“Mother died today. Or may be yesterday, I don’t know. I had a telegram’...The Outsider, Albert Camus.
“মা আজ মারা গেছে। আমি আর কখনো তার ‘দেহটা’ দেখতে পাবো না। আমি একটা মোবাইল কল পেলাম।” আমি ভাবছিলাম।
মা সম্পর্কে কামুর ওই চমকে দেওয়ার মত চিরবিখ্যাত অনাবেগি নিরাসক্ত উক্তির মত কি লাগছে আমার ভাবনা। একেবারেই না। আমার ভাবায় আবেগ, দুঃখ অনেক মেশানো ছিল। কিন্তু একটা পর্যায়ে আমার মাথায় এসেছিল এরকম কিছু কথা। আসুন দেখি কি হয়েছিল আমার মায়ের।
আমার মাকে তখন কোভিড হাসপাতালে নিয়ে গেছি। ভ্যাপসা গরম। মায়ের বাঁ পায়ে সদ্য অপারেশান করা ফ্র্যাকচার নেক ফিমার। নাড়াতে পারছে না। ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে অ্যাম্বুলেন্সের স্ট্রেচারে শুয়ে আছে। ওই অসহ্য গরমে পিপিই পরে দুর্বল হাত নেড়ে ক্ষীণ গলায় বলছে আমি আর পারছি না, আমাকে একটু জল দে। আমি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক গলায় বলছি, মা, আর দু মিনিট সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার ভেতরটা তখন যন্ত্রণায় দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে।
ভর্তির ফর্মালিটি করতে দু মিনিটটা লাগল অন্তত ত্রিশ মিনিট। ওই ত্রিশ মিনিট আমার কাছে ত্রিশ ঘন্টা না ত্রিশ দিন না ত্রিশ বছর জানিনা।
উত্তর চব্বিশ পরগনার হাড়োয়া থানার গোপালপুর নামে এক গ্রামে আমার বাড়ি। হাওড়ায় থাকলেও আমি প্রতি সপ্তায় যাই দেশের বাড়ি। প্র্যাকটিস করি আর মা আর দাদা বৌদির সাথে দেখাও হয়। ওই রথ দেখা আর কলা বেচা।
মায়ের বয়স ৮৩ বছর। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা, তারসাথে ডায়াবেটিস হাইপারটেনশান। একদিন বাথরুম থেকে এসে মাথাঘুরে পড়ে যায়। স্বাভাবিক নিয়মে ফ্র্যাকচার নেক ফিমার বাঁ পায়ের। বারাসাতের এক নার্সিং হোমে অপারেশন হোলো। তার আগে রুটিন কোভিড টেস্ট নেগেটিভ দেখে নেওয়া হয়। আমার বন্ধু ডাঃ অমল ভট্টাচার্য করে অপারেশান। খুবই ভালো। ফিরে এল বাড়িতে। তার পাঁচ ছ দিন পর থেকে অল্প জ্বর, পেটের গন্ডগোল। আমি, গিয়ে দেখলাম শ্বাসকষ্ট আছে। নিয়ে চলে এলাম হাওড়াতে। পরিচিত এক নার্সিংহোমে। চেস্ট এক্স-রে দেখেই ওরা বলল কোভিড হতে পারে। তবুও এক মুহূর্তও দেরি না করে ভর্তি করে চিকিৎসা আরম্ভ করে দিল আমার পরিচিত এক ডাক্তার।
সোয়াব পাঠান হল। পরদিন রিপোর্ট পজিটিভ এলো। নিয়ে গেলাম হাওড়ার এক কোভিড হাসপাতালে। সেই পর্যায়ের কথা প্রথমেই বলেছি।
যখন আমি হাসপাতাল থেকে ফিরছি আমার মনে হোলো মাকে আমি আর দেখতে পাবো না। ওরা বলেছিল প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা একটা বুলেটিন ফোনে জানতে পারব মা কেমন আছে। তখন আমার মাথায় অদ্ভুত ভাবে কামুর কথা আর আমার ওরকম একটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল।
ইতিমধ্যে বৌদি, ভাইঝির জ্বর, দুর্বলতা, পাতলা পায়খানা এসব সিম্পটম এসেছে। দাদা বা আয়াদিদির আসেনি। ওদের টেস্ট দরকার। গ্রামে বসে সেটা করা, বেশ সমস্যার। আমি নিজে এবং আমার স্ত্রী হাওড়ায় হোম কোয়ারেনটাইনে। কবে সিম্পটম আসবে তার অপেক্ষা। এ যেন ফাঁসির হুকুম হয়ে গেছে শুধু ডেটটা দেয়নি! সর্বোপরি মায়ের অবস্থা। সব মিলে এক অসহনীয় পরিস্থিতি।
কিন্তু তারও থেকে খারাপ পরিস্থিতি হোলো গ্রামের মানুষের আচরণে। যেদিন আমি মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আনছি। হাওড়া পৌছানর আগেই গ্রামে রটে গেল মা মারা গেছে!
