প্র: COVID-19 এলো কোথা থেকে? এব্যাপারে কিছু নিশ্চিত করে বলা যায় কি?
উ: এটি একটি জুনোটিক ভাইরাস। মানে প্রাণীদেহের ভাইরাস। সংক্রমণের উৎপত্তি চীনের উহান প্রদেশের বন্যপ্রাণী শরীর। কোভিড ১৯ জেনেটিক মিউটেশন* করতে পারে। পরিবেশ পরিস্থিতি অনুযায়ি নিজেকে পালটে পালটে নেয়। তাই শুধুমাত্র একটি নয়, বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্রজাতির প্রাণীদের সংক্রমণের ক্ষমতা রাখে। এক্ষেত্রে ভাইরাসটি এমনভাবে নিজেকে পালটেছে যে, মানবদেহের নির্দিষ্ট কোষের প্রোটিনের সাথে আবদ্ধ হতে পারে। ফলে মানুষকে সংক্রমিত করতে পারছে।
প্র: কোন কোন প্রাণীর COVID-19 সংক্রমণ হতে পারে?
উ: গবেষণা বলছে মানবদেহে সংক্রমণকারী ভাইরাসের সঙ্গে বাদুড় সংক্রমণকারী ভাইরাসের জিনগত মিল ৯৬%, আর প্যাংগোলিনে সংক্রমণকারী ভাইরাসের সঙ্গে মিল ৯৯%। বলা যায় এই ভাইরাস বাদুড় থেকে প্যাংগোলিন হয়ে মানুষের দেহে এসেছে। এরপর এই ভাইরাস আর কাকে কাকে আক্রমণ করবে সেটা জানতে আরও গবেষণা দরকার।
প্র: WHO কেন এটাকে বিশ্বমহামারী বলছে?
উঃ কোনো একটি অসুখের মারণক্ষমতা এবং সংক্রামক ক্ষমতা দুটো আলাদা জিনিস। সাধারণত যে ভাইরাসের মারণক্ষমতা অত্যন্ত বেশি সেই ভাইরাস বিরাট একটা সংক্রামক হয় না, অপরপক্ষে যে ভাইরাস অতিরিক্ত সংক্রামক তাতে আবার খুব বেশি মানুষ মারা যায় না। যেমন ২০০৩-এর সার্স ভাইরাসে মৃত্যুর হার অনেক বেশি ছিল। বেশি মানুষ সংক্রামিত হননি। উল্টোদিকে এখনকার এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী সকলকে সংক্রামিত করার ক্ষমতা রাখে।
প্রঃ তাহলে আপনি বলছেন এই ভাইরাস মারণ ভাইরাস নয়? উ: একদমই না। কেবলমাত্র বয়স্ক মানুষ এবং আগে থেকে অন্য গুরুতর অসুখে ভোগা মানুষের জন্যই মৃত্যু ডেকে আনতে পারে।
প্র: WHO তো বলেছে আমাদের এই ভাইরাসকে সঙ্গে নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।
উ: একদমই তাই। আমরা কি আমাদের চারপাশে টিবি বা ইনফ্লুয়েঞ্জা নিয়ে বেঁচে নেই? এ হল Attenuation প্রসেস। হীনবল হতে হতে টিকে যাওয়া। যেসব মানুষ সংক্রামিত তাদের মারা যাবার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসটাও মারা যায়। ফলে অন্যদের সংক্রামিত করার ক্ষমতাও আর থাকে না। তাই ভাইরাসও সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে নিজের পরিবর্তন (মিউটেশন) করে টিঁকে থাকে কিছু মানুষের মধ্যে। একে Endemic বলে, যেটি কখনো আবার ফেটে পড়ার মতো বেশ খানিকটা ছড়ায়। তখন কম প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন, খেতে না পাওয়া, অসুস্থ, অপুষ্টিতে ভোগা মানুষদেরই কেবল মারা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। এই ভাইরাসগুলোর মারণক্ষমতা কম কিন্তু ফিরে আসার ক্ষমতা প্রবল। আমার প্রশ্ন হল, মানুষ কেন আজও অপুষ্টির জন্য মরবে? সরকারগুলি অপুষ্টি আটকাতে কী যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে?
