An Initiative of Swasthyer Britto society

  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Menu
  • Home
  • About Us
  • Contact Us
Swasthyer Britte Archive
Facebook Twitter Google-plus Youtube Microphone
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Menu
  • আরোগ্যের সন্ধানে
  • ডক্টর অন কল
  • ছবিতে চিকিৎসা
  • মা ও শিশু
  • মন নিয়ে
  • ডক্টরস’ ডায়ালগ
  • ঘরোয়া চিকিৎসা
  • শরীর যখন সম্পদ
  • ডক্টর’স ডায়েরি
  • স্বাস্থ্য আন্দোলন
  • সরকারি কড়চা
  • বাংলার মুখ
  • বহির্বিশ্ব
  • তাহাদের কথা
  • অন্ধকারের উৎস হতে
  • সম্পাদকীয়
  • ইতিহাসের সরণি
Search
Close

ওয়াশিংটনের মৃত্যু

Washington
Dr. Jayanta Das

Dr. Jayanta Das

Dermatologist
My Other Posts
  • June 30, 2020
  • 7:32 am
  • 2 Comments

জর্জ ওয়াশিংটন। আমেরিকার স্বাধীনতা-যুদ্ধের বীর। আমেরিকার প্রথম প্রেসিডেন্ট। ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি লম্বা পেটানো শরীর। সাতষট্টি বছর বয়সেও তাঁর স্বাস্থ্য খুব ভাল ছিল। ছোটবেলায় গুটিবসন্ত হয়েছিল, কাবু করতে পারেনি। পরে প্রথমে যক্ষ্ণা ও তারপর ম্যালেরিয়া—সামলে নিয়েছিলেন দিব্যি। প্রবাদপ্রতিম জেনারেল—এক যুদ্ধে চারটে গুলি তাঁর শরীরে ঢুকেছিল, আর তাঁকে পিঠে নেওয়া চার-চারটে ঘোড়া একই যুদ্ধে মরে গিয়েছিল, ওয়াশিংটন কিন্তু দিব্যি বেঁচে ছিলেন। অথচ সামান্য ইনফ্লুয়েঞ্জায় মাত্র দুদিনের মধ্যে তাঁর মৃত্যু হল।

১৭৯৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর সকালে ওয়াশিংটনের সামান্য জ্বর আসে। প্রথমে তিনি ওষুধ খেতে চাননি, কিন্তু রাতে কষ্ট বাড়ল, ভোররাতে শ্বাসকষ্ট। ওয়াশিংটনের বাড়ির ম্যানেজার সাধ্যমতো চিকিৎসা করলেন। চিকিৎসা বলতে রক্তমোক্ষণ, বা শিরা কেটে রক্ত বের করা। সে সময়ে প্রায় সব রোগে খুব চালু চিকিৎসা ছিল এটা। সেদিন ভোরবেলা ওয়াশিংটনের আধ-লিটার রক্ত বের করা হল। পরদিন সকালে তিনজন নামী ডাক্তার তাঁর বাড়িতে সেখানে এসে পৌঁছলেন। আবার আধ-লিটার রক্ত বের করে দেওয়া হল, এবং বেলা ১১ টা নাগাদ ফের আধ-লিটার রক্ত! তাতে রোগের উপসর্গ খানিক কমল, কিন্তু রোগী নেতিয়ে গেলেন। বিকেলের দিকে ডাক্তারবাবুরা শিরা কেটে এক-লিটার রক্ত বের করে দিলেন। বেশ ভালো ফল হলো, ওয়াশিংটন আরাম পেলেন, একবার ঊঠেও বসলেন, কিন্তু তারপর খুব দুর্বল হয়ে শুয়ে পড়লেন। সন্ধ্যেবেলায় অবস্থা আরও খারাপ, ডাক্তারেরা আরও কিছু রক্ত বের করার চেষ্টা করলেন, কিন্তু শরীর থেকে রক্ত আর বেরোতে চাইছে না। রাত হল। ডাক্তারদের শত চেষ্টা সত্ত্বেও সবার সামনে আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন শান্তভাবে মৃত্যুকে মেনে নিলেন।

আজ ক্লাস টেনের ছাত্রও জানে, শরীরে মোটামুটি ৫ লিটার রক্ত থাকে। ডাক্তারেরা আড়াই লিটার, মানে আর্ধেক রক্তই বের করে নিয়েছেন দেড়-দুদিনের মধ্যে। সুতরাং ইনফ্লুয়েঞ্জা নয়, স্রেফ রক্তপাতের জন্যই রোগী দুর্বল হবেন, মারা যাবার সম্ভাবনা বাড়বে।

কিন্তু সেদিন পৃথিবীর তাবড় ডাক্তারেরা সেটা জানতেন না। বা বলা ভাল, পাশ্চাত্য চিকিৎসা, আজ যাকে ‘অ্যালোপ্যথি’ এই ভুল নামে ডাকা হয়, তাতে ঐ মেরে ফেলার কাজটিই চিকিৎসা বলে ভাবা হত।  কিন্তু পাশ্চাত্যে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছিল। ডাক্তারেরা কি রোগীকে বাঁচাচ্ছেন, নাকি তাঁদের মৃত্যু ডেকে আনছেন?

