আর্যতীর্থের কবিতা।
। দেবী।
গণতন্ত্র শিবের মতন ভূতল শয়ান চক্ষু মুদে,
কেউ জানেনা ভাঙবে সে ঘুম আপতকালীন কোন ওষুধে।
বুকের ওপর দাঁড়িয়ে নাচেন সেডিশনের চামুণ্ডাটি,
টুঁ শব্দ নেই কারোর মুখে , যার গলাতেই নামুক দা-টি।
দেবীর গলার মুণ্ডমালায় রোজই মাথার সংখ্যা বাড়ে,
ঘুচবে না আর গারদ-জীবন নাম যদি নেয় এফ আই আরে।
মুণ্ডু থেকে রক্ত ঝরে , পান করে সব ভক্ত শেয়াল,
হুক্কা হুয়ায় দেয় জানিয়ে এই শ্মশানের পোক্ত দেওয়াল।
ডাকিনী আর যোগিনীরা বেড়ান ঘুরে চতুর্দিকে,
দেখেন কারা বিপদ ডাকে বেসুর গাওয়া ট্যুইট লিখে।
দেখতে পেলেই রক্ষেটি নেই, রক্ষেকালীর মতন রাগে,
হালুম করে হামলে পড়ে সেডিশনের পোষ্য বাঘে।
নাচেন দেবী ডেমন-মাফিক, ডেমোক্রেসি কেতরে পড়ে,
দেশজোড়া সব দেশদ্রোহীর মুণ্ডু চিবোন আরাম করে।
কড়মড়িয়ে শিরদাঁড়া খান, কেউ যেন না দাঁড়ায় সিধে,
বিরুদ্ধমত যেই না শোনেন, ভীষণ বাড়ে বলির খিদে।
দেবীর পিতা রাওলাট-দেব আশীষ ঢালেন অতীত থেকে
কন্যাটি তাঁর খুব দাপটে চলেন কুলের সুনাম রেখে।
ভিড়ের মাঝে যেসব মাথা সাহস রাখে উল্টো ভাবার
দায়ের কোপে কচাৎ কেটে স্বাধীন জীবন করেন সাবাড়।
গণতন্ত্র শব শয়ানে , কখনো কি জাগবে আবার?