গণ বিজ্ঞাপন আর গণ মার্কেটিংয়ের কিছু সমস্যা আছে। দানবিক হারে গণ উৎপাদন হলে একইরকম দেখতে অনেক পণ্য আসবে বাজারে।
আপনার আশে পাশে যখন অনেকে আপনার মত একরকম জামা জুতো পরে ঘুরবে তখন সামান্য হলেও সমস্যা ত বটেই।
আর শুধু জামাকাপড় নয়, অন্য অনেক কিছুতেও একই ব্যাপার।
বিদেশে আইকিয়া আসার পর আমাদের মত অসংখ্য খেটে খাওয়া ডাক্তার আর মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তরা ভিড় জমিয়েছিলো আইকিয়ার স্টোরে। ছোটখাট একটা শহর ও অবিশ্বাস্য কম দামে আসবাবপত্র। আইকিয়া যেহেতু সুইডেনের কোম্পানি, তারা তাদের আসবাবপত্রের নাম রাখতো সুইডিশ ভাষায়। আর আইকিয়ার ক্যাটালগ যেহেতু ঘরে ঘরে মজুত, তাই ওই নামগুলো অনেকেরই মুখস্ত ছিলো। বাড়িতে অতিথি অভ্যাগতরা আপনার বাড়ির চেয়ার ,টেবিল, সোফাকে ফুরকান্টিগ, গ্রণকুলা, দ্যাগস্তরপ,স্মর্বল ইত্যাদি আদুরে ডাকনাম ধরে ডাকাডাকি করতো। মহা বিরক্তিকর অবস্থা!
অবশ্য আগেও যে হতো না তা নয়। ছোটবেলায় পুজোতে এক থানের থেকে আমাদের ভাইবোনেদের জামা ফ্রক হতো। আমার এক ফ্যাশন বিচক্ষণ তুতো দাদা বলেছিল, ভুলেও প্যান্ডেলে আমার ধারে কাছে আসবি না এক জামা পরে।
এখন আরো সমস্যা। এলেন-সলি সস্তায় কয়েকটা শার্ট একসাথে বিক্রি করছিলো। কেনার পর ওটির চেঞ্জিং রুমে নিজের জামাটা খুঁজে পেতে সমস্যা হতো। সব একরকম জামা। শ্রীলেদার্স-এর জুতো নিয়েও এক সমস্যা। কোন মিটিং-এ জুতো খুলে ঢুকলে বেরিয়ে দেখি সারি সারি একরকম দেখতে কাবলি জুতো। এখন খুঁজে নিজেরটা বার করাটা বিড়ম্বনা বিশেষ।
পুজোতে মা একটা জামা দিয়েছে, বোধকরি কেউ অনলাইনে এনে দিয়েছে। ষষ্ঠীর দিন সেটা পরেছিলাম। পিজি হাসপাতালের সামনে লাল আলোতে দাঁড়িয়ে দেখলাম গাড়ির সামনে দিয়ে একটা লোক হুবহু এক জামা পরে চলে গেলো।
কি মুশকিল!