আমাদের বাড়ির লোক এমনিতেই কোর্যান্টিনে গেছিল। কিন্তু মানুষজন এমন ভাবে ফোন করছে, যে ইচ্ছে করে যেন একটা বিপদ গ্রামের মানুষের ওপর আমরা চাপিয়ে দিয়েছি। এবং বাইরে বেরলে দাদাদের বিপদ আছে। যে দুই একজন দাদার বন্ধু এবং আমার গ্রামের আত্মীয় দাদা-বৌদি, দিদিরা খাবার দাবার পৌছে দিচ্ছিল, তাদেরকে বাঁকা কথা টন্ট টিটকিরি শুনতে হচ্ছিল। একজন বিস্কুট এনেছিল বলে তাকে এও বলা হয়েছিল যে ওই বাড়ি গেলে তাকে বিস্কুট কিনতে দেওয়া হবে না!
দাদা পঞ্চায়েতে হোমিওপ্যাথ ডাক্তার। তার কম্পাউন্ডার, একসময় মানসিক রুগী ছিল, তার ওপর এমন মানসিক চাপ তৈরি করা হয় তাকে আবার ওষুধ আরম্ভ করতে হয়।
চেনা মানুষগুলোর এই অচেনা আচরণ আমাকে দুঃখের থেকেও অভিমানী করে তুলেছে বেশি করে। কোভিড হয়েছে বলে ডাক্তারের ফ্ল্যাটে ব্লক করা, বাড়িওয়ালা ভাড়াটেকে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার মত খবরগুলো যেন নিজেদের ঘাড়ের ওপর চলে এল।
ওরা কেন এমন করল?! ভীষণ একটা রাগে, ক্ষোভে ওদেরকে খারাপ মানুষ বলে দাগিয়ে দেওয়ার বাইরে আর কিছু ভাবতে পারছিলাম না।
আজ ঠান্ডা মাথায় ভাবছি। মানুষের সব থেকে আদিম ‘ডিফেন্স’ হোলো নারসিসিজম (narcissism)। অর্থাৎ নিজেকে ভালোবাসা। ‘ডিফেন্স’ হচ্ছে এমন এক মানসিক প্রক্রিয়া যেটা অবচেতনে কাজ করে। জীবনে কোনো দ্বন্দ্ব এলে তা থেকে মুক্তির জন্য এই প্রক্রিয়া নিজের মত করে সক্রিয় হয়। তাই নিজের বিপদের আশংকায় অন্যের জীবন কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা না ভেবে নিজে ভালো থাকাটাই মূল লক্ষ্য হয়ে যায় এই নারসিসিস্টিক ডিফেন্সে। আমার গ্রামের মানুষরা কোভিড আতংকে হয়ত এই ডিফেন্সে চলে গেছিল। এটা বদলানোর উপায় হচ্ছে তাকে উপযুক্ত পরিবেশ দেওয়া। তাকে বোঝানো, তথ্যের মাধ্যমে। এখানে মিডিয়া আর সরকারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই পরিস্থিতিতে ডাহা ফেল।
করোনার থাবা কেমন গেড়ে বসছে, সেটা দেখাতেই মিডিয়া ব্যস্ত। আর কিছু নেতাদের ঝগড়া দেখানো। কোভিডের মত পরিস্থিতিতে পারস্পারিক সাহায্যের হাত বাড়ানর পক্ষে কোনো জনমত তৈরি করার কোনো চেষ্টা তাদের নেই।
আর সরকার। বাজেটে জিডিপির মাত্র ১% স্বাস্থ্য খাতে ব্যবহার করে রাতারাতি তো কোভিডের চিকিৎসার ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি করা যায় না। যেখানে বেডের অভাবে মানুষ ভর্তি হতে পারছে না, মানুষ তো আতংকিত হবেই। এই আতংক অনেকটা ঢাকা যেত যদি জনস্বাস্থ্য সত্যিকরে জনগণের হাতে থাকত। তাদের সচেতনতা বা সক্রিয় অংশগ্রহণ থাকলে আজ মানুষের মনে আতংকের এই পরিস্থিতি হয়ত তৈরি হত না। সোস্যাল ডিসটেন্সিং বা সামাজিক দূরত্ব শেখানো হয়েছে কিন্তু শেখানো উচিত ছিল ফিজিক্যাল ডিস্টেন্সিং বাট সোস্যাল বন্ডিং অর্থাৎ শারীরিক দূরত্ব কিন্তু সামাজিক বন্ধন।
