বিগত ৬ সেপ্টেম্বর ‘অভয়া’ হত্যাকাণ্ডের পর মেডিক্যাল কাউন্সিল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অভিক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস’কে মেডিক্যাল কাউন্সিলের সমস্ত রকম কর্মকান্ড থেকে ‘ডি-বার’ করে ছিল। স্বাস্থ্য দফতর আলাদা ভাবে আরেকটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অভিক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে তাদের পিজিটি এবং সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ থেকে সাসপেন্ড করে। এরপরে তাদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি স্থাপন করে স্বাস্থ্য দফতর। সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
কে এই অভিক দে এবং বিরূপাক্ষ মজুমদার?
আপনারা জানেন, রাজ্য জুড়ে যে ‘থ্রেট কালচার’ গড়ে উঠেছে, তার দুই মাথা এই অভিক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। কলেজে কলেজে ছাত্রদের ভয় দেখিয়ে যে ভয়ের পরিবেশ গড়ে উঠেছে তা এদের অবদান। টাকা নিয়ে পাশ করানো, টাকা নিয়ে অনার্স দেওয়া, পছন্দের বিষয়ে হাউসস্টাফশিপ, সরকারের পক্ষে প্রচারে নামতে বাধ্য করা এদের কাজ। সরকারের বিরুদ্ধে কথা বললে শুরু হয় অত্যাচার। শারীরিক এবং মানসিক।
আজ ২ ডিসেম্বর, মেডিক্যাল কাউন্সিলের একটি অধিবেশন ছিল। তাতে অভিক দে উপস্থিত ছিল। এরপর কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টের মুখে শুনতে পেলাম অভিক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস বিরুদ্ধে এই সাসপেনশন তুলে নিচ্ছে, মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই ঘটনা প্রমাণ করে আগের সেই বিজ্ঞপ্তি আদতে ভাঁওতা। মানুষের আক্রোশকে ভয় পেয়েছিল সরকার। এই ঘটনা মোটেই ‘ছোট্ট ঘটনা’ নয়। সরকারের আসল উদ্দেশ্য প্রমাণ করে।
সরকার চায় সারা রাজ্যে ভয়ের রাজনীতির প্রচার।
চায় সারা রাজ্যে থ্রেট সিন্ডিকেট’এর প্রতিষ্ঠা।
সরকার চায় সারা রাজ্যে ‘রেপ কালচার’-এর প্রতিষ্ঠা।
সরকার চায় আপনি চুপ করে থাকুন।
সরকার চায় আপনি মাথা নীচু করে বাঁচুন।
এরপর?
জেনে রাখুন, সরকার সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে চার্জশিট মেনে নেয়নি। অর্থাৎ সন্দীপ ঘোষকে’ও ফিরিয়ে আনতে চায়।
সরকার ‘অভয়া’র সুবিচার চায় না।
সরকার ‘অভয়াদের’ সুবিচার চায় না।
আপনি শুরু থেকে অভয়ার পাশে ছিলেন।
অভয়ার জন্য আপনি গত কাল পথে নেমেছিলেন।
আপনি কি চান অভয়া হেরে যাক?
আপনি কি পরের অভয়ার জন্য আবার অপেক্ষা করবেন?
যদি না চান, তাহলে উপায় একটাই – পথ। পথে নামুন।
আপনিই পারবেন, আপনি পথে নামলেই সরকার ভয় পেতে শুরু করবে।
#বেরসিক