ধরিত্রী মায়ের আসন সবার জন্যই পাতা। তাঁর কাছে পুরুষ – নারী সবাই সমান, কোনো দ্বন্দ্ব নেই। তাই ধরিত্রীর আঁচল শূন্য হলে তাকে পূর্ণ করার দায়িত্বও সকলের ওপর বর্তায়। নানান গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পরিবেশ মানের অবক্ষয় মহিলাদের জীবন সংগ্রামকে কঠিন থেকে কঠিনতর করে তোলে কেননা সংসারের যাবতীয় কাজ, সন্তান প্রতিপালন থেকে শুরু করে পানীয় জল সংগ্রহ, সবই একার হাতে করতে হয় তাঁদের। এই লড়াইয়ে সামিল গোটা দুনিয়ার লাখো লাখো মহিলা। প্রচারের আলোর অপেক্ষা না করেই তাঁরা এক নীরব নিভৃত নিরলস ব্রত সাধনে নিমগ্ন থাকেন।আজ ৮ মার্চ,২০২৫, আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এমনই এক নারীর সবুজ বাঁচানোর লড়াই নিয়ে এই নিবন্ধ।
আজ আমরা যাব আফ্রিকার উগান্ডায়। আলাপ করবো এক আশ্চর্য লড়াকু পরিবেশ কর্মীর সঙ্গে। নাম জেনেট নিয়াকাইরু আবৌলি। জেনেট তাঁর দেশের মানুষের কাছে তো বটেই, গোটা আফ্রিকার মানুষজনের কাছেই এক অনুকরনীয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন পরিবেশ রক্ষায় তাঁর দৃষ্টান্তমূলক কর্মপ্রয়াসের জন্য।
জেনেটের কাজকর্মের কথা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেবার আগে, তাঁর দেশের বিশেষ করে তাঁদের জেলার সমস্যা নিয়ে দুয়েকটি কথা বলে নিই। সারা পৃথিবী জুড়েই বদলে যাওয়া জলবায়ুর সমস্যা নিয়ে মানুষজন ঘোরতর সমস্যার সম্মুখীন। কখনো বন্যার জলে বানভাসি তো আবার বৃষ্টিহীন প্রবল খরার দাপট। খরা আর ঝরার এই অনিয়মিতির ফলে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় একেবারে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের দল। আবহাওয়ার এমন খামখেয়ালিপনার শিকার হয়েছে পশ্চিম উগান্ডায় অবস্থিত জেনেটদের আবাসিক জেলা কাসেসে ( Kasese )। বারংবার বন্যায় ভেসে গিয়েছে সাধারণ কৃষকদের ঘর বাড়ি,খেত ফসল। কেন এমন হচ্ছে?
জেনেট তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় বুঝতে পারলেন, জ্বালানির জন্য নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার ফলেই বাড়ছে বন্যার তাণ্ডব। শুরু হলো জেনেট নিয়াকাইরু আবৌলির লড়াই, বিগড়ে যাওয়া প্রাকৃতিক শৃঙ্খলাকে পুনঃস্থাপনের মধ্য দিয়ে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার লড়াই।
মেঘের ওড়নায় ঢাকা রুয়েঞ্জারি পর্বতের খাড়া ঢাল এসে মিশেছে পশ্চিম উগান্ডার কাসেসে জেলার কুইন এলিজাবেথ ন্যাশনাল পার্কের নাবাল জমিতে। সমস্যা তো শুধু তাঁর একার নয়,কাসেসে জেলার সমস্ত মানুষের। তাই কাজে নাবার আগেই লক্ষ্যটাকে অনেকটাই বড়ো করে নেয় জেনেট। তাঁর মূল উদ্দেশ্য হয়ে ওঠে রুখা জমিকে আবার আগের মতো সবুজ শ্যামল করে তুলে নিজের গোষ্ঠীর মানুষজনকে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে