২৭/৪/২০২১ তারিখে সংবাদপত্রের একটি শিরোনামে বলা হয়েছে প্রতিরক্ষা বরাদ্দে রাশিয়াকে টপকে তিন নম্বরে উঠে এল ভারত। আগে শুধু আমেরিকা ও চীন। পরে সংবাদে আরও বলা হয়েছে, ২০২০ সালে প্রাপ্ত তথ্য বলছে। সে বছর আমেরিকার মোট প্রতিরক্ষা বরাদ্দ ছিল ৭৭৮০০ কোটি মার্কিন ডলার, যা ভারতীয় মুদ্রায় ৫৮ লক্ষ কোটি টাকা। চীনের ২৫২০০ কোটি ডলার বা প্রায় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা আর ভারতে ৭৯২০ কোটি মার্কিন ডলার যা প্রায় ৬.৫ লক্ষ কোটি টাকার সমান। গত কয়েক বছর ধরেই আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া এবং ইজরায়েলের কাছ থেকে ভারত সরকার হাজার হাজার কোটি ডলারের যুদ্ধাস্ত্র কিনেছে চীন ও পাকিস্তানকে ঠেকানোর জন্য। এর মধ্যে বছর দুয়েক আগে কেনা ফরাসী দাসো কোম্পানীর রাফায়েল যুদ্ধবিমান এবং সেই সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে ভারতের রাজনীতি এবং সংসদ বারেবারে উত্তাল হয়েছে। ৩৬ টি যুদ্ধবিমানের দাম পড়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা, বা প্রায় ৮০০ কোটি ইউরো। অভিযোগ উঠেছে যে এই বিমানগুলির এক একটির মূল্য ৭১৫ কোটি টাকা। অথচ দাম বাড়িয়ে তা কেনা হয়েছে প্রতিটি ১৬০০ কোটি টাকা দরে। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগও উঠেছে। কিন্তু তা নিয়ে কোন তদন্ত হয় নি।
সকলেই জানেন গত বছর (২০২০) ডিসেম্বর থেকে করোনার আক্রমণ, তৎপরবর্তী লকডাউন হাজার হাজার পরিযাযী শ্রমিক সহ লক্ষ মানুষের কর্মচ্যুতি, চাকরি, ছোট ব্যবসা সবকিছুর অন্তর্জলি মাত্রা দেশকে এক মহা সর্বনাশের দিকে নিয়ে গেছে। গতবছর নভেম্বর মাসের পর করোনার প্রকোপ কিছুটা কমলে বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা বারবার হুঁশিয়ারী দিচ্ছিলেন জিন পরিবর্তিত বা মিউট্যান্ট প্রজাতিকে সওয়ার করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অচিরেই ফিরে আসবে যেমন এসেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্ণপাত করেনি। বরং কেন্দ্রীয় শাসকদল উন্মত্ত ছিল ৫টি রাজ্যে যে কোন ভাবে বিধানসভায় জয়লাভ করে একাধিপত্য বিস্তারে।
পশ্চিমবঙ্গে গত দুমাসে করোনার যে তাণ্ডব বহু বিশেষজ্ঞের মতে আট দফা ভোটপর্বের সঙ্গে এবং অন্যান্য রাজ্য থেকে হাজার হাজার পার্টিকর্মী এবং আরক্ষাবাহিনী আসার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। একই ঘটনা ঘটেছে কেরলা ও তামিলনাড়ুতে। আরও একটি অসমর্থিত খবরে প্রকাশ যে কুম্ভমেলা প্রত্যাগত তীর্থযাত্রীদের ৯০ শতাংশই করোনায় আক্রান্ত। এবং তারা সারা ভারতবর্ষে শহর,গ্রাম এবং মফঃস্বলে নির্বিচারে ছড়িয়ে পড়েছেন। যখন এই প্রবন্ধ লেখা হচ্ছে তখন আমাদের দেশ দুকোটির বেশি সংক্রমণ সহ ভারতসভায় শ্রেষ্ঠ অমর লাভ করেছে। মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় আড়াই লাক্ষ ছুঁয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ ২ লক্ষ বিশ্বের প্রায় ১২ টি দেশ ভারতের সঙ্গে বিমান সংযোগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
প্রায় ১৭ বছর পরে ভারতবর্ষবাধ্য হয়েছে ৪০ টি দেশের কাছ থেকে নানা ধরণের সাহায্য যেমন ঔষধ, ভেন্টিলেটর, চিকিৎসার নানা সরঞ্জাম অক্সিজেন প্রভৃতি আমদানী করতে। এর মধ্যে চিরশত্রু চীনও আছে আরব দেশ গুলি এবং বাংলাদেশও আছে। ভারতবর্ষ চীনের রাষ্ট্রদূত সান ওয়েডন জানিয়েছেন যে গত দুসপ্তাহে তারা ৬১ টি বিমান বোঝাই করে ৫০০০ টি ভেন্টিলেটর, ৩৮০০ টন মেডিসিন এবং ২১৮৬৯ টি অক্সিজেন জেনেরটর ভারতবর্ষে পাঠিয়েছেন। আজকে ভারতে অক্সিজেনের হাহাকার অথচ গতবছরও যখন করোনা পুরোদমে চলছে তখন কেন্দ্রীয় সরকার কূটনীতির নামে ১০০০০টন অক্সিজেন এবং কয়েক হাজার টন ওষুধপত্র বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে দেশের মানুষকে বঞ্চিত করে এবং ব্যবসায়ীদের খুশী করতে।
