। বৃদ্ধ রামখেলাওনের বলিরেখাগ্রস্ত মুখে আকর্ণবিস্তৃত দন্তহীন হাসি। বললাম, অঙ্কন, বারণ কর। বারণ করা এক, নিরস্ত করা আর এক কাজ!

‘খোঁখাবাবু’ আর তার বন্ধুরা নিজেদের সুটকেস নিয়ে যাবে রামখেলাওন সিং থাকতে! কভি নেহি! ভাগ্যিস ভেতর থেকে এর মধ্যে বেরিয়ে এসেছিল নিত্য — ওদের নতুন কাজের লোক, নইলে রামখেলাওন একাই মালপত্র নিয়ে তিনতলায় রওয়ানা দিত।

অঙ্কনের মহলে আজ ও একা। মা-বাবা নেই, বোন বার্মিংহামে। তেতলার বৈঠকখানায় আমরা হাত পা এলিয়ে বসলাম, একতলার রান্নাঘর থেকে চা-জলখাবার আসার আগেই অঙ্কন গিয়ে কাকুসোনা, দুই কাকীমা, দুই খুড়তুতো ভাই আর ভাইয়ের বউ-দের সঙ্গে দেখা করে এল। অবশ্য তার অনেক আগেই সুমোহন ডিভানের ওপরে কেতরে শুয়ে ঘুমিয়ে কাদা।

অঙ্কন ওপরে উঠে আসার আগেই এল চা। অঙ্কনের এক খুড়তুতো ভাইয়ের বউ লতা নিয়ে এল। বলল, দাদা কই? মা বললেন রাতে আপনাদের জন্য মাংস হবে কি না জেনে আসতে।

আমি বললাম, আমি বললে হবে?

লতা মাথার ঘোমটা-টা আর একটু টেনে দিয়ে ঘাড় কাত করল।

বললাম, আমরা না আসলে আজ রাতে কী রান্না হত?

সে বললে, মাংস, কিন্তু রাতে আপনারা গুরুপাক খাবেন কি না…

আমি বললাম, খাব। আমরা শহুরে হলেও এই বয়সেই অত কাতর নই।

মেয়েটা ঘাড় নেড়ে চলে গেল।

অঙ্কন উঠে এলে বললাম, হ্যাঁ রে, শান্তির কী খবর রে? নিশ্চয়ই বিয়ে-থা হয়ে গেছে… বলতে বলতে অঙ্কনের মুখের ভাব দেখে থমকে গেলাম।

অঙ্কন বলল, তুই জানিস না? বলিনি? এ বাবা। শান্তি তো আর নেই। বছর পাঁচেক আগেই… কলকাতায় হস্টেলে ডেঙ্গু হয়েছিল।

আমি হঠাৎ কেমন হতভম্ব হয়ে গেলাম। শান্তিকে আমি চিনতাম সামান্যই। ওই সেই আগের বার যখন এসেছিলাম, তখন কয়েক দিনের আলাপ। তখনকার দিনে গ্রামদেশে ছেলেমেয়েদের মেলামেশা খুব হতে পারত না। আমাদেরই বয়সী, ক্লাস সিক্সে পড়ত — পারিবারিক কারণে একটা বছর নষ্ট হয়েছিল। সকালে সাদা নীল ইউনিফর্মে সজ্জিত হয়ে, লম্বা দুই বিনুনি ভাঁজ করে ডবল করে নীল ফিতে বেঁধে স্কুল যেতে। দেখতাম খাবার টেবিলে নৈশাহারে, আর ছুটির দিনে মধ্যাহ্নভোজনেও। মাঝেমধ্যে আমাদের ঘরে উঁকি দিত সন্ধেবেলা। অঙ্কনকে বলত, দাদা, অঙ্ক… বা সায়েন্স, বা সেরকম কিছু। অঙ্কন, সুমোহন বা আমি যে হোক বুঝিয়ে দিতাম। ছুটির দিনে দুপুরে একা একা বাগানে ডানপিটেমো করে বেড়াত। অঙ্কনের বোনদের মতো পুতুল খেলায় মন ছিল না। বেশ গেছো মেয়ে! শুনেছিলাম অঙ্কনের দূরসম্পর্কের কী রকম বোন। মা-বাবা মারা গেছে, তিনকূলে কেউ নেই, তাই অঙ্কনের বাবা-মা ওকে আশ্রয় দিয়েছেন, দত্তকও নিতে পারেন। একটু যেন অনুকম্পা হত। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই আমি শান্তির প্রেমে পড়েছিলাম। কয়েক দিনের জন্য। তার কারণ আলাদা।