সামিল করা। জেনেট আর তাঁর সহযোগীরা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে ভাবে, হায়! আগে কি সুন্দর দিন কাটাইতাম। রুয়েঞ্জারি পর্বতের সানুদেশে অবস্থিত তাঁদের গ্রামের উর্বর মাটিতে সামান্য প্রয়াসেই ফলতো অঢেল শস্য। বৃষ্টি ছিল নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত। কে জানে কী হলো? বিগত দুই দশক সময়কালের মধ্যে এতোদিনের চেনা ছবিটাই বিলকুল বদলে গেল – বাড়লো বৃষ্টিপাতের অনিয়মিতি, অসময়ের বর্ষায় বাড়লো বন্যার দাপট। কুল ছাপিয়ে ছড়িয়ে পড়া বন্যার জল ভাসিয়ে নিয়ে গেল বহু কষ্টে গড়ে তোলা জীবনের সমস্ত আয়োজন।
আকাশের দিকে হাত তুলে ধরে ভাগ্যকে সব ক্ষয়ক্ষতির জন্য দোষ দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি জেনেট। বরং মনকে শক্ত করে কঠিন লড়াইয়ের ডাক দিয়েছে সামনের কঠিন লড়াইয়ের জন্য – চলো,যাই । গাছ লাগাই।
পাহাড়ের ঢাল বরাবর নতুন করে বেড়ে ওঠা একদল বট গাছের নবীন ছায়ার নিচে দাঁড়িয়ে একমুখ আত্মতৃপ্তির হাসি ছড়িয়ে জেনেট উত্তর দেয় – আমরাতো কেবলমাত্র গাছ লাগাইনি, আমরা আশা বপন করেছি আমাদের আগামী দিনগুলোর জন্য।
কাসেসে মিউনিসিপ্যালটির পরিবেশ আধিকারিক ও জেনেটের কাজকর্মের প্রতি গুণমুগ্ধ ইভিলিন মুগুমে জানালেন বৃষ্টিপাতের চরিত্র বদলের কথা। “ আমরা আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে বৃষ্টির শুরু দেখতেই অভ্যস্ত ছিলাম। হয়তো এক আধ দিনের জন্য এদিক ওদিক হতো। আর এখন সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি বৃষ্টি নামছে। সেই বৃষ্টিও আগের শৃঙ্খলার ধার ধারছে না। দিন কয়েকের প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে নদী, বাড়ছে বন্যা। জেলার যে সব অংশে নদী নেই, সেখানেও বন্যাকে এড়ানো যাচ্ছে না। বন্যা এখন প্রায় প্রতিবছরের সহচর হয়ে উঠেছে। কুলপ্লাবি বন্যার দাপটে বাড়ছে জীবন ও জীবিকার সংকট।”
বিগত এক থেকে দুই দশক সময়ের মধ্যে উগান্ডার এই অঞ্চলের তাপমাত্রা, ঋতু পর্যায়, বৃষ্টির ধরণ ধারণ,খরা আর ঝরার গতিপ্রকৃতি, সবেতেই রদবদলের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুখা খরার সময় যত তত বাড়ছে, ততই কমছে ঝরার পরিমাণ ও স্থায়িত্বকাল। এরফলে একসময় কৃষিতে অগ্রণী কাসেসে জেলায় কমছে কৃষি উৎপাদন। অবস্থাটা একেবারেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে উগান্ডা সরকার এবং স্থানীয় নাগরিক সমাজের সদস্যরা সমবেত ভাবে নিবিড় বনায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করলেন। তাঁরা বুঝেছিলেন যে সরকারের তরফ থেকে কিছু গাছ লাগালেই সমস্যা মিটে যাবে না , এজন্য চাই সক্রিয় নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ। আরও একটি বিষয় তাঁদের নজরে ছিল,তা হলো দেশীয় প্রজাতির গাছেদের প্রাধান্য দেওয়া, কেননা এই প্রজাতির গাছেরা একান্তই কাসেসের বাস্তপরিবেশের উপযুক্ত এবং অর্থনৈতিক দিক থেকেও অনেক বেশি লাভদায়ক।