সেদিন চিকিৎসার পদ্ধতিগুলি খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা ছিল না। ব্যক্তি-চিকিৎসকের ধারনা ও অভিজ্ঞতা, আর বিখ্যাত চিকিৎসকদের অভিজ্ঞতা-লব্ধ জ্ঞানের সঞ্চয় কিছু পুস্তক, এ থেকেই চিকিৎসার ওষুধ ও পদ্ধতি স্থির হত। সমস্ত চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা বিজ্ঞানসম্মতভাবে বিশ্লেষণ করার পদ্ধতি তখনও আসেনি। তাই যখন ওয়াশিংটন রক্তমোক্ষণ চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন, সেই ১৭৯৯ সালেই আমেরিকার পেনসিলভ্যানিয়ার আদালত রক্তমোক্ষণের পক্ষে রায় দিচ্ছেন।

পেনসিলভ্যানিয়ার আদালতে একটি জমজমাট কেস চলছিল। ডাক্তার বেঞ্জামিন রাশ বনাম সাংবাদিক উইলিয়াম কবেট। বেঞ্জামিন রাশ ছিলেন সে সময় আমেরিকার বিখ্যাত ডাক্তার, আমেরিকার বিজ্ঞানজগতের উচ্চতম সোপানের মানুষ, ‘পেনসিলভ্যানিয়ার হিপোক্রেটাস’। আবার বেঞ্জামিন রাশ আমেরিকার রাজনৈতিক জগতে অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন—ডিক্লারেশন অফ ইন্ডিপেন্ডেস এর অন্যতম স্বাক্ষরকারী।

এহেন ডাক্তার বেঞ্জামিন রাশ রক্তমোক্ষণ-চিকিৎসায় খুব ভালো ফল পেতেন। আমেরিকায়  রক্তমোক্ষণ চিকিৎসা যে এত চালু হয়েছিল, তার পেছনে ডাক্তার রাশের প্রভাব খুবই কাজ করেছিল। এনার সঙ্গে টক্কর দিতে গেলেন উইলিয়াম কবেট নামক এক নেহাত চুনোপুঁটি, এক অখ্যাত সাংবাদিক। সে সময় মেডিক্যাল সাংবাদিকতা কথাটা চালু হয় নি, কিন্তু উইলিয়াম কবেট সেটাই করার চেষ্টা করতেন। তিনি নানা রোগীর মৃত্যু নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখলেন, ডা. রাশ আর তাঁর সহযোগীরা রক্তমোক্ষণের সাহায্যে চিকিৎসা করলে রোগী বেশি মারা যাচ্ছে। কবেটের সাহসের অভাব ছিল না, ১৭৯৭ সালে তিনি লিখলেন, ডা. রাশের পদ্ধতি ‘পৃথিবীর জনসংখ্যা কমাতে সাহায্য করছে’। এহেন ব্যাঙ্গে ডা. রাশ রেগে আগুন হয়ে কবেটের নামে মানহানির মামলা ঠুকলেন। দু’বছর পরে ১৭৯৯ সালের ডিসেম্বর মাসে পেনসিলভ্যানিয়া আদালতে মামলার রায় বেরোল। ঠিক তখনই জর্জ ওয়াশিংটন ডাক্তারের হাতে রক্তমোক্ষণের ফলে মারা যাচ্ছেন। আদালত রায় দিল, রক্তমোক্ষণ সঠিক চিকিৎসা। সেই পদ্ধতি ব্যবহার করে ডা. রাশ রোগীর ক্ষতি করছেন–-একথা বলে শ্রীযুক্ত কবেট ডাক্তার রাশের মানহানি করেছেন। কবেটকে মোটা টাকা জরিমানা দিতে হল।

তাহলে কি আদালতের ভুল? না, কথাটা তাও নয়। আদালতের বিচারক তো সর্বজ্ঞ নন, চিকিৎসার কোন্ পদ্ধতি ঠিক আর কোনটা বেঠিক, সেটা বিচার করতে আদালতকে চিকিৎসকদের ওপরেই নির্ভর করতে হয়। তখন চিকিৎসকদের সবার জ্ঞান যেটুকু ছিল আদালত ততটুকুই বুঝেছিল। কোনও চিকিৎসাপদ্ধতি ঠিক না ভুল সেটা বলার জন্য চিকিৎসাশাস্ত্রের নিজস্ব বিচারপদ্ধতি তখন ভুল ছিল।

কিন্তু চিকিৎসাশাস্ত্রের বিচারপদ্ধতি তখন ভুল ছিল, এটাও বোধ করি ঠিক বলা হল না। আসলে ওয়াশিংটনের মৃত্যুর ৫২ বছর আগে চিকিৎসাশাস্ত্রের সঠিক বিচারপদ্ধতি কেমন হওয়া উচিৎ তার মূলসূত্র আবিষ্কার করে বসেছিলেন ইংল্যান্ডের নৌবাহিনীর এক নেহাত সাধারণ ছোকরা ডাক্তার। তার নাম জেমস লিন্ড। কিন্তু সে কথা তখনও কেউ জানেই না।

