লিজ আমার বান্ধবী, বন্ধুপত্নী তার থেকেও বড় পরিচয় ও আমাদের কাছে ‘রোল মডেল’। সব সমস্যার সমাধান কী ভাবে হাসি মুখে করতে হয়, ওর কাছ থেকে শিখতে হয়। সেই দিনটার কথা আমার পরিষ্কার মনে আছে, সঞ্জু ফোন করে বললো লিজের বায়োপসি রিপোর্ট পজিটিভ। আমার শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা জলের স্রোত বয়ে গেলো। এবার লিজের কাছ থেকে শুনি ও যখন কথাটা প্রথম শুনেছিল ওর মনের কি অবস্থা ছিল।
সেদিন বাচ্চাদের লার্নিং ডিসএবিলিটি বিষয়ে এক কর্মশালায় একজন বিশেষজ্ঞ এই সমস্যার ডায়াগনস্টিক টেস্টিং নিয়ে আলোচনা করছিলেন। আচমকাই আমার কানে টেস্ট শব্দটা গেল। তখনই মনে হয়, আরে, আমার তো আজই টেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ করার কথা। তাই লাঞ্চ ব্রেকে আমার স্বামীকে ফোন করে জানতে চাইলাম, তিনি রিপোর্টটা নিয়েছেন কিনা। তিনি জানালেন, রিপোর্ট নিয়েছেন। আমি অধীরভাবে জানতে চাইলাম কী আছে তাতে লেখা। কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে তিনি উত্তর দিলেন, ম্যালিগন্যান্ট। ম্যালিগন্যান্ট শব্দটা শুনে আমার গা হাত,পা ঠান্ডা হয়ে গেল। আমার এফএনএসি টেস্ট হলেও আমি অত গুরুত্ব দিইনি। ভেবেছিলাম ফাইব্রোঅ্যাডিনোমা অর্থাৎ সাধারণ কোনও লাম্প হবে। মাস ছয়েক আগে এমনই এক ফাইব্রোঅ্যাডিনোমা অপারেশন হয়েছিল। কিন্তু ম্যালিগন্যান্ট হবে ভাবতেই পারিনি। তাই প্রথমাবস্থায় শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা। আমার স্বামী পরের দিনই টাটা মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান। ক্যানসার সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার পর যে মনের অবস্থা কী হয়েছিল তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এতদিন অন্যের ক্যানসারের কথা শুনলেও নিজের যে এমন কিছু হতে পারে তা ভাবতেও পারিনি। আমার স্বামী আমাকে বোঝালেন, এই অসুখ সেরে যাবে। আমিও সায় দিলাম। কিন্তু স্তন ক্যানসার শোনার পর আমার চারপাশের পৃথিবী পুরো অন্ধকার হয়ে গেল। আবার কর্মশালায় ফিরে গেলেও সেখানে মন দিতে পারছিলাম না। চোখের জল বাঁধ মানতে চাইছিল না। কিন্তু সহকর্মী বা অন্যদের সামনে কাঁদতেও পারছিলাম না।
বাড়ি ফিরেই বাথরুমে যাই। সেখানে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ি। এই প্রথম আমি যেন মৃত্যুর সামনে দাঁড়ালাম। তখন আমার বয়স ৪৭ বছর। আমি বেশ ফিট এবং কর্মক্ষম ও স্বাস্থ্যবান ছিলাম। নিয়মিত জিমে যেতাম, জগিং করতাম। এমন অসুখ যে হতে পারে দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। আমার দুই মেয়ে। একজনের বয়স ১৬ আর অন্যজনের ১৩ বছর। এই বয়সে মেয়ে দুটো মাতৃহারা হবে! বড় মেয়ের পরের বছর বোর্ডের পরীক্ষা। আমি মারা গেলে ও কি পরীক্ষায় বসতে পারবে? ছোট মেয়ে কী করবে? আমার স্বামীই বা এই পরিস্থিতিতে কী করবেন, বিশেষ করে চিন্তা হচ্ছে চাকরির প্রয়োজনে তাঁকে বছরের অর্ধেক সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আমি না থাকলে পরিবারটার কী হবে? এই চিন্তাই মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে। এরপর বাথরুম থেকে বেরিয়ে এলাম। ভিতরটা ভেঙ্গেচুরে গেলেও বাইরে শান্তভাব বজায় রাখলাম। সেই রাতেই মেয়েদের কাছে আমার অসুখ সম্পর্কে জানালাম। ওরা প্রথমে আমাদের কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়। তারপর দুজনেই জানতে চায়, তুমি ঠিক আছো তো মা। আমি বললাম, হ্যা মা আমি একদম ঠিক আছি। এই কথা শোনার পর ওদের মুখে যে শান্তি ও বিশ্বাস দেখেছিলাম তখনই আমার মনে হয়েছিল আমাকে সুস্থ হতেই হবে। আমার মেয়েদের, স্বামীর ও আমার পরিবারের জন্য ভাল আমাকে থাকতেই হবে। পরদিন থেকে আমার এই রোগের বিরূদ্ধে লড়াই শুরু হল।
আর এই লড়াইতে জিতেছিল লিজ। সেই গল্প শুনবো পরের দিন।
A personal account of my reaction on being diagnosed with Breast Cancer