প্র: আচ্ছা আপনি কিভাবে WHO কে সাহায্য করেছেন?
উ: উহানে যখন ছড়াতে শুরু করল হু পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞানীদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে।
প্র: কী বুঝতে চাইছিল WHO ?
উ: অসুখটার গতিপ্রকৃতি মূলত। কতগুলো রকমফেরে নিজেকে ছড়াতে পারে। যদি মিউটেট করে তাহলে কেমন আকার নেবে, একে বলে জিনোটাইপ সংক্রান্ত বোঝাপড়া।
প্র: জিনোটাইপ জানার দরকার পড়ে কেন?
উ: গোটা পৃথিবীতে COVID-19-এর টীকা আর ওষুধ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। মুশকিল হল নির্দিষ্ট টীকা বা ওষুধ কেবল নির্দিষ্ট জিনোটাইপ-এর ওপরেই কাজ করতে পারে, অন্যান্যদের ক্ষেত্রে নয়।
প্র: কতগুলো COVID-19 জিনোটাইপ এখনো পাওয়া গেছে?
উ: গোটা পৃথিবীতে মোট উনত্রিশটা। দুর্ভাগ্যবশত ভারতে আমরা মাত্র দুটো পেয়েছি বাকি জিনোটাইপগুলো খোঁজার চেষ্টাও হচ্ছে না ঠিকমতো। এখানে শুধু মানুষের মুখে লকডাউনের মতো কথাই ঘুরে বেড়াচ্ছে।
প্র: এই দুটো জিনোটাইপ নিয়ে যদি একটু বলেন।
উ: আমরা অনেক পিছিয়ে আছি, যেখানে WHO সারা বিশ্বের একটা বড় অংশ থেকে নমুনা পরীক্ষা করে উনত্রিশটা করোনা ভাইরাস জিনোটাইপ খুঁজে পেয়েছে, ভারতে আমরা মাত্র দুটো নমুনা থেকে দুটোই মাত্র জিনোটাইপ পেয়েছি। ভারতে এই ভাইরাস সম্বন্ধে বোঝাপড়া এখনো সেভাবে কিছুই গড়ে ওঠেনি ফলে এই সংক্রমণকে আটকানোর ব্যাপারেও একেবারে দিশাহারা আমরা।
প্র: তাহলে কী মলিকিউলার বায়োলজিস্টরা এই লকডাউনকে সাপোর্ট করেন না?
উ: আমি শুধু আমার কথাটাই বলতে পারি। আমার মতে এই লকডাউন পিরিয়ডকে কাজে লাগিয়ে যদি সংক্রমণ খুঁজে পাওয়ার কোনো চেষ্টাই না করা হয়, যদি সম্ভাব্য আক্রান্তদের পরীক্ষাই না করা হয় তাহলে কোনো লাভ নেই। আমরা কি করছি? না, আক্রান্তদের বাড়িতেই আটকে রেখে দিচ্ছি, তাতে তাদের বাড়ির লোক আক্রান্ত হচ্ছেন। যদি অসুস্থতার লক্ষ্মণগুলো দেখা যায় তবেই হাসপাতালে যাচ্ছেন। কিন্তু ৬৫% লোকেরতো কোনো রোগলক্ষণই দেখা দেবে না। লকডাউন শেষ হলে এই লোকগুলোই বয়স্ক এবং অন্যান্য রোগে ধুঁকতে থাকা মানুষদের সংক্রামিত করবে আর ভাইরাসটি আবার মাথা চাড়া দেবে। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু মহামারিতে ঠিক এইভাবে দ্বিতীয় বারের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায়।
প্র: তাহলে সরকার কেন লকডাউন ঘোষণা করলো?