এবার আসি ভ্যাক্সিনের প্রসঙ্গে। সংবাদপত্র সুত্রে প্রায় সকলেই জানে যে আমাদের দেশে অ্যাস্ট্রোজেনেকা অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ড (উৎপাদক সেরাম ইনস্টিটিউট) এবং আই সি এম আর ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন এই দুটি দেওয়া হচ্ছে। অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে এই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ আরম্ভ হলেও ভ্যাক্সিনের অভাবে অনেকাংশই মুখ থুবড়ে পড়েছে। যে সরকার কেবলমাত্র নানা ধরণের চমক ও জুমলায় বিশ্বাস করে, টীকাকরণের সার্টিফিকেটে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছাপায়, তারা দেশের মানুষকে টীকা দেবার দায়দায়িত্ব থেকে নিজেদের মুক্ত করে দিতে চাইছে এবং পুরোটাই ছেড়ে দিতে চাইছে বাজারের হাতে।
শুধু প্রফিট নয়, সুপার প্রফিটের সন্ধানে ভ্যাকসিন উৎপাদক সংস্থাগুলি ঘোষণা করেছে যে ভ্যাকসিন তারা কেন্দ্রীয় সরকারকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি করেছে তা রাজ্য সরকারকে কিনতে হবে ৪০০ টাকায় ( পরিবর্তিত দর ৩০০ টাকা) এবং প্রাইভেট হাসপাতালগুলিকে কিনতে হবে ৬০০ টাকায়। একই ভ্যাক্সিনের বিভিন্ন দর সম্বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের, নাগেশ্বর রাও ও রবীন্দ্র ভাটের ডিভিশন বেঞ্জ তীব্র আপত্তি করেছে এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনা করেছেন। কলকাতায় যে কর্পোরেট হাসপাতালগুলি এই ভ্যাকসিন কিনে মানুষকে দিচ্ছেন তারা বিপুল লাভ রেখে প্রতি ডোজ পিছু ৮৫০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত কানমুলে আদায় করে নিচ্ছেন। ভ্যাকসিন নিয়ে এই “কালোবাজারির” মূলে হচ্ছে এই অত্যাবশ্যকীয় ও প্রাণদায়ী ওষুধ বিনা পয়সায় দেবার দায়িত্ব পুরোপুরি ত্যাগ করে তা ব্যবসার জন্য তুলে দেওয়া। বহু ঢক্কানিনাদেরস সাহায্যে ঘোষণা করে দেওয়া হল যে ১লা মে থেকে ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের ১৮ উর্ধে সব বয়সসীমার মানুষকে টীকা করণের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এই জন্য টীকা উৎসবও পালন করা হল। অথচ পাশাপাশি পরিষ্কার ভাবে জানিয়ে দেওয়া হল এই বয়সসীমার মধ্যে মানুষদের টীকা হয় রাজ্য সরকারগুলিকে কিনতে হবে অথবা উপভোক্তাদের খোলা বাজারের দ্বারস্থ হতে হবে। এই ভয়ঙ্কর অতিমারীর অশনিকালেও যে মানুষের যন্ত্রণা ও হাহাকার থেকে কিভাবে মুনাফা নিষ্কাশন করতে হয় তা সত্যি এই সরকারের কাছ থেকে শিক্ষনীয়। আমাদের নবগঠিত রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছেন, তারা ঐ দুটি কোম্পানী থেকে নির্ধারিত দামে টীকা কিনে সমস্ত নাগরিকদের বিনাপয়সায় দেবে। এই মে পর্যন্ত তিন কোটি ডোজ টীকার জন্য অগ্রিম ৪৮ কোটি টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে কিন্তু ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের জন্য কোন টীকা রাজ্যে আসেনি। ৪৫ উর্ধ্বে মানুষদের টীকার জন্য মাত্র ৫ লক্ষ ডোজ এসেছে। ১৮ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নাগরিকদের মধ্যে ৫ কোটি ১৭ লক্ষ জন এর মধ্যেই নাম নথিবদ্ধ করেছেন আর টীকা পেয়েছে ২ শতাংশ এরও কম, প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ। কেন্দ্রীয়ও স্বাস্থ্য সচিব লব আগরওয়াল জানিয়েছেন কেবলমাত্র ১২ টি রাজ্যে এই বয়সীদের টীকাকরণ আরম্ভ হয়েছে। অন্য রাজ্যগুলিতে এ বিষয় কোন খবরই নেই। পশ্চিমবঙ্গে শিশুদের (১৮ বছরের নীচে) বাদ দিয়েও প্রায় সাড়ে সাত কোটি নাগরিকের মধ্যে ১ টি ডোজ পেয়েছেন ৮৪ লক্ষ এবং দুটি ডোজ মাত্র ১৯ লক্ষ। বহু মানুষের দ্বিতীয় ডোজের সময় হয়ে গেলেও পান নি। চারদিকে হাহাকার।
