Skip to content
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Search
Generic filters
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Generic filters

ইস্পাত

IMG_20200511_072316
Dr. Sarit Chatterjee

Dr. Sarit Chatterjee

Physician
My Other Posts
  • May 11, 2020
  • 7:04 am
  • One Comment

কন্নৌজ।

ইতিহাস বলে সেন আমলে বাঙালি বামুনরা সকলেই নাকি এসেছিল উত্তর প্রদেশের এই শহর থেকে। আজও এই বামুনদের রক্তে ৭২% আর্য রক্ত বইছে। একদা রাজা মিহিরভোজ ও হর্ষবর্ধনের রাজধানী এই কন্নৌজ বা পুরাকালের কন্যাকুব্জকে বলা হয় প্রাচ্যের গ্রেসি নগরী। অসামান্য আতর তৈরি হয় এখানে আজ কয়েক সহস্রবছর ধরে। বর্তমানে এর জনবসতি এক লাখেরও কম। আর নারীশিক্ষার হার, ৫৬%।

আসুন, আজ এই শহরের এক অতি সাধারণ মানুষের গল্প বলি।

একরত্তি মেয়েটা। বড় বড় চোখ; শ্যামলা গায়ের রং। পাঁচ ফুটও পুরো নয় বোধহয়। বছরখানেক আগে যখন প্রথম দেখেছিলাম, মনে শঙ্কা জেগেছিল, এ মেয়ে টিঁকে থাকতে পারবে তো? এম ডি মেডিসিন করার চাপ ভয়ঙ্কর। প্রতিবছর দু-একজন ছেড়ে চলে যায় অন্য কোনও স্ট্রিমে, যেখানে কাজ কিছুটা কম।

মুখটা দেখলে মনে হতো বড়জোর ষোলো-সতেরো বয়েস। মনে হতো, বড় গোল চশমাটা বোধহয় মায়ের কাছ থেকে এক ফাঁকে ধারে নেওয়া। সদাই গম্ভীর মুখ, অথচ দু’চোখে একটা ভ্যাবাচাকা খাওয়া চাহনি। এই চাহনিটা যদিও আমার চেনা, সব ফার্স্ট ইয়ার পিজির চোখেই দেখি প্রথম দু-এক মাস। মনে আছে, একদিন রাউন্ড শেষে লিফ্টে করে নামার সময় বলেছিলাম ওকে, তুই হাসিস না কেন রে?

শুনেই হেসে ফেলেছিল ও। এত স্বচ্ছ অমলীন হাসি আমি কমই দেখেছি।

একটু খুঁড়িয়ে হাঁটত ও। রাউন্ডে বারেবারে পিছিয়ে পড়ত। সরাসরি প্রশ্ন না করলে মুখ খুলত না। খুললেও, জবাব আসত খুব মৃদু কণ্ঠে, থেমে থেমে। ছ’মাস পরেও ওর কনফিডেন্স লেভেল বেশ কম ছিল। কিন্তু কাজে কোনও ভুল চোখে পড়েনি। কাজ ছাড়া দেখিনি কখনও। ক্লাসে কয়েকবার বকাঝকা খেয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটাও স্পোর্টিংলি নিয়েছে প্রতিবার।

মুখে প্রসাধনের লেশমাত্র নেই, অতি সাধারণ জিনস্-টপ বা কুর্তি পরে, এক বেণী পিঠে দুলিয়ে দিব্যি মানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছিল ও ততদিনে। যদিও চোখে পড়ার মতো কোনও দিক থেকেই আহামরি কিছু ছিল না ওর মধ্যে। হয়ত তাই বাকি স্টুডেন্টদের থেকে কিছুটা কমই ফোকাস থাকত আমার ওর প্রতি। হাসপাতালের ব্যস্ত চলচিত্রের নেপথ্যে – নিঃশব্দে আড়ম্বরহীনভাবে মিশে গেছিল ও।

ফেব্রুয়ারি মাসের শেষদিকে ওর একটা অপারেশন হলো। জানতে পারলাম কলেজে পড়ার সময় বড়সড় একটা দুর্ঘটনায় ডান পায়ে মারাত্মক চোট পেয়েছিল ও। হাঁটুর ওপরে ও নীচে দুটো ইস্পাতের রড লাগানো আছে। হাঁটতে পারে, কিন্তু অনেকটা জায়গা জুড়ে চামড়া উঠে যাওয়ায় বিশ্রী দাগ হয়ে গেছে। সেটার জন্যই প্লাস্টিক সার্জন স্কিন গ্রাফটিং করেছে। যাতে দাগটা আর না থাকে।