তপোধনের মৃত্যুদিবসের অনুষ্ঠানের শেষে বাড়ি ফিরে বাগানে বসে ঠিক হয়েছিল যে রাত একটার সময় আমি বেরোব। অঙ্কনের বাবা, কাকামণি, কাকাবাবু আর কাকুসোনা রোজ রাতে খেয়েদেয়ে ব্রিজ খেলতেন মাঝরাত অবধি। রাত বারোটা নাগাদ যে যার ঘরে যেতেন। তারপর শুতে-শুতে আধঘণ্টা, আর ঘুম আসতে আরও আধঘণ্টা ধরে নিয়ে আমাদের সময়ের হিসেব।
বিকেলের পরে সন্ধের অন্ধকারে আমরা রামখেলাওন সিংয়ের চোখ এড়িয়ে অঙ্কনের সাইকেলটা লুকিয়ে রেখেছিলাম পেছনের দরজার বাইরের ঝোপঝাড়ে। তারপরে শুরু হয়েছিল অপেক্ষা। সুমোহনটা উত্তেজনা লুকোতে পারে না। এমন ছটফট করছিল যে রাতের খাবার সময় অঙ্কনের কাকীমণি একবার ভুরু কুঁচকে বলেছিলেন, কী রে, তোরা কি কোনও নষ্টামি প্ল্যান করছিস নাকি?

লক্ষ্মী ছেলে হিসেবে আমাদের সুনাম মোটেই ছিল না, আমি তাই কিছু না বলে মন দিয়ে খাচ্ছিলাম, কিন্তু একদিকে অঙ্কন, কী যে বলো কাকীমণি… আর অন্য দিকে সুমোহন হিহি করে হেসে গড়িয়ে পড়ে ব্যাপারটা কেঁচিয়ে দিচ্ছিল।

রাত একটা অবধি অন্ধকারে জেগে থাকা যে কী কষ্টকর, তা বলে বোঝানো কঠিন। তবু সেই অসাধ্য সাধন সম্ভব হয়েছিল। ঠিক সময়ে অতি সন্তর্পণে সিঁড়ি দিয়ে একতলায় নেমে, রান্নাঘরে নিদ্রিত ঠাকুর-কর্মচারীদের এড়িয়ে পেছনের দরজা খুলে বেরিয়েছিলাম। কথা ছিল অঙ্কন আর সুমোহন জেগে থাকবে সুমোহনের শোবার ঘরে। অঙ্কন বলেছিল মাঠের মধ্যে দিয়ে শ্মশানের একটা শর্টকাট আছে, হেঁটে মিনিট পাঁচেক লাগে, কিন্তু আমি বলেছিলাম রাস্তা দিয়ে সাইকেলে তো দশ মিনিটের ওয়াস্তা। কেন মিছিমিছি শর্টকাট খুঁজতে গিয়ে পথ হারাবো?

