দেখতে দেখতে বেশ কয়েক বছর হয়ে গেল ডাক্তারি পেশায়। হাজার হাজার মানুষের সাথে কথা বলেছি এই সময়ে। প্রত্যেকটি মানুষ এক এক রকমের। এক এক জনের চিন্তা ভাবনা সংস্কার আচার আচরণ কথাবার্তা শিক্ষাদীক্ষা এক এক রকম। এটা হবেই – বড় কোন কথা নয়।
অশিক্ষিত মানুষকে যেমন দেখেছি – কিছু না বুঝে হল্লা করতে, তেমনি অশিক্ষিত অনেক মানুষকেই দেখেছি – ডাক্তারের কথাবার্তা তাঁরা ভগবানের বাণীর মতো মেনে চলেন।
আবার শিক্ষিত মানুষের ক্ষেত্রে ও দু’রকম ঘটনা বহুবার দেখেছি। এবার কোন ক্ষেত্রে কত শতাংশ লোক ভালো বা খারাপ, সেটা বিচার করতে বসে একটা অদ্ভুত ব্যাপার খেয়াল করেছি।
যদিও আমার নিজস্ব চিন্তা ভাবনা, তবু না বলে পারছি না -শিক্ষিত মানুষ, মানে যাঁদেরকে অন্ততঃ ডিগ্রীধারী বলা যায় (দয়া করে ডাক্তারদের আলাদা করে দেখার দরকার নেই), তাঁদের মধ্যে একটা সামান্য অংশই প্রকৃত অর্থে একজন সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠেন।
এবার আমার মতে, এই সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠার ব্যাপারটা বেশ জটিল। জটিল কারণ, হঠাৎ করে একদিন সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠা যায় না। হঠাৎ করে মানবিক গুণাবলী কোন মানুষের মধ্যে ঢুকে পড়ে না। যদি হঠাৎ করে কারো মধ্যে এটা দেখা যায়, তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেটা কোন লাভের জন্য। সে লোভ হতে পারে টাকা পয়সা, প্রতিপত্তি, প্রচারের।
সত্যিকারের সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য একজন মানুষকে নিজের ভেতরে ভেতরে তৈরি হতে হয় ছোটবেলা থেকে। পারিপার্শ্বিক পরিবেশ থেকে মানবিক গুণাবলীকে নিজের মধ্যে ধারণ করতে হয় অতি যত্ন করে। ধরে রাখতে হয় আরো অনেক কষ্ট করে। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে এসে প্রতিটি দিন সেটা প্রাকটিস করে চলতে হয়। তার মধ্যে থাকে – আচার আচরণ ধর্ম সংস্কার ইত্যাদি নানা বিষয়।
অবশ্যই সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি থাকে। তারপর থাকে সমাজ তথা সমাজের সামগ্রিক পরিস্থিতি। সে হতে পারে সমাজনীতি অর্থনীতি রাজনীতি সাংস্কৃতিক দিক। কেউ একটু বেশি টাকা পয়সা ইনকাম করলেই যেমন খারাপ হয় না, তেমনি টাকা পয়সা ইনকাম করতে না পারা মানুষও সবসময় ভালো হয় না। উল্টোটাও সত্যি।
এবার এই সব মানুষের মধ্যে কয়েকটি বছর কাটিয়ে ফেলেছি। বৈচিত্র্যময় আচার আচরণ ধর্ম সংস্কার – এইসব নিয়েই ডাক্তারি পেশায় চালিয়ে যাচ্ছি। এসব নিয়ে যে ঝামেলা হয় না, তা নয়; কিন্ত একজন ডাক্তার হিসেবে সেগুলো সামলে নিতে পেরেছি এ যাবৎ।
মাঝে মাঝে খারাপ লাগে। তবু ভাবি – এই বৈচিত্র্য আছে বলেই হয়তো একটা সমাজ ভালো মন্দ নিয়ে চলতে থাকে। থেমে যায় না।
কিন্ত ইদানীং দেখছি – কখনো কখনো ঘটনাগুলো বড্ড চোখে লাগছে। সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একটা বড় পরিবর্তন এসে গেছে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে। তথাকথিত শিক্ষিত অশিক্ষিত নির্বিশেষে মানুষের সামাজিক ব্যবহারের মান এ একটা চরম অধঃপতন ঘটেছে। কি জানি কেন।
তবে সেটাকে মোটেই অসচেতন মানুষের হঠাৎ সচেতন হয়ে গিয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ বা ধর্ম বা সংস্কার বা বাকস্বাধীনতার অধিকার বলে মেনে নেয়া যায় না। বরং খানিকটা হলেও নোংরামি বলা যায়!
