ইস্ট-পাকিস্থানের মুক্তি যুদ্ধ
স্বাধীনতার সময় ভারত ও পাকিস্থানের বিভাজনের সঙ্গে বাংলাও বিভাজিত হয়– পুর্ব ও পশ্চিম। পূর্ব বঙ্গ পূর্ব-পাকিস্থান হয়ে ইসলামবাদের অধীনে আসে। ভাষা ও জীবনযাত্রা নিয়ে সেখানকার অধিবাসী বাঙ্গালীদের সঙ্গে প্রায়ই বাদ প্রতিবাদের সৃষ্টি হয়। পাকিস্থানের কর্তাদের অনেক অত্যাচার বাঙ্গালীদের সহ্য করতে হয়। প্রতিবাদী নেতা শেখ মুজিবর রহমানকে বন্দী করে পাকিস্থানে আটক রাখে। অত্যাচার যখন চরমে ওঠে তখন ভারতের সাহায্যে প্রতিবাদী বাঙালীদের নিয়ে মুক্তি বাহিনী গড়ে ওঠে। তারই প্রতিফল “মুক্তি যুদ্ধ” এবং বাংলাদেশের অভ্যুথান।
সেই যুদ্ধে ভারতকে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতে হয়, মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধও করতে হয়। Main দায়িত্ব ছিল তেজপুরের corps এর, তেজপুরের corps দুভাগে ভাগ হয়ে যায়-Main ও Rear। এই যুদ্ধে Main অংশগ্রহণ করে। আমি যে corps medical baattalion এ urgent posting হয়েছিলাম তার একটা company Main Corps এর সঙ্গে যায়। সকলেই যায় ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া নামক এক জায়গায়।
আমার কোম্পানীকে নিয়ে আমার দুই অফিসার Main Corps-এর সঙ্গে move করে যায়। আমি casual leave থেকে ফিরে এসে ৪ টা ambulance নিয়ে by road Main Corps-এ join করি।
চারদুয়ার থেকে গৌহাটি হয়ে মেঘালয়ে শিলং হয়ে ধম্মানগর হয়ে ত্রিপুরার আগরতলায় রাস্তায় তেলিয়ামুড়া। দিনরাত গাড়ি চালিয়ে আমরা গন্তব্যস্থানে পৌছাই। মাঝে ambulance-এর convoy রাত্রে ভুল করে East Pakistan-এর border এর কাছে চলে গিয়েছিল, যাইহোক Border Security Force-এর সাহায্যে ঠিকপথ ধরি।
তেলিয়ামুড়ায় গিয়ে দেখি, সব bamboo দিয়ে তৈরী অফিস, বাসস্থান ও bamboo hospital তৈরী ওখানকার বিস্তীর্ণ অনুর্বর জায়গায়। যাতায়াতের রাস্তাও তৈরী এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাওয়ার। Military Hospital Silchar ভাগ হয়ে ওখানে বড় হাসপাতাল তৈরী হয়েছিল। শুধু operation theater-এর জন্য টিনের shade ছিল। Corps headquarter-এর কাছে হেলিপ্যাড তৈরী হয়েছিল।
আমার দায়িত্ব ছিল ১০০ bed bamboo hospital এর তত্ত্বাবধান আর Main Hospital-এর reception-এ tea, niscuit ও জলের ব্যবস্থা করা। এছাড়া সকল medical unit-এর officer-দের জন্য officers’ mess চালানো। এছাড়া আমার ADS-কে ready to move-এর দায়িত্বে রাখা। এখান থেকে patient evacuate হত helicopter এ, Rear MH Silchar-এ evacuate করা অথবা serious patient হলে আগারতালা airport থেকে কলকাতা Command Hospital-এ transfer করা।
যুদ্ধও শুরু হয়েছে, কিছু কিছু casualty আসা শুরু হয়েছে—বেশীরভাগ আসত আগরতলা Airport-এ।
আমার company-কে order হল Agartala Airport-এ Dug-in-ADS করার। ২ দিনের মধ্যে complete করে ADS establish করলাম। আমার DDMS visit করে খুবই উৎসাহিত করলেন।
একদিন দেখি airport-এ helicopter-এ Corps Commander নামছেন। দেখলাম ওনার মুখের পাশে রক্ত ঝরছে। শত্রুরা helicopter লক্ষ্য করে গুলি করেছে, সেটা মুখে kiss করে চলে গিয়েছে। Dressing করতে চাইলাম উনি চাইলেন না। Helicopter-এ করে headquarter তেলিয়ামুড়ায় চলে গেলেন।
যুদ্ধও চলছে আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বোম ফেলার—তবে খুবই কম, কারণ আমাদের সহযোগী যোদ্ধাদের ক্ষতি হতে পারে এমন কিছু করা হবে না।
এরপর আমারা move করলাম কুমিল্লাতে, সেখানে Civil Hospital-এর পাশে আমার company- কে নিয়ে settle করলাম। এখন অল্প অল্প আমাদের airforce-এর bomb পড়ছে।
দুদিন পর জানলাম পাকিস্থানের জেনারেল নিয়াজী surrender করেছে ভারতের Eastern Command-এর জেনারেল অরোরার কাছে। ঢাকায়।
যুদ্ধও শেষ। আমি নারায়ণগঞ্জ হয়ে ঢাকা গেলাম দেখতে জীপ নিয়ে। Steamer-এ জীপ পারাপার করতে হয়। সেখানে রাস্তার ধারে খাবার খেলাম। সবই খুবই সস্তা, ১ টাকায় ৬ টা সেদ্ধ ডিম। বাগদা চিংড়ি বড় বড় পিস ১ টাকায় খাওয়া হল।
যুদ্ধের পরে শেখ মুজিবর রহমানকে বন্দীদশা থেকে মুক্তি দিল। বাংলাদেশের সূচনা হল। উনি প্রধান মন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেন। বিধ্বস্ত East Pakistan-কে বাংলাদেশে উন্নীত করলেন।
আমাদের ফিরে আসার পালা। Main দায়িত্ব শেষ। আবেদন করলাম আমার family জরুরী অবস্থায় Meerut-এ separated family accomodation-এ রেখে এসেছি। সেই কারণে আমাকে একমাসের ছুটি দিন। সহৃদয় DDMS আমার ছুটি মঞ্জুর করলেন। আমার company-র ২ জন অফিসারকে ফিরে আমার দায়িত্ব দিয়ে আমি Agartala Airport থেকে aeroplane-এ করে Meerut এলাম ছুটিতে।
(চলবে)