তবে সাইকেলেও রাস্তা সহজ ছিল না। অন্ধকারে গ্রামের রাস্তায় সাইকেল চালানো সহজ নয়। এখনকার মতো কংক্রিটের বাঁধানো রাস্তাও না। মেটে, উঁচুনিচু, খানাখন্দ-ভরা রাস্তা। দেখতে পাচ্ছিলাম না, একবার পড়ে গেলাম, আর একবার সামলাতে না পেরে প্রায় গড়িয়ে রাস্তার ধারের নর্দমায় ঢুকে যাচ্ছিলাম। তাই শেষমেশ সাইকেল হাতে ধরে হেঁটেই রওয়ানা দিলাম। ফলে সময় আরও বেশি লেগেছিল। একবার ভেবেছিলাম সাইকেলটা রাস্তার ধারে রেখে হনহনিয়ে যাই, তারপর সাহস হয়নি। যদি চুরি হয়ে যায়?

অন্ধকার, শ্মশান, এসবের ভয় আমার কোনও দিনই ছিল না। এক তো আমাকে এরকম ভয় আমাকে কেউ কখনও দেখায়নি ছোটোবেলায়, তার ওপর আমার দুই মামাতো দাদা — বাচ্চুদা আর গৌরাঙ্গদা এতে ইন্ধন দিত। ছেলেবেলায় বর্ধমানে মামাবাড়ি গেলেই রাতের অ্যাডভেঞ্চারে যেতাম ওদের সঙ্গে। সাইকেলে ডবল ক্যারি করে নিয়ে যেত সারারাত মাছধরার খেলায়, কখনও বলত, চল, এখানে একটা পোড়ো বাড়ি আছে — ঘুরে আসি। একবার ওদের সঙ্গে কোথায় একটা গ্রামের শ্মশানেও গেছিলাম। সেখানে জনমানুষ ছিল না, একটা চিতা প্রায় নিভে গেছিল, জল ঢেলে চলে গেছিল সব লোকজন, হালকা ধোঁয়া উঠছিল কুণ্ডলী পাকিয়ে। তখন আমার বয়স বড়োজোর সাত-আট। মোদ্দা কথা, একা শ্মশানে যাবার ব্যাপারে আমার কোনও সমস্যাই ছিল না।

দশ মিনিটের সাইকেলের পথ হাঁটলে হয়ত মিনিট কুড়ি লাগত, কিন্তু সাইকেল ঠেলে ঠেলে লাগল তার চেয়ে ঢের বেশি। হাতে ঘড়ি ছিল না, আর হাতের মুঠোয় সারাক্ষণ আজকের ছাত্রদের মতো মোবাইল ফোনও থাকত না, তাই একেবারে ঠিক বলতে পারব না, কিন্তু গ্রামের বাইরের লম্বা পথটা, যেটার শেষে শ্মশানটা প্রায় দেখা যাচ্ছে, সেই পর্যন্ত পৌঁছতে লেগেছিল অন্তত আধ ঘণ্টা। মনে আছে, চারপাশের রাত্রির রূপ দেখতে পাচ্ছিলাম না বলে বিরক্ত লাগছিল। মামা আর পিসির কল্যাণে সবে শরৎচন্দ্রের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে, শ্রীকান্ত কেমন রাতের বর্ণনা দিয়েছিল নতুনদার সঙ্গে বেড়িয়ে, আর আমি কি না সাইকেল সামলাতে সামলাতে চারপাশটা মন দিয়ে দেখতেই পাচ্ছি না!

দুই দিকে বহুদূর পর্যন্ত ধানক্ষেত। রাস্তার দুধারে গাছপালা বেশি নেই বলে মাথার ওপর আকাশটাও যেন নেমে এসেছে অনেকটা। অজস্র তারা মিটমিট করছে শীতের আকাশের হালকা কুয়াশার আড়ালে। হঠাৎ অন্ধকার কাঁপিয়ে এক বিকট আর্তনাদ চারিদিকের নিস্তব্ধতাকে খানখান করে দিল। এতই আকস্মিক সে চিৎকার, এতই ভয়াবহ সে কণ্ঠস্বর, যে আমি চমকে প্রায় কেঁপে উঠলাম। চারিদিকে তাকিয়ে কাউকে দেখতে পেলাম না। একটুখানি দাঁড়িয়ে আবার যাব বলে সবে পা বাড়িয়েছি, একটা পৈশাচিক খিলখিলে হাসি আবার থমকে দিল আমাকে। হিঁঃহিঁঃহিঁঃহিঁঃ হিঁঃহিঁঃহিঁঃহিঁঃ!

