আর্যতীর্থের কবিতা
আচমকা আজ কালো মেঘের বৃষ্টি হওয়ার খেয়াল হলো,
সেই যে তোমার হঠাৎ আদর করতো রুটিন এলোমেলো,
ঠিক তেমনই।
ঠিক তেমনই সুখের আবেশ, কাজের মাঝে প্রেমের চিঠি,
দরজাটাকে আগলে ধরে হাসতে যেমন মিটিমিটি,
সেই অতীতে।
সেই অতীতেই টাইমমেশিন নিয়ে ফেলে এমন দিনে,
দুঠোঁট যখন কারণবিহীন নিতো পথের হদিশ চিনে,
শরীর জুড়ে।
শরীর জুড়ে বৃষ্টিবাদল, অঝোর আদর দিনদুপুরে,
স্মৃতির ভেতর সেই আদলই পরীর মতো বেড়ায় উড়ে,
বৃষ্টি এলেই।
বৃষ্টি এলেই কি যেন হয়, একাই ঘুরি তখন ছাদে,
ভিজতে থাকা দোপাটিরা হাসছে তখন কি আহ্লাদে,
তোমার মতো।
তোমার মতো মুহূর্ততেই বাঁচা হিসেব সহজ করে,
আগামী খুব ভয় দেখালেও যায়না আজ-এর ফোকাস নড়ে,
বড্ড কঠিন।
বড্ড কঠিন বিষাদ ছেঁকে সুখের গুঁড়ো কুড়িয়ে নেওয়া,
শিখতে চেয়েও হয়না শেখা আজকে শুধু পাত্তা দেওয়া,
চেষ্টা বেকার।
চেষ্টা বেকার তোমার মতো উড়িয়ে নেওয়া দমকা প্রেমে,
আজও ডিফেন্স পোক্ত রাখি চুমুর মাঠে খেলতে নেমে,
জানোই সেটা।
জানোই সেটা হয়তো বলেই এখন আদর সামলে রাখো,
নিঝুম রাতে মোবাইল জ্বলে, পাশবালিশের ওপার থাকো,
আমারই দোষ।
আমারই দোষ সবসময়ে তোমার ঢেউয়ের জন্য থামা
আজও আমার বাধো বাধো আদর করার হলফনামা,
হয়নি বদল।
হয়নি বদল, হবেও না আর, কি আর বলো করতে পারি,
চলতি হাওয়ার বিপরীতে ভুল ভূমিকায় পুরুষ নারী,
ভাবতে পারো।
ভাবতে পারো তেমন বটে কিন্তু তাতেও ভুল রয়েছে,
পুরুষ প্রথম হাত বাড়াবে এমনটা কে ঠিক করেছে,
কোন নিয়মে?
কোন নিয়মে লিলিথকে নয়, ইভকে আদম সঙ্গী নেবে
পুরুষ নারীর মনিব হবে আদরখেলায় কোন হিসেবে?
উল্টিয়ে দাও,
উল্টিয়ে দাও তামাদিকে, হাত বাড়ানোর দায়িত্ব নাও,
সেই পুরনো তোমার মতো, বরফ থেকে আগুন জ্বালাও।
বৃষ্টি পড়ে, চাইছি তুমি দরজা আবার আগলে দাঁড়াও।