আপনারা সকলেই জানেন ‘করোনা অতিমারী’ গোটা দেশের মত এই রাজ্যেও দ্রুতহারে বাড়ছে এবং ‘গোষ্ঠী সংক্রমণ’ প্রত্যহ আমাদের কঠিনতর চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে। সুস্থ হয়ে ওঠার হার কিছুটা হলেও কমেছে। এটা যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। তার সাথে নূতনতর সমস্যা হল হাসপাতালে বেডের বিশেষত ‘ক্রিটিক্যাল কেয়ার’ বেডের অভাব। মোট লভ্য বেড বা ক্রিটিক্যাল কেয়ার বেড প্রথম থেকেই কম ছিল। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কিছু নূতন বেডের সংস্থান করা গেলেও তা সামগ্রিক চাহিদার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। এই সঙ্কট আগামী দিনে আরও বাড়বে। তাহলে এই মুহূর্তে আপনার আমার করণীয় কি?
কয়েকটা বিষয় বোধহয় এখনই সম্যক বুঝে নেওয়া প্রয়োজন:
১৷ যে কোনও পজিটিভ ব্যক্তির হাসপাতালে ভর্তি থাকার দরকার নেই। লক্ষণহীন বা সামান্য লক্ষণ সমন্বিত রোগী বাড়িতেই থাকতে পারেন। প্রয়োজন বাড়িতে নিয়মিত তত্ত্বাবধান এবং পরিস্থিতি নিম্নমুখী হলে সত্বর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা। এই সঙ্কটের সময়ে এই ধরণের অনেক রোগী দশ থেকে ষোল-সতের দিন হাসপাতালে থাকছেন। ফলত অনেক রোগী যাঁদের ভর্তি হওয়া অনেক বেশি জরুরী তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন।
২৷ এই জায়গায় ভীষণ প্রয়োজন সঠিক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গী এবং উদ্যোগ। অনেক লক্ষণহীন বা সামান্য লক্ষণ সমন্বিত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হতে বাধ্য হচ্ছেন সামাজিক কারণে, প্রতিবেশীর ভয়ে, অসহযোগিতায় এবং অত্যাচারে। এই ধরণের রোগীরা যদি প্রশাসন এবং প্রতিবেশীর থেকে পূর্ণ সহায়তা পান তাহলে এঁদের বেশিরভাগই বাড়িতে সুস্থ হয়ে উঠবেন। হাসপাতালে বেডের অভাব কিছুটা হলেও কমবে। পৃথিবীর বহু স্থানে এই সত্য পরীক্ষিত।
৩৷ ‘লকডাউন’ কোনও দীর্ঘমেয়াদী সমাধান নয়। এ বিষয়ে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। আর্থিকভাবে নিম্ন এবং নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষ এর ফলে যে অপরিমেয় ক্ষতির শিকার হয়েছেন তার অভিঘাত হবে সুদূরপ্রসারী। সেই কারণে রোগ প্রতিরোধে অজস্রবার প্রচারিত স্বাস্থ্যবিধি পালন করা অত্যন্ত জরুরী।
৪৷ বিভিন্ন এলাকায় ছোট,বড়, মাঝারি ‘সেফ হোম’ গড়ে তোলা আবশ্যক সেই সব লক্ষণহীন বা সামান্য লক্ষণ সমন্বিত রোগী ও তাঁদের পরিজনদের জন্য যাঁদের বাড়িতে থাকার মত ন্যূনতম পরিকাঠামোর অভাব।
৫। এলাকায় এলাকায় চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিজ্ঞাননিষ্ঠ মানুষদের নিয়ে স্থানীয় ভিত্তিতে সুরক্ষা পরিকাঠামো গড়ে তোলা আবশ্যক।
“একদিকে রোগের ভ্রুকুটি, অন্যদিকে জীবিকার সঙ্কট” এর থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজে নিতে হবে বাস্তবসম্মত বিজ্ঞাননির্ভর চেতনায়।
যিনি সামনে থেকে covid এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছেন গত চার মাস ধরে , দেবাশিস তাদের মধ্যে একজন। তাকে কুর্নিশ জানাই। এদের লেখাই আমাদের দরকার।
Very informative and well explained. Thank you Dr Dutta
Read it yesterday in FB.very informative and honest discussion in a simple language
Sir খুব ভালো লিখেছেন।
Thanks Dr. Dutta. Very important message to all of us. I am forwarding this to many more.
No wonder so many people love , respect and consciously try to emulate you Sir!
May God be with you.
Kausik.