যে ঘটনা বলতে চাই – সেটা এই সেদিনই ঘটলো।
অনেকেই জানেন – এখনকার সমাজে একটি নতুন ট্রেণ্ড চালু হয়েছে – কোন মহিলা গর্ভবতী হলে, বাচ্চা জন্মানোর সময় আগে থেকে শুভ দিনক্ষণ ঠিক করে সিজারিয়ান অপারেশন করা। না এটাকে মোটেই অশিক্ষিত ভাববেন না। বরং এঁদের বেশিরভাগই যথারীতি আমাদের সমাজের প্রতিষ্ঠিত মানুষ। তথাকথিত শিক্ষা, টাকা পয়সা প্রতিপত্তি কোনটাই কম নেই এঁদের! এঁরা বরং টাকা পয়সা দিয়ে উল্টে পাল্টে দিতে চান বা পারেন সবকিছু! দেনও!
এবং আমি অবাক হই না মোটে – বিজ্ঞানসম্মত পড়াশোনা করা মডার্ন মেডিসিনের ডাক্তাররাও, ক্রমাগত পাল্টে যাওয়া সামাজিক চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে, মানিয়ে নিতে গিয়ে, বলা চলে বিজ্ঞানসম্মত জ্ঞান ব্যবহার করেই এইসব অসামাজিক মানুষদের চাহিদা পূরণ করে চলেছেন!!
যে বাচ্চাটি সঠিক সময়ে হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই জন্ম নিত, তাঁকে হয় আগে বা পরে সিজারিয়ান অপারেশন করে পৃথিবীর মুখ দেখানো হচ্ছে! যদিও এই কাজের বিজ্ঞান সম্মত উপকারিতা কোথাও কোনভাবেই প্রমাণিত হয়নি, কিন্ত এটা চলছে। রমরমিয়ে চলছে।
একজন খুব সাধারণ ডাক্তার হিসেবে সত্যি বলতে এটা পাল্টে দেয়ার বা বন্ধ করার ক্ষমতা আমার নেই। অতবড় সমাজকর্মীও আমি নই। কিন্ত যখন এই ঝামেলা ঘাড়ে এসে পড়ে – বুঝতেই পারছেন বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।
একজন মহিলার পেটে আট মাসের বাচ্চা। এসেছেন চেকআপ করাতে। প্রথমতঃ দাবি তুললেন – পেটে ছেলে না মেয়ে আছে জানাতে হবে। কারণ বিদেশে নাকি এসব বলে দেয়া হয়।
আমি হেসে হেসে বললাম – তাহলে একটা কাজ করি। আমাদের দেশের আইন কানুন মেনে পুলিশকে বলি আপনাকে বিদেশে পাঠিয়ে দিতে!
তথাকথিত শিক্ষিত – অতএব বুঝতে পারলেন কি বলেছি।
দ্বিতীয় দাবি তুললেন – ঠিক কবে বাচ্চা জন্মাবে?
