সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় এর লেখা এই অনবদ্য ছোট গল্পটা যাদের পড়া নেই তারা একটিবার পড়ে নিতে পারেন। আজ সুনীলের বানানো গল্প নয়। নিজের সত্যি গল্প বলার দিন। নিজস্ব কিছু বোধ আছে, নিজস্ব কিছু জেদ আছে, নিজস্ব কিছু দাঁতে দাঁত চেপা লড়াই আছে। এইটুকু বুঝতে পারি যে কোনো লড়াইই একা জেতা যায় না। আমার নিজস্ব বাহিনীর তিন সৈনিক এর কথা লিখে রাখে যাই।
এই জেলায় নতুন পদে কাজে আসার পর ঠিক করেছিলাম যে তিনটে খুব গুরুত্বপুর্ণ বিষয়ে রোজ একটা ছোট্ট করে রিপোর্ট চাই। কভিড যার দায়িত্বে ডাটা ম্যানেজার তনবির হোসেন, ডেঙ্গু যার দায়িত্বে ভিবিডি কনসালটেন্ট নাসিফা হাসান ঘোষ আর ব্লাড ব্যাংক স্টক যার দায়িত্বে একজিকিউটিভ এসিস্ট্যান্ট দীপিকা মুখোপাধ্যায়। এই তিনজনই ন্যাশনাল হেমত মিশনের চুক্তিবদ্ধ কর্মচারী যাদের পারিশ্রমিক লজ্জায় বলতেই পারবো না। আজ সেই তিনটে ডেলি রিপোর্ট এর ৭০০ দিন পূরণ হল।
এই সাতশো দিন ধরে ওই আমার আপনার মতো ওই তিনজনের জীবনেও ও অনেক ওঠাপড়া এসেছে। এসেছে আনন্দের দিন, উৎসব মুখর দিন। এসেছে দুঃখের দিন, শরীর খারাপের দিন। কিন্তু আনব্রোকেন রেকর্ড এটাই যে এই সাতশো দিনের একদিনও কোনো ছেদ পড়েনি, বিরামহীন ভাবে ওরা তিনজন রিপোর্ট পাঠিয়ে গেছে। অষ্টমীর সন্ধ্যেয়, ঈদের রাতে, সাইক্লোনের ঝড়ের বিকেলে। লাগাতার। আমি সামান্য মানুষ, আমার কোনো ক্ষমতা নেই এই তিনজন ডেডিকেটেড কর্মীর একপয়সা মাইনে বাড়ানোর। আমার কোনো ক্ষমতা নেই হাসপাতাল ও ব্লকে কর্মরত যেসব একজিকিউটিভ এসিস্ট্যান্ট/ ডাটা এন্ট্রি অপারেটরদের সাহায্যে ওরা তিনজন লাগাতার এই রিপোর্ট করে গেছে সেই ডিইওদের একপয়সা মাইনে বাড়ানোর। এই অক্ষমতার জন্য প্রতিনিয়ত বিক্ষত হই, বিশেষ করে সেই দিনটায় যখন আমার মাসমাইনের অঙ্কটা দেখতে পাই মাসের শেষে। আমি তাই কিছুই পারি না, কেবল তাদের এই নিষ্ঠা পরিশ্রমকে স্যালুট জানাতে পারি। সেইটাই জানালাম আজকে।
সাতশো দিন একদিন সাত হাজার দিন হবে আমি হয়তো সেদিন এই জেলায় থাকবো না। যারা থাকবেন তারা দেখবেন। জনস্বাস্থ্যের সার্ভেইলেন্সের এই অবিশ্বাস্য জার্নি শেষ হবে না। স্যালুট এই সব কর্মীদের।
একটা উচ্চপদ বড়ো একলা হয়।
সেখানে একটা অনুভূতিশীল মন আরও অসহায়।এটুকুই বলার।
বাকীটা গল্প টা পড়ব।
এখন একটা মিনি প্যাড হয়েছে।
দেখছি পিডিএফ এ পাই কী না।
💖🙏খুবই ভালোবাসা সম্পৃক্ত লেখাটা।
দূর্দান্ত এবং খুব তীক্ষ। এইমাত্র পড়লাম 😍🫠😍😶
শাহজাহান ও তার নিজস্ব বাহিনী
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের।
🫠🫠😋
বলছি কি গো নেমতন্ন করবা তো!
আমি কিন্ত ভীষণ আশা নিয়ে আছি।
অবশ্য জানি না সেই স্ট্যান্ডার্ডে পরি কিনা!
দেখা হবে তাহলেই একমাত্র।
অবশ্য আমি একাই যাব।
তবে তোমার ঐ ঘ্যামা কার্ডটার ‘ইনভিটেশন ‘ ভীষণ সন্মানীয় আমার কাছে।💕💕🌹🌿
বাহিনী নিয়ে যাব না ।একা যাব।
বাহিনী নিয়ে কোনো মজা নাই।
এই বাহিনী বড়ো মারাত্মক। পরাধীনতার একশেষ একেবারে।আমি আমার বাড়ির বাহিনীর কথা বল্লাম।