আজকাল নীরব থাকতে ভাল লাগে।
বাদুলে দুপুরের গপ্পসপ্প —
রুগ্ন বিছানায় মুখোমুখি দুটো ‘খণ্ড ত’ –
ঝগড়ুটে শালিখ,
ভিটেছাড়া ঘুঘু,
ছুপা রুস্তম ডাহুকের ডাক
টেনে নিয়ে ফেলে ইতিহাসে —
সেখানে রোমিলা থাপার নেই,
ছোটবেলা আছে।
পেত্নি চতুর্দশী
প্রথম সম্ভোগ
বহতা গঙ্গায়
কৈশোরের শব
লখীন্দরের মতো
ভেসে যায়।
ভিয়েনের ঢিমে আঁচে
সাদা মনে পাক ধরে
উবু হয়ে বসে দেখি,
তুমিও দেখছ।
লালকালো সোয়েটার
সাদাকালো ছবির পাকদন্ডী বেয়ে
রাগমোচনের উত্তুঙ্গ শিখরে ওঠে,
মুক্ত হয় –
ডানাওয়ালা পরীদের মতো।
দেওয়ালির রাত শেষে
জ্বালানি ফুরোনো ফানুস
নেমে আসে
তোমার রুক্ষ ত্বকে,
বুকে
নাভিতে
মিশে যাবে বলে —
পারে না।
এত জাগতিক লোভ ছিল তোমার,
বাড়ি, গাড়ি,
গয়নাগাটি —
না থাকলে দুনিয়ায় বড্ড হ্যাটা।
অথচ,
যাবার আগে কিচ্ছু নিলে না আকাশি সুটকেসে গুছিয়ে,
শুধু আমার হাতের পাটকাঠির মিটমিটে আগুনটুকু ছাড়া।
ওটা এখনো জ্বলছে।
আমার নাভিমূলে।
টের পাও তুমি?
সাঁকোটা ভেঙেও ভাঙেনি —
পারাপার অসম্ভব নয়।
১২,ই মে, ২০২৪