বললাম – এই রিপোর্ট অনুযায়ী বাচ্চা জন্মানোর স্বাভাবিক সময় আর পাঁচ সপ্তাহ পর। সব সময় সেটা যে হবেই, তার কোন মানে নেই।
মহিলা ব্যাজার মুখে রিপোর্ট করিয়ে চলে গেলেন।
অনেকেই জিজ্ঞেস করেন এইসব। আজকাল গায়ে মাখি না।
পরদিন সকালে যথারীতি মারাত্মক ঝামেলি কাজের জায়গায়। রিপোর্ট ভুল হয়েছে – এই বলে তুমুল হল্লা।
তো এই ঝামেলির মাঝেই, কাজের জায়গা থেকে আমার কাছে ফোন। – স্যার আপনি কোথায়? জলদি আসতে হবে। বলছে রিপোর্ট ভুল।
আমি যতদিন ডাক্তারি করছি, ততদিনই একটা বিষয় মেনে চলার চেষ্টা করেছি। খুব সাধারণ জ্ঞান নিয়ে যে কাজটুকু করি, সেইটুকু নিয়ে সততা বজায় রাখি। সবকিছু জানি না, কিন্ত যেটুকু জানি, কাজের সময় সেটা ব্যবহার না করে ফাঁকি দিই না। এটা সব ডাক্তারই করেন বলে আমার বিশ্বাস।
এবং এই বিশ্বাস থেকেই, আমি সবসময়ই, কোন রকম ঝামেলা হলে প্রথমেই ছুটে যাই। সবাইকে বলে রাখি – আমাকে আগে নিজেকে দেখতে হবে কোথায় কি ভুল। যদি অন্য কেউ প্রশ্ন তোলে, সেক্ষেত্রে আমার ভুল আমি আগে শোধরাবো। তারপর অন্য কথা।
এবং রোগীর বাড়ির লোকজনের কাছেও আমার এই বিনীত অনুরোধ প্রথমেই রাখার চেষ্টা করি। কি জানি কেন – আমার বিশ্বাস হয় – মানুষকে বোঝাতে পারলে তাঁরা বুঝবেন। হয়তো বোকা বোকা । কিন্ত আমি এটাই করি, এবং করবো।
দৌড়ালাম চা এর কাপ ফেলে। গিয়ে দেখলাম – অসংখ্য মানুষ। তাঁদের একটাই দাবি – রিপোর্ট ভুল। কেন হলো?
দাঁড়ালাম সামনে। স্বাভাবিকভাবেই আমার এক্ষেত্রে লুকানোর কিছু নেই। ভুল হলে ভুল। না হলে নেই।
বাড়ির লোককে ডাকলাম। বললাম – চিল্লাচিল্লি সব করবেন। যা যা খুশি করবেন। কেউ পালিয়ে যাবে না। কিন্ত তার আগে বলুন কোথায় ভুল এবং কেন সেটা ভুল? কে বলেছে যে – এই রিপোর্ট ভুল।
জন চারেক একসাথে চেঁচিয়ে উঠলো। অসভ্য ভাষার ব্যবহার। অথচ দেখে শিক্ষিতই মনে হলো।
বললাম – আপনারা যদি চেঁচামেচি নাও করেন , যদি বলেন যে ভুল হয়েছে, তাহলে সেটা প্রমাণ করার জন্য প্রথমতঃ আমাকে রোগীকে একবার ফের দেখতে দিন। আমার ভুল, মেশিনের ভুল, টাইপিং এর ভুল – ইত্যাদি নানারকম ভুল হওয়া সম্ভব। না দেখতে দিলে – কোনটাই বলা সম্ভব নয়।
রিপোর্ট দেখালেন। ভালো করে খুঁটিনাটি দেখলাম। নামধাম, বাচ্চার বয়স, হার্ট রেট, তারিখ, সব মাপগুলো।
বললাম – ভদ্রমহিলাকে ভেতরে ঢোকান। টেবিলে শুয়ে পড়তে বলুন।
ততক্ষণে আশেপাশের লোকজন, বাড়ির লোকজন শ্রাব্য অশ্রাব্য ভাষার সুললিত ব্যবহার করে চলেছেন।