এমনি এক পটভূমিতে জেনেটের আবির্ভাব। জেনেট নিজেও এই কঠিন সমস্যায় ভূক্তভোগী,তাই তাঁর পক্ষে সরকারি উদ্যোগে সামিল হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক ব্যাপার ছিল। জেনেট তাঁর এলাকার মহিলাদের সংগঠিত করলেন । তাঁদের নতুন করে পরিস্থিতির ভয়াবহতার কথা বোঝালেন এবং বাড়ির কাছাকাছি ফাঁকা এলাকায় বট, অশ্বত্থ,পাকুড় জাতীয় ফাইকাস বর্গের গাছ লাগানোর কথা বললেন। এরফলে মিলবে ছায়া,রোধ হবে ভূমিক্ষয়। আর কৃষিজমির আর্দ্রতা ধরে রাখতে Dracaena গাছ লাগানোর কথা বললেন।
মাটির মেয়ে জেনেট জানে ফাইকাস বর্গের গাছেদের পরম উপযোগিতার বিষয়টি। সুতরাং তিনি এমন গাছ লাগানোর ওপর বিশেষ জোর দিলেন। গ্রামের মানুষজনকে তিনি বোঝালেন যে এই গাছেরা খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে, ডালপালা ছড়িয়ে অনেকটাই জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে থাকায় এই গাছেরা বাড়ি ও জমি দুটোকেই ছায়ায় ঢেকে রাখে। এদের শিকড় মাটির অনেক গভীরে পৌঁছে যায়, মাটিকে আঁকড়ে ধরে রাখে গভীর আলিঙ্গনে –ফলে নদীর ধার, পাহাড়ের ঢালে মাটির ক্ষয়ক্ষতি সামলানোর কাজ করে। বড়ো এলাকায় ছড়িয়ে থাকায় দমকা হাওয়ার সামনে বাধা প্রাচীর হিসেবে কাজ করে। এরফলে গাছ সংলগ্ন জমির ফসল ঝড়ের হাত থেকে অনেকটাই রক্ষা পায়। রুয়েঞ্জারি পর্বতের ঢালে যে সব মানুষ পোষা ছাগল পাল চড়িয়ে বেড়ায় তাঁরাও তাঁদের পোষ্যদের খাবার পেয়ে যায় এসব গাছের পাতা থেকে। স্থানীয় লুকঞ্জো ভাষায় ফাইকাস বর্গের গাছেদের ডাকা হয় ওমুটোমা নামে। এই গাছেদের সঙ্গে স্থানীয় আবাসিকদের গভীর সাংস্কৃতিক যোগাযোগ রয়েছে। ফলে জেনেটের আহ্বান খুব সহজেই স্থানীয় মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছিল। এই গাছের ডালপালা থেকে জ্বালানি মেলারও সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে উৎসাহের সামান্যতম ঘাটতি দেখা দেয়নি।
অন্যদিকে জমিতে ড্রেসিনা গাছ ( Dracaena) লাগানো হলে তা জমির আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ড্রেসিনার সবথেকে বড়ো বৈশিষ্ট্য হলো যে, এই গাছ খরা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারে। Dracaena afromontana প্রজাতির গাছ উগান্ডার কাসেসে জেলার মানুষ মুখ্যত জমির সীমানা চিহ্নিত করার কাজে ব্যবহার করেন। দ্রুত বেড়ে ওঠা এই গাছ মাটির ভিতরে থাকা জল ধরে রাখতে সক্ষম। এ ছাড়াও এই গাছের ঔষধি গুণ আছে যে কারণে এই গাছ লাগানোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ভূমিকন্যা জেনেট গাছেদের এই বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে সম্যক অবহিত