পরে কোনো একদিন আসা যাবে এই জেমস লিন্ডের গল্পে।

চিত্র পরিচিতি

১। জর্জ ওয়াশিংটন

২। ডা. বেঞ্জামিন রাশ

কৃতজ্ঞতা স্বীকার

ভারতের যুক্তিবাদী সমিতি

 তথ্যসূত্র

  1. Trick or Treatment: Alternative Medicine on Trial. Simon Singh & Edzard Ernst. Corgi Books, 2009.
  2. Snake Oil Science: The Truth About Complementary and Alternative Medicine. R. Barker Bausell. Oxford University Press; 2009
PrevPreviousডায়াবেটিসের অ থেকে চন্দ্রবিন্দুঃ পর্ব ২২ (শরীরচর্চা)
Nextমেডিকেল কলেজ ও সাগর দত্তের ইন্টার্নদের ট্রেনিং এর জন্য পাঠানো হচ্ছে অন্য মেডিকেল কলেজে।Next

2 Responses

  1. ঐন্দ্রিল says:
    June 30, 2020 at 10:27 pm

    জানছ। 🙏

    Reply
    1. ঐন্দ্রিল says:
      June 30, 2020 at 10:28 pm

      অনেক কিছু জানছি। 🙏

      Reply

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সম্পর্কিত পোস্ট

মনে রবে কিনা রবে আমারে…

January 21, 2021 No Comments

অধ্যাপক ডা যাদব চট্টোপাধ্যায়ের গাওয়া। ফেসবুক থেকে নিয়ে পাঠিয়েছিলেন ডা দীপঙ্কর ঘোষ। সত্যজিত ব্যানার্জীর ওয়ালের ভিডিও তার অনুমতি নেওয়া হয়নি তাড়াতাড়িতে। ক্ষমাপ্রার্থী।

একদম চুপ তারা

January 21, 2021 No Comments

আমার স্কুলে একটি ভীষণ দুর্দান্ত আর ভীষণ মিষ্টি বাচ্চার গল্প বলি আজ| ডাক্তারি পরিভাষায় সে হলো ডাউন সিনড্রোম ও intellectually challenged বাচ্চা| ভাবগতিক দেখে অবশ্য

ঊনিশ শতকের বীর চিকিৎসক-নারী – আনন্দবাই ও অন্যান্যরা

January 21, 2021 4 Comments

আমরা এর আগে বাংলার তথা ভারতের প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট কাদম্বিনী গাঙ্গুলিকে নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেছি। সমসাময়িক কালে আনন্দবাই যোশী, রুক্মাবাই, হৈমবতী সেনের মতো আরও কয়েকজন

করোনায় গন্ধ না পেলে কি করবেন?

January 20, 2021 No Comments

ডা স্বপন কুমার বিশ্বাসের ইউটিউব চ্যানেল থেকে অনুমতিক্রমে নেওয়া।

শেষ কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

January 20, 2021 1 Comment

মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের প্রধান ডা যাদব চট্টোপাধ্যায় Covid19-এ আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন। মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি থাকাকালীন ওঁর কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

সাম্প্রতিক পোস্ট

মনে রবে কিনা রবে আমারে…

Doctors' Dialogue January 21, 2021

একদম চুপ তারা

Dr. Mayuri Mitra January 21, 2021

ঊনিশ শতকের বীর চিকিৎসক-নারী – আনন্দবাই ও অন্যান্যরা

Dr. Jayanta Bhattacharya January 21, 2021

করোনায় গন্ধ না পেলে কি করবেন?

Dr. Swapan Kumar Biswas January 20, 2021

শেষ কবিতাঃ একাকীত্বে হেঁটে যাওয়া

Doctors' Dialogue January 20, 2021

An Initiative of Swasthyer Britto society

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।

Contact Us

Editorial Committee:
Dr. Punyabrata Gun
Dr. Jayanta Das
Dr. Chinmay Nath
Dr. Indranil Saha
Dr. Aindril Bhowmik
Executive Editor: Piyali Dey Biswas

Address: 

Shramajibi Swasthya Udyog
HA 44, Salt Lake, Sector-3, Kolkata-700097

Leave an audio message

নীচে Justori র মাধ্যমে আমাদের সদস্য হন  – নিজে বলুন আপনার প্রশ্ন, মতামত – সরাসরি উত্তর পান ডাক্তারের কাছ থেকে

Total Visitor

291696
Share on facebook
Share on google
Share on twitter
Share on linkedin

Copyright © 2019 by Doctors’ Dialogue

আমাদের লক্ষ্য সবার জন্য স্বাস্থ্য আর সবার জন্য চিকিৎসা পরিষেবা। আমাদের আশা, এই লক্ষ্যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও আপামর মানুষ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের আলোচনা ও কর্মকাণ্ডের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে ডক্টরস ডায়ালগ।