করোনা ভাইরাস ব্যারিকেডের উপর বসে পা দোলাচ্ছিল।
আমি বললাম,’ যাচ্ছ কবে?’
‘যেতে পারি, কিন্তু কেন যাব?’
‘বাজে বোকো না। ওসব শক্তি চাটুজ্জের দিন আর নেই যে, কাব্যি করে বাংলা জুটবে! না গেলে টুইট করে, ছবি-এফিজি পুড়িয়ে তাড়ানো হবে।’
‘যাব বললেই তো আর যাওয়া যায় না। এত খাদ, এত পেরেক, এত কাঁটাতার। মাছি গলতে পারছে না- যাব কিভাবে?’
‘না গেলে তো শুকিয়ে মরবে। জল, আলো, ইন্টারনেট সব বন্ধ।’
‘তাহলে সমর্থন চেয়ে টুইট করব।’
‘টুইট? অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে জেলে পোরা হবে। বুঝেছ?’
‘ভাইরাস কি সাংবাদিক নাকি যে জেলে আটকে রাখবে! আমি মাঠে, ঘাটে, ক্ষেতে, মহাপঞ্চায়েতে- সর্বত্র বিরাজমান।’
‘দেখ, তুমি একজন বিদেশী। সুতরাং আমাদের আন্তরিক ব্যাপারে মাথা গলাতে এসো না। তুমি বরং তোমার সাউথ আফ্রিকান ভাইয়ের সম্বন্ধে কিছু বল। ও তোমার থেকে কতটা আলাদা? ওর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন কি কাজ করবে?”
‘কেন বলব? ওটা আমাদের ঘরেলু মামলা। ওখানে তোমাদের নাক গলানোর দরকার নেই।’
‘বুঝলাম। কিন্তু তোমার ভাইয়েরা আমেরিকায় কিরকম আছে?’
‘ডোলান্ড পালিয়েছে। ওদেরও এবার পালাতে হবে। উপায় নেই। আর কয়েকটা দিন।’
‘তাই তো বলছি, একটা অ্যামিকেবল সলিউশনে এস।’
‘অ্যামিকেবল সলিউশন? টুইটের কপি-টা তুমিও পেয়েছ নাকি?’
‘কি বলছ?’
‘ঠিকই বলছি। আমি ভাত-রুটি এসব খাই। অবশ্য তুমি কোন ফ্যাক্টরিতে তৈরী সিন্থেটিক খাবার খাও সে তুমি জানো। তাই গায়ের জোরে অ্যামিকেবল সলিউশন হবে না।’
এই বলে করোনা ভাইরাস উল্টো দিকে হাঁটা লাগালো।