তিন রকমের অসুখ হয়।
যেখানে যা রোগ ধরে, তারা কেউ এর বাইরে নয় ।
প্রথম, যাকে শরীর শত্রু ভাবে।
অসুখের অশুভ প্রভাবে,
দেহ লড়ে বিপরীতে শ্বেতকণিকার ঝাঁক আর ইম্যিউন সিস্টেমে
চিকিৎসকের হয় দারুণ সুবিধা, রোগ-মেরামতি হেতু ময়দানে নেমে,
এত বড় বাহিনীর সাহায্য পেলে পাবে জয় নিশ্চিত,
( তা না হলে সব ‘প্যাথি’ হাল ছেড়ে দিতো)।
দ্বিতীয়, যাকে শত্রু বলে প্রথমে বুঝতে পারে না সে।
ইম্যিউনিটি ধোঁকা খেয়ে অস্ত্র ধরে না আর লাগু সন্ত্রাসে,
চুপিসারে সে ছড়ায় ,
চারিদিক খুবলায়,
সে যে শত্রু সেটা শরীর ধরতে পারে ক্ষত-ক্ষতি অনেক এগোলে।
চিকিৎসকের এতে লড়া একা একা, হার জিত ব্যালান্সে দোলে,
যদি দেহ চিনে তাকে শেষ অবধি আসে দলে ফিরে,
হয়তো জয়ের ধ্বনি শেষে শোনা যাবে তবে মিত্র-শিবিরে।
তিননম্বর আর সবচেয়ে ভয়ানক, শরীর বন্ধু ভাবে যাকে।
ইম্যিউনিটি ইত্যাদি এই রোগে অসুখের দিকে ঝুঁকে থাকে,
ব্যাধি যদি শরীরের প্রিয়,
সারবার পথ খোঁজে কি ও,
যাকে সারাতে চায়, সেই যদি বৈদ্যের বিরোধে দাঁড়ায়,
একশোয় এক বাজি লাগাবে জুয়ারি তবে যুদ্ধ হারায়।
একলা চিকিৎসক ময়দানে সে লড়াই জিতবে কি আর,
শরীরের আগামীতে অচিরেই থিতু হবে ঘন অন্ধকার।
অসুখ এই তিনটে প্রকার।
শরীর হোক বা দেশ, ব্যাধিদের আর কোনো ভাগ নেই আর।
রাষ্ট্র চালান যারা, তাঁদেরও মাথায় রাখা এটা দরকার।