দু’সপ্তাহ ভর্তি ছিল ও। ওর মা এসে থাকত ওর সাথে। আমি রোজ রাউন্ড শেষ করে দলবল নিয়েই একবার যেতাম ওর ঘরে। প্রথম ক’দিন খুব কষ্ট পাচ্ছিল। কিন্তু প্রশ্ন করতেই জবাব পেতাম, ভালো আছি স্যার। এর পর আরও মাসখানেকের রেস্ট অ্যাডভাইজ করা হয়েছিল ওকে। মার্চের ৮ তারিখে ওরা বাড়ি চলে গেল। আর আমরা হঠাৎ করে জড়িয়ে পড়লাম করোনার এই মহামারীতে। এতকিছুর মধ্যে, ভুলেই গেছিলাম ওর কথা।

কিছুদিন আগে হঠাৎ ওর ফোন এল। বলল, ও এখন সুস্থ। কিন্তু লকডাউনে আটকে পড়ে কী করবে বুঝতে পারছে না। ভেবেছিল লকডাউন উঠে গেলে ফিরবে। কী করবে ও এখন?

জিজ্ঞেস করলাম, কোথায় আছিস এখন, বাড়ি কোথায়?

বলল, কন্নৌজ।

কিছুক্ষণ ভাবলাম। তারপর বললাম, দেখ মা, এই দুঃসময়ে তুই না এলেও বিশেষ কিছু গণ্ডগোল হবে না। বড়জোর ডিগ্রিটা তিনমাস পিছিয়ে দেবে ইউনিভার্সিটি। আর এলে পরে কিন্তু ডিউটি পড়বে ওই করোনা ওয়ার্ডে। কিন্তু এটাও সত্যি, ভবিষ্যতে ডাক্তারদের কী চোখে দেখবে মানুষ তা’ অনেকটাই নির্ভর করবে আজ আমরা কী করছি তার ওপর। এবার তুই ভেবে ঠিক কর।

পরের দিন বিকেলে ও আবার ফোন করল। বলল, ওখানকার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কাছ থেকে দিল্লির সীমান্ত পর্যন্ত আসার পারমিট বার করে নিয়েছে ওর বাবা। কিন্তু সমস্যা হলো, দিল্লিতে ঢুকবে কী করে ও? গাড়ি নিয়ে যদি কোনরকমে ঢুকেও পড়ে, ফিরবে কী করে উত্তর প্রদেশে ওর বাবা আর ছোটকাকা?

বললাম, ভোর ভোর আমার বাড়ি চলে আয়। আমি তো নয়ডায় থাকি। তারপর কিঞ্চিৎ খেয়েদেয়ে যাওয়া যাবে হাসপাতালে দু’জনে মিলে। চেষ্টা কর সাড়ে সাতটা নাগাদ পৌঁছতে।

একঘন্টা পরে ফোন করে ও জানাল, ওরা আসছে। আমি লেগে পড়লাম রান্না করতে। রান্না করাটা আমার নেশা। আর এতো অতিথ! কতদিন পর কেউ আসছে আমাদের বাসায়।

পরদিন কাঁটায় কাঁটায় সাড়ে সাতটায় ওর ফোন এল – স্যার পৌঁছে গেছি।

মেথির পরোটা, ডিমের কষা, ঝাল ঝাল আলুর দম আর পাঞ্জাবি ছোলে সহকারে ওরা তিনজন ব্রেকফাস্ট করছিল। আর আমি ভাবছিলাম এই একরত্তি মেয়েটার সাহসের কথা। কী কী আলোচনা হয়েছিল ওর পরিবারে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে? ওর মা নিশ্চয়ই খুব কেঁদেছিল!