সেদিকে কান দিলে নিজের মাথা ঠিক থাকবে না ভেবে আমি নিজের কাজ করবো ঠিক করলাম।
ফের পরীক্ষা করলাম। ভালো করে খুঁটিনাটি দেখলাম ফের। সব মাপ ফের একদম কপিবুক স্টাইলে মাপলাম। যেমন যেমন বইয়ে পড়েছি – ঠিক তেমন করে। আগের দিনের রিপোর্ট মেশিন থেকে ফের চেক করলাম।
না! কোথাও কোন গোলমাল নেই।
সাধারণত সাত মাস বয়সের পর মেশিনের দেওয়া হিসেব অনুযায়ী, ডাক্তারি নলেজ অনুযায়ী, মেশিন ভেদে, ডাক্তার ভেদে তিন সপ্তাহের ব্যবধান গ্রহণযোগ্য।
কারণ, এই মাপগুলো মেশিনে সেভাবেই একটা রেঞ্জে দেওয়া থাকে। কোন মেশিনই কোনদিন একশো শতাংশ নিখুঁত হয় না । সে নিখুঁতের কাছাকাছি একটা মাপ দেয়। বাকিটা নির্ভর করে অপারেটরের উপর।
কিন্ত বড়াই না করেই বলছি, আমার ভালো কপাল না রোগীর খারাপ কপাল কে জানে, যথাসম্ভব নিখুঁত মাপ নিয়ে আমি দেখলাম, ঠিক আগের রিপোর্টের চেয়ে একদিন বেশি!
বলে রাখি – এক্ষেত্রে চুরি করে রেঞ্জের মধ্যে মপের অদলবদল করা সম্ভব!! কম করে হলেও তিন সপ্তাহ অব্দি করা যায়!! অপারেটর তথা ডাক্তার সেটা কোন প্রয়োজনে করবেন কিনা – সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার।
কিন্ত আমার সেরকম করার দরকার পড়েনি এখনো অব্দি। অতএব কপিবুক ডাক্তারিই ভরসা।
বেরোলাম – বললাম – কে কোথায় কিভাবে বলেছে যে রিপোর্ট ভুল আছে?
মেজাজ খানিকটা হলেও গরম হয়েছে। কখনো কখনো এগুলো পাত্তা না দিয়েই ছেড়ে দিই। আজ পারলাম না।
মনে পড়লো – মাঝে মাঝে না কামড়ে ও ফোঁস করা যায়!
বাড়ির লোক এবার আর কোন কথাটি বলছে না।
আমি একটু রেগেই বললাম – কোথাও কোন ভুল নেই। বাচ্চা থেকে শুরু করে মা এবং রিপোর্ট – একটা ভুলও নেই। এবার ঠিক করে আসল উদ্দেশ্য বলুন, না হলে অকারণে হ্যারাসমেন্ট করার জন্য আপনাদের নামে পুলিশে জানাবো। সবকিছু নিয়ে তো আর মজা করা চলে না! বলুন, না হলে ছাড়বো না কিন্ত। আপনাদের ফোন নাম্বার, আধার কার্ড সব আছে।
আমি জানি – কষ্ট করেও এঁদের মতো একটাও অশ্রাব্য শব্দ আমি ব্যবহার করতে পারবো না।
আশেপাশের লোকজন এতোক্ষণে হয় চুপ করে এদিক ওদিক তাকিয়ে আছে ।
কেউ কোনরকম টু শব্দটি করছে না।
বাড়ির লোকজন এবার আর পারলো না। একজন বলে উঠলো – আরে আমরা কি বলবো ? ডাক্তারই তো বললো – এই রিপোর্টে বাচ্চার বয়স কম আছে। তিথি অনুযায়ী বাচ্চার জন্ম হবে না। আমাদের হিসেবে সেটা তো ভুলই!