তাই এর পরেও আমি চাইব গ্রামের এই মানুষগুলোর বাবা, মা, স্বামী, স্ত্রী, সন্তান কাউকে যেন আমাদের মত মানসিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যেতে না হয়। সমস্যাটা বোঝার চেষ্টা করুক। সবাই সুস্থ থাকুক।
তবে অন্ধকারেও আলোর দিশা পাওয়া যায়। আমাদের গ্রামে ঢোকার মুখেই কাঁকড়া বিক্রি করে একটা দোকানের কিছু ছেলে আছে। তারা ঠিক করেছিল মা যদি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরে, করোনা যুদ্ধে জেতার জন্য ওরা ফুল দিয়ে বরণ করবে। খবরটা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল।
তবে আমার জীবনের এই সংকট মুহূর্তে পাশে পেয়েছি অনেককেই। গ্রামের অনেক মানুষ ফোন করে সাহস যুগিয়েছেন। আরো অনেক বন্ধু, আত্মীয় নিয়মিত খবর নিয়েছেন। আমরা যখন কোয়ারেন্টাইনে, আমার ফ্ল্যাটের মানুষরাও সবরকম সাহায্য করেছেন। মাকে হাওড়ায় আনা মাত্রই কোভিড হতে পারে জেনেও সাথে সাথে ভর্তি করে চিকিৎসা আরম্ভ করেন ডাঃ প্রসেনজিৎ সিনহা রায় এবং ডাঃ সুমনা বাগচি। ছিল আমার ড্রাইভার উৎপল দে সদা প্রস্তুত যে কোনো সাহায্যের জন্য। আর একজনের কথা বলতেই হয়। হাওড়া ব্যতোড়ে আমাদের স্বল্প মূল্যে যুক্তিসম্মত চিকিৎসার লক্ষ্যে এবং সকলের জন্যে স্বাস্থ্যের দাবিতে তৈরি সংগঠন অভিজিৎ মিত্র মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ মিত্র বা বাপ্পাদাকে। সবসময় আমার সাথে ছিল। এমনকি যে কাজ আমি করতে পারিনি সেটাও বাপ্পাদা করে দিয়েছে।
আসল কথাটা বলা হয়নি। আমার মা কোভিড হাসপাতাল থেকে ফিরেছে ১১ দিন পর। এর জন্যে হাসপাতালের সেই সব অজানা ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ। অজানা, কারণ ওখানে এক অদ্ভুত গোপনীয়তা রক্ষা করা হত। কে চিকিৎসক, কি চিকিৎসা সেটা সরাসরি জানার কোনো উপায় ছিল না। কোনোদিন ক্রিটিক্যাল, কোনোদিন আনস্টেবল, কোনোদিন স্টেবল এই বুলেটিন পেতাম। তবে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে শেষ দিকে আরো একটু খবর পেতাম।
মা এখন কলকাতায় দিদির বাড়িতে আছে ।এই অতিমারিতে আতংকিত আমার আপনার কাছে এটা একটা আশার আলো। এই বয়সে এত কোমরবিডিটি নিয়েও কোভিডের সাথে লড়াই করা যায়। মা মূল যুদ্ধটা জিতেছে। আরো অনেকটা পথ চলা বাকি। কোভিডের ক্ষত থেকে সেরে ওঠাটা আর এক যুদ্ধ। অনেকটা ভিয়েতনাম অ্যামেরিকার যুদ্ধে জয়ী ভিয়েতনামের মত। যুদ্ধের ক্ষত সারাতে আরো অনেক সময় লাগে।
