খবর খবর খবর রে ভাই খবর সারা দেশটায়, ভেজাল ছাড়া খাঁটি খবর মিলবে নাকো চেষ্টায়।
আশাকর্মী মিনতি কুমারী, ঝাড়খণ্ডের লাতাহার জেলায় সাধারণ রুটিন ভ্যাক্সিন (করোনা ভ্যাক্সিন নয়) নিয়ে যাচ্ছেন। হাতে চটি, পিঠে ছেলে।
এরকম অনেক মিনতি দেবী সারা দেশে চুপচাপ কাজ করে চলেছেন, এদের কথা শুনবেন না, জানবেন না। জানবেন না সেই মারা যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের কথা অথবা শহরতলী থেকে কীভাবে লোকে কলকাতায় কাজ করতে আসছে তার কথা। জানবেন না মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে বা কভিডের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ কী ভাবে দাঁতে দাঁত চিপে লড়াই করেছে। কারণ আমাদের মিডিয়াগুলো ব্যস্ত জানতে বা জানতে, অভিনেত্রীর পেটের বাচ্চার বাবা কে, কে তাঁর সব সম্পত্তি মহিলা বন্ধুকে দান করেছেন বা কাঞ্চন- কামিনীর গল্প। কোন নেতা কোন দলে যাচ্ছেন, আসছেন সে গল্প আমরা জানতে চাই না, তাঁরা আমাদের জন্য কী কাজ করছেন জানান। ইয়াশের সময় টিআরপি পেতে হাঁটু জলে লোককে সাঁতার কাটালেন, কিন্তু এখনও সেখানের গ্রামগুলোয় খাবার জলের অভাব–সে খবর দিন।
হে খবর বিক্রিকারী আপনারা সাবালক হোন, আপনাদের বিবেক জেগে উঠুক।