আমি অবাক হলাম। আমার মেজাজ চড়ে গেল। বাচ্চা কে তিথি অনুযায়ী জন্ম দিতে হবে – এই দাবি এঁদের। কিন্ত কি অবলীলায় একজন ডাক্তারের নামে দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে!! ইচ্ছে করছিল – পাতি বাংলা ভাষায় এঁদের বুঝিয়ে দিই কোন মূর্খের স্বর্গে বাস করছে এঁরা!
কিন্ত সেটি হবে না। অনেকক্ষণ মাথা গরম হয়ে আছে। এবার হাসতে হবে।
বললাম – আপনাদের হিসেবে যদি কম থাকে, তো এক কাজ করুন। রিপোর্টটা আপনারাই বানিয়ে নিন। না হয় পেটের বাচ্চাকে এখনই হরলিক্স আর কমপ্ল্যান খাইয়ে দিন। আর তারপর জ্যোতিষ শাস্ত্র মেনে নিজেরাই বাচ্চাটাকে বের করে নেবেন! না হলে জ্যোতিষীর কাছেই চলে যাবেন!! তারপর কানে কানে বলে দেবেন – তোকে এইরকম কত কষ্ট করে করে বের করেছি। এবার তুই নোবেল পুরস্কার না পেলে কিন্ত চলবে না!!
সবাই দাঁত কেলিয়ে হাসছেন।
বললাম – এখন হাসছেন! অথচ একটু পরই ফের জ্যোতিষীর কাছে ছুটবেন!! অকারণে ডাক্তারদের দোষারোপ করা বন্ধ করুন। এই যে সকাল বেলা এসে ঝামেলি পাকিয়ে সব কাজের সাড়ে বারোটা বাজিয়ে দিলেন, এর জন্য মিনিমাম লজ্জাবোধ হওয়া উচিত আপনাদের।
বাড়ির লোকজন আর কিছু বলার নেই দেখে – ‘ভুল হয়ে গেছে ডাক্তার বাবু’ – বলে সুরসুর করে কেটে পড়লো।
প্রফেশনাল হ্যাজার্ড ভেবে আমিও কাজে মন দিলাম।
কিন্ত এইভাবে, প্রতিনিয়ত তথাকথিত শিক্ষিত, অশিক্ষিত নির্বিশেষে বিভিন্ন রকম মানুষের, সাধারণ বোধবুদ্ধির চুড়ান্ত অভাব, তার ফলে তৈরি হওয়া অসংখ্য ঝামেলি সামলে ডাক্তারির মতো একটি কাজ করা যে কি কঠিন, সেটা ভুক্তভোগীরা ই জানেন!
তার উপর এইসব লোকজনের ব্যবহার করা ভাষা! মাঝে মাঝে জাস্ট অসহ্য। ঝামেলি মিটে যায় – কিন্ত আশেপাশের লোকজনের ভাষার ব্যবহার দেখে মনে হয় – একজন সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে।
প্রকৃত বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য দরকারি পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি আমাদের দেশে। তাই, মহান জ্যোতিষীরা এদেশে সর্বসমক্ষে ধাপ্পা দিয়ে চলে সবাইকে!
আর তার ফলস্বরূপ ঝামেলি পোহাতে হয় আমাদের মত অপয়াদের!!
যুক্তি তর্ক দিয়ে কোন কিছু মানা বা না মানার জন্য, সবশেষে একজন সামাজিক মানুষ হয়ে ওঠার জন্য – সমাজে এখনো বিজ্ঞান শিক্ষার বিকল্প নেই।
সেই পথে না যেতে পারলে, ঝামেলি চলবেই।
সঠিক বলেছেন।
বাবা মা সারাদিন ফোন মুখে গুঁজে বসে থাকলে ছেলেমেয়েরা তো মোবাইল ছাড়া খাবে নাইই ।
আমরাই দায়ী