এবার খটকা লাগল। গৌরাঙ্গদা শিখিয়েছিল, ভূত কেন নাকিসুরে কথা বলে, জানিস? ভুতের গল্পের বইয়ে ভূতের ছবি দেখেছিস? দেখবি, কারও নাক নেই। খুব বড়োজোর দুটো ফুটো আছে। আর নাক না থাকলে শাঁকচুন্নিরা মাছের গন্ধ পায় কী করে? এর অর্থ সব বাজে গল্প।

এদিক ওদিক দেখলাম আবার। কিছু দেখতে পেলাম না। প্রথম চিৎকারটা হঠাৎ এসেছিল বলে চমকে গেছিলাম। খেয়াল করিনি, মনে হয়েছিল আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে চারিদিক থেকে এসেছে। কিন্তু হাসিটা কোন দিক থেকে এসেছে বুঝতে পেরেছি। একটু এগিয়েই রাস্তার ডানপাশে তিন-চারটে গাছ, সেদিক থেকে। আস্তে আস্তে আবার এগোলাম। হঠাৎ একটা পাথর বা সেরকম কিছু উড়ে এসে পড়ল কাছাকাছি। ধপাস করে শব্দ হলো, কিন্তু কিছু দেখতে পেলাম না। আড়চোখে গাছগুলো দেখতে দেখতে এগোলাম।

এবার দেখতে পেলাম। ক্রিকেট বলের আকৃতির গোলাটা ধপাস করে মাটিতে পড়েই গুঁড়ো গুঁড়ো, ধুলো ধুলো হয়ে চারদিকে ছিটকে গেল। মাটির ঢেলা। কয়েকটা গুঁড়ো আর টুকরো আমার প্যান্টে-জুতোয় এসে লাগল। সেই সঙ্গে মনে হলো যেন একটা ছায়ামূর্তি সুরুত করে একটা গাছের আড়াল থেকে আর একটা গাছের আড়ালে সরে গেল।

মনে মনে বললাম, দাঁড়াও! ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি। যেমন সাইকেল ঠেলতে ঠেলতে যাচ্ছিলাম, তেমনই চলতে থাকলাম, যেন সাইকেল ঠেলতে অসুবিধে হচ্ছে, আর গাছগুলোর কাছাকাছি এসে যত চট করে সম্ভব সাইকেলটাকে রাস্তায় শুইয়ে দিয়ে তেড়ে গেলাম গাছগুলোর দিকে।

যতই হঠাৎ করে তেড়ে যাই না কেন, ছায়ামূর্তিটা নিশ্চয়ই আন্দাজ করেছিল, তাই গাছগুলোর ওপারে যতক্ষণে পৌঁছেছি, ততক্ষণে সে প্রাণপণে দৌড়োচ্ছে মাঠের পাশের আল ধরে।

ছোটোখাটো সাইজ, মানে অঙ্কন নয়, সুমোহন। আর একটা কালো আলখাল্লা, না জোব্বা জাতীয় কিছু পরেছে, আমাকে ভয় দেখাতে। সুমোহন একা হতে পারে না — যা ভীতু ছেলে, অঙ্কনটা কোথায়? যেখানেই হোক। সুমোহনকে ধরতে পারলেই…

সুমোহন দৌড়ে আমার সঙ্গে পারবে না, জানা কথা, দেখতে দেখতে কাছাকাছি এসে চেঁচিয়েছি, এই শালা, দাঁড়া বলছি, নইলে এমন ল্যাং মারব…

ঠিক তখনই সুমোহন হয় নিজের আলখাল্লায় পা জড়িয়ে, নয়তো হোঁচট খেয়ে একেবারে তালগোল পাকিয়ে প্রথমে আলের ওপরে, তারপরে ধানক্ষেতের মধ্যে গিয়ে পড়েছে ছলাত করে।