The speaker was going on and on about diagnostic testing for children with learning disability. I was attending a workshop on the topic and the use of the word ‘tests’ reminded me that my test report was due that day. So during the lunch break I called up my husband to ask him whether he had collected the report from the lab. After a few rings he answered the phone and to my query he said yes, he had collected it. “Well, what does it say?’ I asked impatiently. He was quiet for a few seconds and then he said ,”Its malignant”. My blood ran cold. I had taken the FNAC quite casually, convinced that the report would show just fibroadenoma, for which I had been operated upon 6 months back. I had thought that the lump that had surfaced in the same area was more of the same, as did the doctor. So I was completely unprepared for the ‘malignant’ diagnosis and my first reaction was that of disbelief. I couldn’t take in what my husband was saying about going to Tata medical Centre the next day. All I could think about was that I had cancer. The big C. I couldn’t process it. Cancer was something that happens to other people, not to me. I was vaguely conscious of my poor hubby trying desperately to reassure me that I was going to be fine, and I mumbled “Yes, yes”. I had to hang up soon after as I needed to get back to the workshop. I found myself shaking and feeling totally disoriented. When it finally sank in that I had just been diagnosed with breast cancer, I thought that my world had just crashed around me. Tears sprang to my eyes, which I swiftly and fiercely controlled, because I couldn’t cry there, not in front of my students who were attending the workshop with me. Not in front of my colleagues. Not in front of the other attendees. I don’t know how I got through the rest of the workshop, trying desperately to concentrate on the proceedings, trying desperately not to think about my diagnosis. When the workshop ended, one of my students asked if she could travel back home with me; the entire trip back she kept chattering about sundry things and I smiled and laughed and kept telling myself that I’ll deal with this once I’m back home. And the moment I reached home I rushed to the bathroom and locked myself in. Only then did I allow myself to cry. I cried great heaving cries. I was confronted for the first time with the notion of my mortality and I couldn’t take it in. I was 47 years old. I was fit and healthy, going to the gym and jogging regularly. My daughters were 16 and 13 years old . Was I going to leave them motherless? My elder daughter was going to appear for her board exams in a years’ time – if I die would she be able to appear for the exam? What would my younger daughter do? And my husband, how would he cope if I’m not there, especially as he stays away from home half the year on account of his job? How would my family manage? My thoughts kept going round and round in a circle. After what seemed like ages, I emerged from the bathroom pale and frightened but outwardly calm. That night, we broke the news to our daughters. They were stunned; they heard us out and then both of them asked me, “Will you be alright, mama?” . And I replied “Yes, I will be alright”. Looking at the relief and trust on their faces, I realised that I had to be alright. For them. For my husband. For my family. And so my journey began.
Elizabeth Dey