ফুটবল খেলাটা আমার খুব ভালো লাগে। আমার কাছে মায়ের এই কোভিড লড়াইটা একটা ফুটবল ম্যাচ। এটাতে ফার্স্ট হাফেই মা এবং তার টিম তিন গোল খেয়ে যায়। কিন্তু সেকেন্ড হাফ থেকেই ফাইট ব্যাক শুরু। ধীরে ধীরে তিনটে গোল শোধ দিয়ে ম্যাচটা এক্সট্রা টাইমে টেনে নিয়ে গেছে।
যারা একটু ফুটবল বেশী খোঁজ রাখেন, দেখবেন ‘র্যামোস টাইম’ বলে একটা কথা আছে। রিয়েল মাদ্রিদ ক্লাবের বিখ্যাত এবং মেজাজের জন্যে একই সংগে কুখ্যাত ডিফেন্ডার সের্গেই র্যামোসের নামে এই ‘র্যামোস টাইম’। যখন টিম ঘোর বিপদে, খেলা শেষ হবার ২০ – ৩০ সেকেন্ড আগে এই ডিফেন্ডার গোল করে অনেকবার তার টিমকে বাঁচিয়েছে। আমি অপেক্ষায় আছি মায়ের একটা ‘র্যামোস টাইম’ গোলের জন্যে।
বিঃদ্রঃ– এই লেখাটা বড় বেশি ব্যক্তিগত অনুভূতির। হয়ত ওয়েব পোর্টালের উপযুক্ত নয়। কিন্তু পুণ্যদা আমাকে জোর করেছে মায়ের কোভিড মুক্তি নিয়ে লিখতে। কিন্তু এই লেখাটা এর থেকে নৈর্ব্যক্তিক ভাবে আমি লিখতে পারিনি।
ভীষণ ভাল লাগল। হ্যাপি এন্ডিং।
এখানে মিডিয়া আর সরকারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই পরিস্থিতিতে ডাহা ফেল।
করোনার থাবা কেমন গেড়ে বসছে, সেটা দেখাতেই মিডিয়া ব্যস্ত। আর কিছু নেতাদের ঝগড়া দেখানো। কোভিডের মত পরিস্থিতিতে পারস্পারিক সাহায্যের হাত বাড়ানর পক্ষে কোনো জনমত তৈরি করার কোনো চেষ্টা তাদের নেই।
উপরের মন্তব্যের সাথে সম্পূর্ণভাবে একমত। সংবাদমাধ্যম মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে গেছে লকডাউন সময় থেকে। রেকর্ড আক্রান্ত, মৃত্যু কে জোরালো ভাবে নিবেদন করে রোগমুক্তি নিয়ে আশাব্যঞ্জক খবর পরিবেষন করেনি। সব রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির নাজেহালের সুযোগ নিয়ে বিরোধীরা মানুষকে আরো ইন্ধন দিয়ে গেছে অপপ্রচার আর কুৎসা রটাতে।
Lekhata kub i sundor hoacha. Opore jar kotha lekha hoacha tini amr nijar thamma( my Grandmother). R ja ato sundor akta article likhacha seta holo amr choto kaku( My Father’s brother). I want to say one thing..Ai CORONA PANDEMIC situation a Ja manus ta corona akkronto hoacha tar pase daraben..tar family r pase daraben, vorsa deben, ai somoy manus hoa jodi amra manuser thaka voi paya dure sorta thaki tahole ja manus ta ajka ai situation a acha tar manosik condition ta aro kotota kharap hota pare setar kolponao apnara korte parben na. Ai somoy a voi na paya borong jar family corona i akkranto hoacha tader pase thakun, bojhar chasta korun, voi paya kono lav hobana. Ajka apni voi paben..onno din apnar snge ai jinis ta ghotla sei somoy apnar family r paseo kau na thakta para. Tai Omanobik r moton kaj korben na. Manuser manobikota amnio din ka din kharap hoa jacha… kindly seta bojai rakhun… Mentally strong thakun. Manuska help korun. Voi paben na..voi pala problems barba boiki kombana. Be strong and be safe. Thank you.
