আপনি কি এই লক ডাউনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিস কিনছেন? আপনার কি মনে হচ্ছে এই মহাসংকটের মূহূর্তে আপনার ব্যবহারের জিনিস কম পড়তে পারে এবং যথেষ্ট জিনিস মজুত থাকা সত্ত্বেও বারবার বাজার থেকে বিভিন্ন সামগ্রী কিনছেন? তবে অবশ্যই সাবধান হোন। আপনি সম্ভবত: FORO-তে ভুগছেন।
হ্যাঁ, FORO অর্থাৎ কিনা ফিয়ার অফ রানিং আউট। আসলে প্রয়োজনের জিনিস কম পড়তে পারে এমন চিন্তা অনেক সময় অতিরিক্ত উদবেগ তৈরি করে। তার ফলে অতিরিক্ত জিনিস সংগ্রহ করার প্রবনতা দেখা যায়। এমনটাই দেখা গেছে বিদেশেও। The Economics Times এর রিপোর্ট অনুযায়ী এই লক-ডাউনের জেরে উদবিগ্ন মানুষ পাঁচশো শতাংশ বেশি টয়লেট পেপার কিনেছে এই কয় দিনে।
এমন আচরণের কারণ হিসাবে বলা চলে বিপদের সময় মানুষের চিন্তায় যৌক্তিকতার অভাব ঘটে। যেমন সাধারণত: হয়তো যে মানুষের বছরে একশোটা টয়লেট রোল লাগে সে এক মাসের জন্য পাঁচশোটি রোল সংগ্রহ করলো। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রচুর মাস্ক, স্যানিটাইজার কিনে অনেকেই জড়ো করেছেন ফলত: বাজারে চাহিদার সঙ্গে যোগান তাল মেলাতে পারে নি। আমাদের জন্য প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন যে ডাক্তাররা বা স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁরা সত্যি প্রয়োজনে একটাও মাস্ক বাজারে পান নি।
এই ধরণের অসংযত আচরণের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে গেলে চিন্তায় কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এই অবস্থায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা নিজেদের সুরক্ষার কথা ভাবতে গিয়ে যেন ভুলে না যাই আমাদের সহ নাগরিকের সুরক্ষা ও স্বাচ্ছন্দ্য সমান জরুরী। কাজেই অতিরিক্ত জিনিস কিনে ঘর বোঝাই করে রাখলে অন্যরা বঞ্চিত হতে পারেন। বিশেষত: এই ছোঁয়াচে অসুখে আমি সুরক্ষিত থাকলেই চলবে না, আমার পড়শীকেও সুরক্ষিত থাকতে হবে। এই সহজ বোধ কিন্তু উদবেগের কারণ হিসাবে যে অযৌক্তিক চিন্তা কাজ করে তা নির্মূল করতে পারে। তাই ভাবুন, আপনি কি ফোরো-র শিকার হবেন?