প্রথম বিভাগ:
বাড়িতে থাকা রুগী- এধরণের রুগী বাড়িতে থাকেন বলে ছুটির প্রশ্ন নেই কিন্তু হোম আইসলেশনের মেয়াদ হল উপসর্গ দেখা দেয়ার দিন থেকে ১৭ দিন অবধি। মেয়াদ শেষ হলে আগের মতো চলাফেরার স্বাধীনতা থাকবে। আরেকবার কোভিভ টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।
দ্বিতীয় বিভাগ:
এধরণের রোগীরা মাইল্ড বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত। এরা যদি গত তিনদিন যাবৎ জ্বর হীন থাকে ও অক্সিজেন এর প্রয়োজন হয় নি এদের তাহলে এদের হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে সেফহোম (কোভিড কেয়ার সেন্টার কথাটি এখন ব্যবহার হচ্ছে) বা হোম আইসলেশনে পাঠানো যাবে। যাইহোক, একাধিক কো-মর্বিডিটি যুক্ত রুগীর ক্ষেত্রে দশ দিন অবধি হাসপাতালে রাখাই ভালো। কোভিভ কেয়ার সেন্টার থেকে উপসর্গ দেখার দশ দিন পরে ছুটি। বাকি সাত দিন হোম আইসলেশন। ছুটি দেয়ার আগে আরেকবার কোভিভ টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।
১৭ দিন অবধি হোম আইসলেশন।
তৃতীয় বিভাগ:
এধরণের রুগীরা মডারেট বা মাঝারি ধরণের উপসর্গ যুক্ত। এর সাথে গত তিনদিন যাবৎ মেডিক্যাল অক্সিজেন ছাড়াই রক্তে স্যাচুরেশন এর মাত্রা ৯৫% এর বেশি এবং সমস্ত প্রধান উপসর্গগুলি মিলিয়ে গেছে। এদের কোভিভ কেয়ার সেন্টারে পাঠানো যেতে পারে। এবং সেখান থেকে উপসর্গ দেখার দশ দিন পরে ছুটি। ছুটি দেয়ার আগে আরেকবার কোভিভ টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। ১৭ দিন অবধি হোম আইসলেশন।
চতুর্থ বিভাগ:
এধরণের রুগীরা মডারেট বা মাঝারি ধরণের উপসর্গ যুক্ত। এর সাথে গত তিনদিন যাবৎ মেডিক্যাল অক্সিজেন প্রয়োজন হয়েছে এবং সমস্ত প্রধান উপসর্গগুলি মিলিয়ে যায় নি। এই রুগীদের তখনই ছাড়া যাবে যখন গত তিন দিন অক্সিজেন লাগেনি ও প্রধান উপসর্গগুলি মিলিয়ে গেছে। ছুটি দেয়ার আগে আরেকবার কোভিভ টেস্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই। ১৭ দিন অবধি হোম আইসলেশন।
পঞ্চম বিভাগ:
এধরণের রুগীরা সিভিয়ার বা গুরুতর ধরণের উপসর্গ যুক্ত। এদের ছুটি দেয়ার আগে ক্লিনিক্যাল রিকভারি বা সেরে যাওয়া প্রয়োজন এবং আরেকবার টেস্ট করে নেগেটিভ হতে হবে। এই টেস্ট RT PCR পদ্ধতি অনুযায়ী করতে হবে, রেপিড টেস্ট চলবে না। কোভিভ রুগী যার আরেকবার টেস্ট ফলাফল নেগেটিভ এসেছে কিন্তু দশ দিন পরেও তাকে হাসপাতালে রাখার দরকার পরছে সেক্ষেত্রে তাকে কোভিভ হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে নন-কোভিড হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে।
[তথ্যসূত্রঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ২৪-০৪-২০২১ তারিখের আদেশনামা ]