Very positive minded,bold and inspiring message.
Na bolei parlm na j gramer manus jn kotota hin manosikotar.kotota narrow minded.apnar ma arthat amr vasurer meye mane amr o meye.jdio jethima boli onno sutre.meye jkhn mrityu jntronai kator tkhn tar family member ba porsi der opor mentaly torture kora kotota nongramo hote pare seta ei 2020 te covi19 bujhie dilo.kichu manus jn k chinlm notun vabe.notun rup e.jai hok facebook live e sesmes badhyo hoei onek kichu bolechi.gramer manusjn er kache khoma prarthi choto mukhe boro ktha bolar jnno.tbe request korbo grambasir kache karo bipode pase na thakte parleo khoti nei tbe take dhakka mere fele deben na pahar theke.bachar adhikar sbar e ache r seta sustho hoe.korona hoeche manei tini achhut non.dr ra tahole ki manus non.satty onara vogoban.r tai jethima apnader hin manosikota k agrajhho korei sustho hoe firechen.barite asle sbai onake aktu sombordhona deoar chesta korbe.amar kache aj uni nobojatok 83 boyoseo.thnks a lot dr babu,nurse and dada boudi and dd k.khub khusi hoechi jethimar susthota khobo peye.
না লিখলে অন্যজন মানসিক জোর কোথা থেকে পাবে।
Prothome khoborta sune khub kharab fill korechilam,,,but eto din por aaj ektu valo lagche,,,prarthona korbo sonar maa abar savabik hour uthuk,,,
Sotti amra akhono koto ondhokare. Daarun laglo lekha ta.Akhon dida bhalo achen jene bhalo laglo
আপনার নিজের এই অভিজ্ঞতা আমাদের সাহস বাড়িয়ে দিলেন।
পাশে সবসময় থাকতে বা পারলেও, সাথে আছি। ঠিক এই ভয়, এই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল আমার শরীর ও মন কে যখন শুনলাম হসপিটালের গাফিলতিতে আমার বাবা, “কভিড পজিটিভ”! টেস্ট হবে এটা শুনেও দৌড়ে গেছিলাম, ‘যদি আর দেখতে না পাই!’ এই আশঙ্কায়! ডাক্তার এবং ঈশ্বর সহায়, তাই বাবা আজ বাড়িতে। লড়াই তার ও অনেক বাকি, myeloma আর renal failure, সাথে 82 বছরের ধকল। গোল শোধ আমার বাবা’ও করছেন। “Ramos time”এর অপেক্ষায় আমিও। তবে সত্যি, অনেক মানুষের এই “narcissism” খুব দৃষ্টিকটু ভাবে চোখে পড়ে গেল
এতো অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো দেখিয়েছ!