ছিলেন ফলে, তিনি গ্রামের মানুষজনকে বিশেষ করে গ্রামের মহিলাদের মধ্যে এই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির কাজে নেমে পড়লেন সোৎসাহে। তিনি বাড়ির আশেপাশের জমিতে এই গাছ লাগানোর পরামর্শ দিলেন যাতে করে এদের সুবিধাগুলো পরিপূর্ণভাবে উশুল করতে পারেন তারা। গাছের প্রতি জেনেটের এই ভালোবাসা তাঁর দিদিমার সূত্রে পাওয়া। তিনিই তাঁর নাতনিকে হাতে ধরে স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র, গাছপালা, লতাগুল্মের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পাঠ দান করেছিলেন যাতে ঐতিহ্যগত জ্ঞানের ধারা পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যেও বহমান থাকে। জেনেটের এসব অজানা ছিলোনা কিন্তু এই প্রয়োজনের মুহূর্তে তা আবার নতুন করে চর্চার সুযোগ করে দিল। তাই জেনেট বলেন, “এসব কখনোই নতুন নয়। আমাদের কাসেসে জেলার বন, জঙ্গল, মাঠ, পাহাড় সব উজাড় হয়ে যাবার আগে, আমাদের পূর্বজরা এদের কাজে লাগিয়েই নিজেদের সমস্ত প্রয়োজন মেটাতেন। আজ সেইসব মূল্যবান সম্পদকে খুইয়ে আমরা আমাদের নিজেদের অস্তিত্বকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছি। এটা আমাদের কাছে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। নিজেদের অসহায়ভাবে আত্মসমর্পণ না করে এই কাজটি আন্তরিকভাবে সম্পন্ন করতে হবে। নিজেদের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেললে চলবে না, বিশ্বাসের পুনর্নির্মাণের কাজে নিরলস হতে হবে।” এই কর্মসূচির রূপায়ণের মধ্য দিয়েই জেনেট একই সঙ্গে পরিবেশ সুরক্ষার সাথে সাথে সামাজিক ঐক্য বন্ধনের কাজটাও সমানভাবে করে ফেললেন।
বাগানে সুগন্ধি ফুল ফুটলে তার সুবাস যেমন ছড়িয়ে পড়ে বহু দূরে জেনেট নিয়াকাইরুর এই হার না মানা অবিচল লড়াইয়ের কথাও কাসাসে জেলার পরিসীমা ছাড়িয়ে আরও দূরের এলাকায়। স্থানীয় উপজাতীয় নেতাদের পাশাপাশি, রাজনৈতিক নেতা সরকারি আমলা ও স্কুলের শিক্ষকরাও আমন্ত্রণ করছেন জেনেটকে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা শোনার জন্য। এলাকার মায়েরা নিজেরাই এখন উদ্যোগী হয়ে তাঁদের সন্তানদের শেখাচ্ছেন গাছের কথা, পরিবেশের কথা , তাঁরাই হাতে কলমে শেখাচ্ছেন গাছ লাগানোর ও রক্ষণাবেক্ষণের রকমারি কৃৎ কৌশল। গোটা এলাকা জুড়েই এক নতুন লড়াইয়ের আবহ তৈরি হয়েছে। সকলের মুখেই এখন জেনেট নিয়াকাইরু আবৌলির নাম।”
“ জেনেট আবৌলি আজকের সমাজে একটা শক্ত খুঁটির মতো। তাঁর অনলস প্রচেষ্টায় আজ নতুন করে জেগে উঠেছে কাসাসে জেলার নারী সমাজ। জেনেট ও তাঁর সহযোগীরা প্রমাণ করেছেন যে দেশীয় প্রজাতির গাছেরাই খরা ও বন্যার আগ্রাসন থেকে মানুষকে রক্ষা করতে পারে।” বলছিলেন মুগুমে। কথা বলার সময় তাঁর কন্ঠে ঝরে পড়ছিল সাফল্যের সুর।