আমিও পৌঁছে গিয়ে প্রায় ঝাঁপ মেরেছি ওর ওপর, এমন সময় দু’হাত বাড়িয়ে ছায়ামূর্তিটা আমাকে আটকানোর ভঙ্গীতে বলল, নিশীথদা, নিশীথদা… আমি… আমি…

নিজেকে আটকাতে গিয়ে আমিও প্রায় কাদায় পড়ি আর কী! কোনও রকমে সামলে নিয়ে ভয়ানক রেগে বললাম, তুমি এখানে কী করছ?

সুমোহন নয়, কাঁদোকাঁদো গলায় শান্তি বলল, আমি তোমাদের প্ল্যান শুনেছিলাম। তাই লুকিয়ে তোমার পেছনে পেছনে বেরিয়েছি। ভয় দেখাতে।

আমি হতভম্ব। মাথায় উঠল শ্মশান যাওয়া। কোনও রকমে টেনে তুললাম ওকে ক্ষেত থেকে। আলের ওপর পড়ে কুমড়ো-গড়ান গড়ানোর ফলে শাড়িটা ছিঁড়েছে জায়গায় জায়গায়, পায়ে ধানক্ষেতের কাদা, হাঁটুতে কনুইয়ে, কাঁধে ব্যথা, কপালেও কাটা, রক্ত গড়াচ্ছে, সে এক কাণ্ড। ভয় ভাবটা কমেছে, উঠে এসে আমাকেই তম্বি — তোমার কোনও কাণ্ডজ্ঞান নেই, নিশীথদা, এভাবে কেউ তাড়া করে? এখন কী হবে?

আমি অবাক হয়ে বললাম, আমি কী করে জানব তুমি রাত্তিরবেলা আমার পেছু নিয়েছ? আমি ভেবেছি অঙ্কন আর সুমোহন।

ধ্যাৎ, ওরা এখন ঘুমোচ্ছে। ওরা সকালের আগে উঠবেই না।

খোঁড়াতে খোঁড়াতে, ব্যথায় কাঁদতে কাঁদতে শান্তি আমার ওপর ভর দিয়ে রাস্তা অবধি এল। বাধ্য হয়ে সাইকেলে ওকে বসিয়ে আবার ঠেলে ঠেলে ফিরলাম বাড়ি। অঙ্কনের ঘরে আমার নুড়ি ছুঁড়ে ওদের ডাকার কথা, শান্তি বলল, পাগল হয়েছ?

আমি বললাম, দরজা বন্ধ। ঢুকব কী করে?

শান্তি বলল, আমি তোমাদের পরে দরজা খুলে বেরিয়েছি।

ও হাত দিয়ে ঠেলে পেছনের দরজা খুলে ঢুকল, কোথায় কোথায় চোট লেগেছে আমাকে দেখতে দিল না, বলল, আর ওস্তাদি করতে হবে না। যাও, ঘুমোও গে।

ঘরে ফিরে দেখি দুই পুঙ্গব সত্যিই ঘুমিয়ে কাদা!

পরদিন সকালে বাড়িতে হইচই। শান্তির সারা গায়ে চোট, শাড়ি ছেঁড়া, কাদামাখা। আমারও জামায় কাপড়ে কাদার ছোপ। অঙ্কন আর সুমোহন বার বার জিজ্ঞেস করছে, কী হয়েছে? আমি কিছু বলতে পারছি না, সত্যি বলতে কী, কী বললে শান্তি অসম্ভব বকুনি খাবে না, জানি না।
শেষে শান্তি নিজেই, বা অঙ্কনের খুড়তুতো বোন কুমকুমই হয়ত সব বলে দিয়েছিল। কপাল ভালো, অঙ্কনের বাবা-কাকারা বেশ স্পোর্টিং, তাই আমাদের কপালে ভয়ঙ্কর বকুনি জোটেনি। শুধু কাকাবাবু বলেছিলেন, বারণ করা সত্ত্বেও শ্মশানে যাচ্ছিলে, সেটা খুব অন্যায়। বাধা দিয়ে শান্তি হয়ত মঙ্গলই করেছে — নইলে কী হতে পারত কে জানে।