এই লেখাটা খুবই জরুরি ছিল।
সুমিত, কাকীমার কোবিড পজিটিভ হওয়ার পর তোমাদের প্রতি কিছু গ্রামবাসীর আচরণ তোমাকে খুবই ব্যথিত করেছে স্বাভাবিক নিয়মে। সত্যিই এইধরনের আচরণ অত্যন্ত অমানবিক। আমি ঐ একই গ্রামের ছেলে হয়ে এটা চিন্তা করতে পারছি না। আমি খুবই দুঃখিত ও লজ্জিত। যারা এইরকম আচরণ করেছে তাদের হয়ে কোন সাফাই আমি গাইব না। তবে শুধু একটা কথাই বলতে পারি, সেটা হল “ক্ষমা মানুষের পরম ধর্ম”। আমি তোমাকে যতটুকু জানি বা চিনি, আমার দৃঢ় বিশ্বাস তুমি কেবল একজন সুচিকিৎসক নও, একজন বড় মনের মানুষ। তোমার কাছে অনুরোধ ওদের ক্ষমা করে দিও। মঙ্গলময়ের কাছে কাকীমার সর্বাঙ্গীণ সুস্থতা কামনা করি। তোমরা সবাই মানসিক, শারীরিক সুস্থ থাকো এই প্রার্থনা করি।
শ্যামলদা
Very well written and a true reflection of our times.
এ যন্ত্রনা যে পেয়েছে, সেই বোঝে। যুদ্ধে জয়ী হও।
❤️ Ramos time is obvious .. Jite ferata sobcheye joruri ..
Khub sundar likhecho sumit da.
Hridoy chhuye gelo. Eto practical kintu eto aabeg ghono. Bhari sundor lekhata. Onek tothyopurno o. Amader moner onek ondhokarke alo dekhai.
ডাক্তারবাবু আপনার লেখাটা পুরোটা পড়লাম ,খুব সুন্দর লেখা শুধু নয় আপনার অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছু জানতে পারলাম । দুঃক্ষের বিযয় এই যে আপনার মতো একজন মানুষের সঙ্গেও কিছুলোক অপরিচিতের মতো ব্যবহার করলো । এটা শুধু গ্রামেের মানুষ বলে আমরা শহরেও তো দেথছি, এমন ব্যবহার হচ্ছে।আসলে মানুষের মনে একটা আতঙ্কও এসে গেছে কারন মানুষ অনেকটা বিভ্রান্ত ও হয়ে পড়ছে।যাইহোক কাকীমার আকেগ্য কামনীকরি।
Lekhata porar jonyo sokolke dhonyobad…ar lekhata theke jodi kichu inspiration peye thaken setai ei covid situation e sob theke boro prapti.
সুমিতের লেখাটা শুধু পড়া নয়,উপলব্ধি করার জন্যও বটে।নার্সিসিজমের যে কথাটা সুমিত বলেছে,সেটা বর্ণে বর্ণে সত্যি।তবে হ্যাঁ,এই নারসিসিজম আদিম কাল থেকেই থাকলেও, আমার নিজস্ব ধারণা,প্রযুক্তির অগ্রগতি তথা প্রযুক্তির প্রতি এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাসই পারস্পরিক সম্পর্কের বনেদগুলো অনেক বেশী আলগা করে দিয়েছে ও মানুষকে তার স্বাভাবিক যুক্তিবোধের চেতনা থেকে ক্রমশ দুরে ঠেলছে।কোভিড থাকবে কিংবা একদিন চলে যাবে,কিন্তু মানুষ আবার এই প্রযুক্তি সর্বস্ব যুগে চিন্তাভাবনা দিয়ে পরিবেশ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে শিখবে, এমনটা ভাবার মতো অযৌক্তিক আশাবাদী হতে পারছি না।
Good illustration… others will get something positive…thanks for descriptive but good writing..