আমরা সামাজিক প্রাণী। আমরা সমাজে থাকি এবং নিজেকে উন্নতিশীল করার উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা আমাদের সমাজ নির্মাণ করি। বিগত কিছু মাস আমরা সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা শুনছি। নিজের পরিবার এবং নিজেকে সুস্থ রাখতে আমাদের এখন কিছু বিধিনিষেধ মেনে চলতে হচ্ছে। কিন্তু সামাজিক দূরত্ব মানে মনের দূরত্ব নয়। করোনা যুদ্ধে আমরা কেবলমাত্র তখনই জিতবো যখন আমরা মজা না দেখে প্রত্যেক কর্মীকে তাদের কাজ বিনা বাধায় করার পরিবেশ দিতে পারবো। আমরা আলাদা আলাদা ভাবে কোনো দিন বিজয়ী হতে পারবো না। একটা ছোট্ট ঘটনা চিন্তাধারার কতটা পরিবর্তন ঘটায় সেটা এই গল্পের মাধ্যমে বলছি।
আফ্ৰিকার দরিদ্রতম একটি গ্রাম। এতটাই দরিদ্র যে সেখানে সাত সন্তানের জননী একটি মা একটু তরকারির খোসা দিয়ে রুটি তৈরী করে নিজে খান, বাচ্ছাদের খাওয়ান, বিক্রিও করেন। রাতে যখন গল্প বলে ভুলিয়ে বাচ্ছাদের খাওয়ান, ওরা খেতে চায় না,কাঁদে। মা তখন বলেন আমরাও একদিন থালাভরা ভাত খাবো, শীঘ্রই …..
এক দিন সেই গ্রামের স্কুলে রেস হবে। বিজয়ীর পুরস্কার মেডেল নয় ….ট্রফি নয় ….
এক ঝুড়ি খাবার – রুটি, বিস্কুট, কেক, চকলেট এসব।
ওদের মধ্যে খুব উৎসাহ। পরদিন রেস শুরু হবে। জীর্ণ বাচ্ছারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে। ‘On your mark… Ready… Steady.. Go’…..
দৌড় শুরু। কিন্তু এ কি কান্ড!! বাচ্ছারা দৌড়োতে দৌড়োতে এক জন পাশের জনের হাত ধরে ফেলল। হাতে হাত ধরে দৌড়!
কেউ হারেনি! সবাই জয়ী!! দৌড় শেষে দু হাত তুলে নাচ! Ubuuntu! Ubuuntu!!
রক্তচক্ষু শিক্ষকের জিজ্ঞাসু চাহনি, এমনতো কথা ছিলো না। এর মানেটা কি?
শিশুদের জবাবঃ আমরা কেউ একা জিতলে অন্য ক্ষুধার্ত বন্ধুকে না দিয়ে কোন আনন্দে খেতাম?
শিক্ষকের থোতা মুখ ভোঁতা!! Ubuuntu-আফ্ৰিকার Xhosa সংস্কৃতিতে যার অর্থ “I’m bcoz we are”!!
আমরা আছি, তাই আমি আছি
আমরা না হলে আমি কে?
লাখ কথার এক কথা ,এবং ……শেষ কথা