বছরে ওই একটা দিন ছাড়া শ্মশানে তপোধন সরকারের আবির্ভাব হয় না, তাই আবার শ্মশান যাওয়ার প্রশ্ন ওঠেনি, কিন্তু এর পরে শান্তির সঙ্গে আমার একটা অব্যক্ত বন্ধুত্ব তৈরি হয়, চোখে চোখে বার্তা বিনিময় হত, ছোট্ট হাসির টুকরো উপহার দিতাম একে অপরকে, আর আমি অন্তত একটু হলেও শান্তির প্রেমে পড়েছিলাম। স্বপ্ন দেখতাম ওকে নিয়ে রাতের শ্মশানে অ্যাডভেনচারে যাচ্ছি…

কিছুদিন।

তাই শান্তি আর নেই শুনে বেশ নাড়া লেগেছিল মনে।

ক্রমশ

PrevPreviousমাউন্টেন সিকনেস
Nextজনসংখ্যা সপ্তাহNext
5 1 vote
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Somnath Mitra
Somnath Mitra
7 months ago

আগে ও তো পড়েছি, খুব ভালো লেগেছিল তখনই

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

March 21, 2023 No Comments

পশ্চিমবাংলা এই মুহূর্তে অ্যাডেনভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে বিপর্যস্ত। আইসিএমআর-নাইসেড-এর সম্প্রতি প্রকাশিত যৌথ সমীক্ষা  জানাচ্ছে, ভারতের ৩৮% অ্যাডেনোভাইরাস রোগী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। এমনকি সুপরিচিত ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ান-এ একটি

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

March 20, 2023 No Comments

৪/৩/১৯৯০ শৈবাল–আমাকে প্রথমে নির্বাচনের খবর। আমরা একটাও জিততে পারিনি। জনকও হেরেছে। ভেড়িয়া ৭০০০ ভোটে জিতেছে। আমরা গ্রামে ১২ হাজার ভোট পেয়েছি। বি. জে. পি. ২১

গ্রামের বাড়ি

March 19, 2023 No Comments

১৪ দিন দশেক পরে দেবাঙ্কন এসে হাজির। বলল, “তোদের কফি ধ্বংস করতে এলাম। বাপরে বাপ, যা গেল! যাক, চার্জশিট হয়ে গেছে। সাংঘাতিক কনস্পিরেসি। সোমেশ্বর নাথ

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

March 18, 2023 No Comments

খবরের কাগজে কত খবরই তো আসে। বড় একটা অবাক হই না। কিন্তু একখানা খবর পড়ে একেবারে চমকে গেলাম। কলকাতার একটি নামকরা কর্পোরেট হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে

রম্য: হোলিকা দহন

March 17, 2023 No Comments

দখিনা হাওয়া জবুথবু শীতের শরীরকে দেয় দোলা। শুকনো পাতা ঘূর্ণি বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে হারিয়ে যায়। দিন বাড়ে। বয়সও। ধরে রাখা যায় কি তাকে? যায় না।

সাম্প্রতিক পোস্ট

ভাইরাস সংক্রমণ শুধুই বায়োলজিকাল? – উত্তর ভাসে বাতাসে

Dr. Jayanta Bhattacharya March 21, 2023

দল্লী রাজহরার ডায়েরী পর্ব-১৬

Dr. Asish Kumar Kundu March 20, 2023

গ্রামের বাড়ি

Dr. Aniruddha Deb March 19, 2023

মহিলাদের জন্য মহিলা টেকনিশিয়ান!

Dr. Bishan Basu March 18, 2023

রম্য: হোলিকা দহন

Dr. Chinmay Nath March 17, 2023

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

428325
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]