এলাকার মানুষ এখন খুব খুশি। আগের মতো কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে না। জীবন এখন খানিকটা সহজ হয়ে উঠেছে তাঁদের কাছে। মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা না থাকায় আগে ফসল শুকিয়ে যেত। এখন তাকে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। মহিলারা এখন গ্রামের হাটে ড্রেসিনার পাতা বিক্রি করে বাড়তি দুটো পয়সা উপার্জন করতে পারছেন, খানিকটা স্বস্তি ফিরে এসেছে কাসাসেতে। তাঁরা বুঝতে পারছেন স্বস্তির হাত ধরেই একদিন সমৃদ্ধি ফিরে আসবে, যেমন ছিল অনেক বছর আগে। খুব দামী কথা বলেছেন জেনেট নিয়াকাইরু আবৌলি। তাঁদের এই বৃক্ষায়ন প্রকল্পের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন – “আমাদের এই কর্মসূচি কেবলমাত্র গাছ লাগানোর কর্মসূচি নয় ,এ হলো যা আমাদের টিকিয়ে রাখে তাকে রক্ষা করার, আগলে রাখার আন্তরিক প্রচেষ্টা।”
এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাঁদের কেননা এই প্রকল্প সর্বত্র সমান সফলতা এখনও পায়নি। কোথাও যথাযথ দেখভালের অভাব, কোথাও পর্যাপ্ত পরিমাণে জলসেচন না করা, আবার কোথাও অজকুলের দৌরাত্ম্য চারাগলোকে ঠিকঠাক বাড়তে দেয়নি। আগামীদিনে এইসব এলাকায় নজরদারি বাড়াতে হবে।
সমস্যা ছিল, আছে, থাকবে। তার মধ্যেই পথ চলতে হবে জেনেট ও তাঁর সহযোদ্ধা বন্ধুদের। বদলে যাওয়া জলবায়ুর বিরূপ প্রতিক্রিয়াগুলোকে প্রতিহত করে নতুনভাবে পৃথিবীকে গড়ার আহ্বান জানিয়েছেন উগান্ডার কাসেসে জেলার লড়াকু সৈনিক জেনেট নিয়াকাইরু আবৌলি। তাঁর এই প্রয়াসকে আমাদের কুর্ণিশ। – তোমরা এখনি থেমোনা।
মধ্যমগ্রাম
০৮.০৩.২০২৫
অসাধারণ প্রয়াস।সবাই যদি এমন করে ভাবতে পারতাম !🙏
ভাবুন ভাবুন জমিয়ে ভাবুন। কোনো সমস্যাই আর সমস্যা থাকেনা যদি সবাই নেতি ছেড়ে ইতির হাত ধরি। ধন্যবাদ আপনাকে এমন পরিচ্ছন্ন মতামতের জন্য।
আজকের দিনে এমন এক অনমনীয় নারীর কর্মপ্রয়াসের কথা পাঠকদের সামনে তুলে আনার জন্য লেখককে অনেক ধন্যবাদ। তাঁর লেখার সূত্রেই আজ আমরা আন্তর্জাতিক হলাম। রোগব্যাধি নিয়ে আলোচনা বেশ কিছুদিন হলো পাচ্ছিনা। ওগুলোও চলুক
এমন সব নিরলস মানুষের কথা তুলে আনার কৃতিত্ব লেখকের নয়। এমন কাজের মধ্যে যাঁরা ডুবে রয়েছেন কৃতিত্ব একশো শতাংশ তাঁদের। আর রোগব্যাধি নিয়ে ডাক্তার বাবুরা লিখবেন তেমনটাই বোধহয় শ্রেয়। যাইহোক আপনার পরামর্শ মনে রাখবো।
Kudos to the great woman. ❤️🔥
Encouraging ঘটনা। এমনভাবে অগ্রণী ভূমিকা নিয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা নেই। এমন অনেক অনেক মানুষ যদি আমাদের এদেশে জন্ম নিতো, তাহলে তাদের সঙ্গী হতাম।
এদেশে নেই কে বললো? পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত পরিবেশ আন্দোলন চিপকোর নেতৃত্বে ছিলেন চামোলির একেবারে গ্রামীণ মহিলারা। আরও অনেক আছেন। নাম বলে শেষ করা যাবে না।