উ: সেটা তো সরকারই জানেন। হয়তো খানিকটা ভয় থেকে আর খানিকটা টেস্ট এড়াবার জন্য। WHO বারবার জোর দিয়েছে যত বেশি সম্ভব টেস্ট করা যায় তার ওপর। ভারতের উচিত ছিলো এই রোগের ফাউন্ডার পপুলেশন ( যারা প্রথম এই রোগকে এদেশে নিয়ে আসে) কে আলাদা করে আইসোলেশনে রাখা।
প্র: তাহলে স্পেন, ইতালি আমেরিকা নিয়ে কী বলবেন?
উ: দয়া করে ইতালি, আমেরিকা বা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সাথে ভারতবর্ষকে এক করে ফেলবেন না। ওই দেশগুলোর বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ। ইতালির ৬৮℅ লোক ষাটোর্ধ্ব। তাই মৃতের সংখ্যাও ইতালি ও স্পেনে সবচেয়ে বেশি। এছাড়াও ইতালির বর্ণাঢ্য টুরিসম ব্যবসার ক্ষতি হবার কথা ভেবে ওরা বিদেশি টুরিস্টদের আটকায়নি।
প্র: কিন্তু ওরাও তো এখন লকডাউন ঘোষণা করেছে।
উ: সেটা টেস্টিং-এর জন্য। ওরা সাময়িক লকডাউন করেছে সন্দিগ্ধ আক্রান্তদের টেস্ট করার জন্য। আর হাসপাতাল, বেড ভেন্টিলেশন এই ব্যবস্থাগুলো ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য দরকারি সুযোগসুবিধা দিতে। লকডাউন আসলে সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টুকু দেয় যাতে ঠিকঠাক টেস্টিং আর এই স্বাস্থ্যসেবার পরিকাঠামো গড়ে তোলা যায়।
প্র: আপনার কি মনে হয় ভারত এগুলি কিছুই করেনি?
উ: একদমই করেনি। ইতালি প্রতি দশ লক্ষে পাঁচ হাজার জনের টেস্ট করিয়েছে ভারত মাত্র আঠারো। যদি আমি টেস্ট না করাই, ঠিকঠাক স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, আই সি ইউ-এর ব্যবস্থা না করি, স্বাস্থকর্মীদের বন্দোবস্ত না করি তাহলে লকডাউনের লাভটা কি?
প্র: কিন্তু আমাদের হাতে তো প্রয়োজনীয় সংখ্যায় টেস্ট কিট নেই?
উ: এটা কোনো অজুহাত হতে পারে না। আমাদের দেশে দশ হাজার এরকম ল্যাব আছে যেখানে টেস্টিং সম্ভব।
প্র: এটা কীভাবে সম্ভব?
উ: আক্রান্ত হয়েছে এমন একজনের রক্তের নমুনা লাগবে আমাদের আর যাদের সম্ভাবনা আছে হবার তাদের রক্ত লাগবে। আমরা জিন মিলিয়ে দেখে নিতে পারব। এটা হাজার টাকা বা তারও কমে হতে পারে। ঘটনাচক্রে দু’সপ্তাহ আগেই আমরা IISER-এ এই টেস্টটার খরচ হিসেব করছিলাম, যা দেখলাম তাতে মোটামুটি সাতশো টাকার কাছাকাছি লাগবে।
প্র: কিন্তু এই টেস্ট কতটা ভরসাযোগ্য?
উঃ মার্কেটে যে ভুলভাল অনিশ্চিত কীট চলছে তার থেকে অনেক বেশি। আমি শুনে অবাক হলাম সরকার টেস্টের প্রতি সাড়ে চার হাজার টাকা ঠিক করেছে। আর কিছু নির্দিষ্ট কোম্পানিকেই এর বরাত দেওয়া হয়েছে। ভেবে অবাক লাগে এই দুর্দিনেও কিছু কর্পোরেটদের পয়সা কামিয়ে নেবার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
প্র: আপনারা সরকারের দ্বারস্থ হয়েছেন?
