ইন্টার্নশিপ করার সাত মাস পরেও সার্টিফিকেট না পেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হলেন দুই ডাক্তারি পড়ুয়া। আর জি কর হাসপাতালের ইন্টার্নশিপ করা ওই দুই পড়ুয়ার নাম চন্দ্রমৌলি ঝা ও মৈনাক রায়। তাঁদের অভিযোগ তাঁরা ইন্টার্নশিপ করার পর সাত মাস কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত শংসাপত্র পাননি।
মৈনাক রায় ইন্টার্নশিপের পরে কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট থেকে যে সার্টিফিকেট দেওয়া হয় সেটা পেলেও চন্দ্রমৌলি এখনো পর্যন্ত অর্থোপেডিক ডিপার্টমেন্টের সার্টিফিকেট হাতে পাননি।
প্রসঙ্গত ডাক্তারি ছাত্রদের ইন্টার্নশিপ শেষ হলে কলেজের প্রতিটি ডিপার্টমেন্ট ও কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ সফলভাবে শেষ করার জন্য একটি শংসাপত্র দেওয়া হয়। এই সার্টিফিকেটটি পাওয়ার পর মেডিকাল কাউন্সিল থেকে পার্মানেন্ট রেজিস্ট্রেশন নিয়ে আগামী দিনে হাউসস্টাফসিপ বা অন্যান্য জায়গায় চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেওয়া যায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় এই শংসাপত্রটি হাতে না পাওয়ায় তাঁরা এখনো ডাক্তারির পার্মানেন্ট রেজিস্ট্রেশন পাযননি। ফলে সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা। এখনো পর্যন্ত নতুন করে হাউস স্টাফশিপ বা স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার জন্য আবেদন করতে পারেননি তাঁরা।
দুই পড়ুয়ার অভিযোগের তীর মূলত আরজিকরের বর্তমান অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের দিকে। কারণ গত ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আরজি করে অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে বেশ কিছু পড়ুয়া আন্দোলনে নেমেছিলেন, সংগঠিত হয়ে যেসব পড়ুয়া প্রতিবাদ করেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম দুই মুখ এই চন্দ্রমৌলি ও মৈনাক। সেই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই তাঁদেরকে এইভাবে হ্যারাস করা হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা।