সবাই এতদিনে জেনে গেছেন যে করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ সংক্রমণ হলে মানবদেহে জ্বর, কাশি, স্বাদ গন্ধের অনুভূতি চলে যাওয়া – এসব উপসর্গ দেখা দেয়।
কিন্তু এমন কিছু লোক আছেন যাদের দেহে কোন উপসর্গই দেখা দেয় না।
তারা জানতেও পারেন না যে তারা করোনাভাইরাস বহন করছেন – এবং সবচেয়ে ভয়ের কথা, তারা নীরবে অন্যদের সংক্রমিত করে চলেছেন।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ঠিক কত মানুষের মধ্যে এরকম ‘উপসর্গ-বিহীন’ সংক্রমণ ঘটেছে, এবং এই ‘নীরব বিস্তারকারীরাই’ এই ভাইরাস এত ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার জন্য দায়ী কিনা – তা জানা ও বোঝা খুবই জরুরি।
এই সময়ে আপনারা আমরা, চিকিৎসক অচিকিৎসক সকলেই এই কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইএ প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেনা বাহিনী, আজ আমরা সবাই কোভিড যোদ্বা।
আরো বেশি সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব এখন আমার আপনার সবার, এই দায়িত্ব শুধু সরকার বা স্বাস্থ্যকর্মীদের নয়!
মাস্ক সঠিকভাবে ব্যবহার শুধু নিজে নয়, আশেপাশের সবাইকেই করতে বলুন, সাবান বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। প্রয়োজন ছাড়া ঘরেই থাকুন। ভীড় থেকে দূরে থাকুন।
বাড়ির বয়স্ক মানুষদের বিশেষ যত্ন নিন, পারলে পাল্স অক্সিমিটার কিনে সন্দিগ্ধ সবার রক্তের অক্সিজেন মাপা শিখে নিন, ৯৫% বা তার বেশি থাকা উচিত।
জ্বর, কাশি, স্বাদ গন্ধ চলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকদের সাথে যোগাযোগ করুন।
নিকটবর্তী চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের যোগাযোগের নম্বর কাছে রাখুন। বেশির ভাগ কোভিড রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির দরকার হয় না। বাড়িতে বা সেফ-হোমে যথাযথ কোয়ারেন্টিনে থাকলেই সুস্থ হওয়া যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই।
অযথা আতঙ্ক না ছড়িয়ে, চলুন সচেতনতা ছড়াবার দায়িত্ব নিই!
সুস্থ থাকুন
সুস্থ রাখুন
কোভিড রোগীদের সাথে মানবিক ব্যবহার করুন।