উঃ সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের বিষয় এটাই। আমাদের ল্যাবগুলো বিশ্বের অনেক দেশের ল্যাবের চেয়ে বেশি সমৃদ্ধ। এমনকি WHO আমাদের রিসার্চ-এর ওপর ভরসা করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত না কেন্দ্র না কোনো রাজ্য সরকার, কেউ আমাদের সাথে আলোচনা করেনি।
প্র: কিন্তু ভারত তো WHO এর গাইডলাইনই ফলো করছে।
উ: WHO বলেছে আইসোলেটেড রাখো এবং টেস্ট করো। কোত্থাও বলেনি লকডাউন করতে। ভারত লকডাউন করেছে কিন্তু টেস্টিং করছে না। যদি টেস্ট না করা হয় আমরা ভাইরাসের আলাদা আলাদা ভ্যারাইটি আর আলাদা আলাদা মিউটেশনগুলোর কথা জানতেই পারব না।
(COVID-19 বিশ্বমহামারী আটকাতে WHO যেক’জন বিজ্ঞানীর সঙ্গে কথা বলেছেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চে (IISER, Kolkata) কর্মরত এসোসিয়েট প্রফেসর ডক্টর পার্থসারথী রায়। ডক্টর রায় IISC বেঙ্গালুরু থেকে মলিকিউলার ভাইরোলজির উপর তাঁর PhD করেন এবং বর্তমানে তিনি ক্যান্সারের জিন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাজ করছেন। COVID-19 নিয়ে তাঁর দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন ভারত এই ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য বোঝার দিক দিয়ে এখনও শতযোজন পিছিয়ে রয়েছে এবং তাই COVID-19 মোকাবিলার ক্ষেত্রে দিশাহারা অবস্থা । এই একুশ দিনের লকডাউন পরিস্থিতি শুধুমাত্র অজ্ঞানতা বাড়াবে ভাইরাসটির বৈশিষ্ট্য বোঝার ক্ষেত্রে যদি না এই পর্বকে সম্ভাব্য আক্রান্তদের পরীক্ষা করার কাজে লাগানো না হয়। দা উইক নামক অনলাইন পত্রিকায় দেওয়া তাঁর সাক্ষাৎকারটির অনুবাদ তাঁর অনুমতি-ক্রমে এখানে নেওয়া হয়েছে।)
Partha is my personal friend though much junior. He is a brilliant boy from Don Bosco , Park circus .
We were both members of an organisation named FORUM AGAINST MONOPOLISTIC AGRESSION ( FAMA ) . He is a leftist activist scientist and was jailed for taking part in anti eviction movement of slums. , for month.
But his statement that we have above 10000 labs is rather overconfidence . There is little scope of any good work in Indian labs not due to lack Of talent but for adminustrative callousness and govt apathy . Current govt has stopped paying ICMR / CSIR scholarships to young scholars for last 5 yrs . Same for DBT and DST .
My son stood 33rd ( all India ) in NET in his subject and was eligible for scholarship in Ph D , but even his 4 batch seniors did not get them .
Grant is only available in research on COW DUNG , COW URINE , VEDIC MATHEMATICS AND ROCKET SCIENCE IN THE AGE OF PURANS
জাপানে বয়স্কলোকের সনখ্যা পৃথিবীর মধ্য প্রথম তাহলে ওদেশে মৃত্যু এত কম কেন?
জাপানে বয়স্কলোকের সনখ্যা পৃথিবীর মধ্য প্রথম তাহলে ওদেশে মৃত্যু এত কম কেন?
It is not given that if a country has higher proportion of aged people in the population, they will automatically have higher number of deaths. It all depends on the response to the infection. If the response is planned and based on empathy, such as early detection and isolation of infected individuals, protection of the vulnerable population, equitable access to healthcare facilities, good intensive care support etc. then the death rate can be brought down, even though the population is aged. Japan is an example. Germany is another example, where the infection rate is high, nearly like that of France, but the number of deaths is much lower, although the average age of the population is nearly same. Hong Kong, South Korea are examples, and so are the small socialist countries like Cuba and Vietnam. It just means that the response to the pandemic determines how many people die, not just inherent factors such as age.