কিছুক্ষণ পর গাড়ির পেছনের সিটে ওর দুটো ব্যাগ রেখে আমরা চারজন একটু দূরে দূরে দাঁড়িয়েছিলাম। যা কিছু বলার, সবই না-বলা থেকে গেছিল। শুধু ওর বাবা বলেছিল, বহুৎ বহুৎ শুক্রিয়া ডক্টরসাব। আমি হেসে বলেছিলাম, শুক্রিয়া তো মুঝে আপকা অদা করনা চাহিয়ে খান সাহেব।

বেরিয়ে পড়েছিলাম আমরা হাসপাতালের পথে। আমিই মাঝেমধ্যে কথা বলছিলাম। ও ওর স্বভাবমত এক-দু’কথায় উত্তর দিচ্ছিল। হাতদুটো মুঠি করে কোলের কাছে ধরা। জানতে পারলাম নিউ দিল্লি কালীবাড়ির পাশেই একটা মেসে থাকে ও। একটা স্কুটি আছে। তাতেই আসা-যাওয়া করে।

রমজান মাস। কোথায় রোজা, কোথায় সেহরি! আমরা এগিয়ে চলেছিলাম মহামারির কবলে বন্দি দিল্লি শহরের প্রায় জনমানবশূন্য রাজপথ ধরে।

আর আমার ঠিক পাশে, দুর্জয় নিশ্চয়ে বুক বেঁধে এগিয়ে চলেছিল দেশের এক অনন্য সেনানী।

ইতিহাস বর্তমান সব অবলীলায় মুছে ফেলে, কন্নৌজের আতর আজ ইস্পাতে পরিণত হয়েছে।

করোনাব্দ, ০৫০৫২০২০।

 

PrevPreviousমহা-‘মা’-রী
Nextটেস্টিং, আরও টেস্টিং-এর পক্ষে সওয়াল করলেন ডাঃ কুনাল সরকারNext
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Partha Das
Partha Das
5 years ago

দারুন। স্যালুট।

0
Reply

সম্পর্কিত পোস্ট

ঊর্মিমুখর: একাদশ পরিচ্ছেদ

June 10, 2025 No Comments

জ্যেষ্ঠভ্রাতার শেষকৃত্যের অব্যবহিত পরেই কুমার হর্ষবর্ধন ভগিনীকে উদ্ধারার্থ বিন্ধ্যাচলের জঙ্গলাকীর্ণ পার্বত্য প্রদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করিলেন, স্বীয় রাজ্যাভিষেকের জন্য অপেক্ষা করিলেন না। যাত্রার পূর্বে গভীর রাত্রে

শাল নদী, বাসুদেব ও কাকোদকর সাহেবের রিপোর্ট

June 10, 2025 4 Comments

আরও একটা পরিবেশ দিবস পার হয়ে গেল। এমন দিনগুলোর আসা যাওয়ার মাঝখানের সময়টাই হলো আমাদের সক্রিয়তার সময় অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা পরিবেশ নিয়ে কতটা

প্রলয় চলে গেছে আমাদের ছেড়ে

June 10, 2025 No Comments

আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, বিপদের দিনে যে মানুষগুলো পাশে এসে দাঁড়ায় তাঁরা ধোপদুরস্ত গোছানো উচ্চপ্রতিষ্ঠিত মানুষ কমই হয়। তারা ঈষৎ আবেগপ্রবণ, জেদী, ঈষৎ তারকাটা

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

June 9, 2025 No Comments

গত ৭ ই জুন সোদপুর ট্রাফিক মোড়ে অনুষ্ঠিত হল এক প্রতিবাদ সভা- ধ্বনিত হল ন্যায় বিচারের অগ্নি গর্জন। আর জি কর হাসপাতালে হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের

মানুষের দাম কত?

June 9, 2025 No Comments

যাত্রাগাছি, গৌরাঙ্গ নগর, শুলংগুড়ি, এবং সংলগ্ন এলাকা জুড়ে নারী সুরক্ষা বৃদ্ধি এবং অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের দাবিতে অভয়া মঞ্চ বৃহত্তর বিধান নগর আয়োজিত গণ কনভেনশন অনুষ্ঠিত 

সাম্প্রতিক পোস্ট

ঊর্মিমুখর: একাদশ পরিচ্ছেদ

Dr. Sukanya Bandopadhyay June 10, 2025

শাল নদী, বাসুদেব ও কাকোদকর সাহেবের রিপোর্ট

Somnath Mukhopadhyay June 10, 2025

প্রলয় চলে গেছে আমাদের ছেড়ে

Dr. Arjun Dasgupta June 10, 2025

আগুনের পরশমণি ছোঁয়াও প্রাণে

Gopa Mukherjee June 9, 2025

মানুষের দাম কত?

Gopa Mukherjee June 9, 2025

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

559218
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

wpDiscuz

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

[wppb-register]