এর মধ্যে শুধু ঝড়ের গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে “কেন্দ্রীয় ভিস্তা প্রকাশ” –জরুরি পরিষেবা হিসাবে। প্রায় নতুন রাজধানী, সংসদ ভবন এবং সাতশো ঘর বিশিষ্ট প্রধান মন্ত্রীর বাসভবন তৈরী হচ্ছে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে। এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ‘এয়ারকোর্স ওয়ান’ এর অনুকরণে প্রধানমন্ত্রীর জন্য আট হাজার কোটি টাকার বিলাসবহুল বিমান কেনা হয়েছে।
প্রশ্ন হল সরকার সমস্ত ইচ্ছুক নাগরিকদের বিনা পয়সায় টীকা দেবে না কেন? প্রাথমিক পর্যায়ে কোভ্যাক্সিনের তিন পর্যায়ের পুরো পরীক্ষা সম্পুর্ণ না করেই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছিল। সে নিয়ে বহু বিতর্ক হয়। একধরণের সবজান্তা ‘ষড়যন্ত্রপ্রেমী’ মানুষ (কিছু চিকিৎসকও ছিলেন এর মধ্যে) টীকার বিরুদ্ধে নানা আজগুবী যুক্তি হাজির করেন সামাজিক মাধ্যমগুলিতে। কিন্তু নানা দেশে প্রমাণ হয়েছে করোনার পরীক্ষা, রুগীর দ্রুত চিকিৎসা ও টীকাকরণই অতিমারী ঠেকাবার একমাত্র প্রকৌশল। ইজরায়েল ১০০ শতাংশ টীকাকরণ সমাপ্ত করে ঘোষণা করেছে, ফাইজার টীকায় প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রায় ৯৫ শতাংশ। অন্যদের ক্ষেত্রেও টীকা নেবার পরেও যদি রোগ হয় তার তীব্রতা বা প্রাণ যাওয়ার আশঙ্কা ০.৫ শতাংশ এরও কম। আমেরিকায় ৪০ সতাংশ টীকাকরণ সমাপ্ত, যুক্তরাজ্য প্রায় ৪৮ শতাংশ।। ভারতে? ১৫ শতাংশ এরও কম। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে এবং নানা অগ্রাধিকার তালিকাভুক্ত মানুষের সংখ্যা যেখানে ৪২ কোটি, সেখানে টীকা প্রয়োজন মাত্র ১৫ কোটি।
টীকা শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। সংক্রমণ ছড়ানো আটকাবার জন্যও প্রয়োজন। টীকা না নিলে নিজে সংক্রমিত হবার ও অন্যকে সংক্রমণ করার ঝুঁকি ষোল-আনা। একে বলে Externality করোনার টীকা কোনো ভোগ্য পণ্য নয়। গণস্বাস্থ্যের সঙ্গে জড়িত। আপনার যদি মধুমেহ থাকে এবং তার ওষুধ না খান অথবা কিনতে না পারেন, তবে শুধু আপনিই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কিন্তু করোনার টীকা না নেওয়া সামাজিক ক্ষতি। আপনার রোগ না হয়েও Superspeader হতে পারেন। এমন একটি বিষয় কেন্দ্রীয়ও সরকার রাজ্যের হাতে ছেড়ে দেয় কী করে?
করোনা প্রতিরোধের নাম করে মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণতহবিলকে এড়িয়ে খোলা হয়েছিল “PM Care Fund” – যার পরিচালক মন্ডলী শাসকদলের কার্যকর্তা’য় ভর্তি। উঠেছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যবসায়ীরা করছাড়ের জন্য ঐ তহবিলে ঢেলে অনুদান দিয়েছেন। সে টাকা কোথায় গেল?
ভারতের ১৩৮ কোটি মানুষের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশ’র বয়স ১৮ র নীচে। বাকী রইলো ৮৪ কোটি নাগরিক। ১৫০ টাকা (বর্তমান বিক্রয় মূল্য) করে দুটি ডোজ দিতে খরচ ২৫২০০ কোটি টাকা। এই টাকা কি ভারত সরকারের নেই!
২০২১ এ কেন্দ্রীয়ও স্বাস্থ্য বাজেটে মোট বরাদ্দ প্রায় ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। তার মধ্যে ৩৫ হাজার কোটি কোভিড টীকার জন্য। PM Care এ আরও ৩৫ হাজার কোটি। এই সত্তর হাজার কোটি থেকে ২৫ হাজার কোটি বার করা কি অসম্ভব?
আরও আশ্চার্যের বিষয় নিধিরাম সর্দার রাজ্যগুলির দিকে দায়িত্ব পুর ঠেলে দেওয়া হল, তাদের সরাসরি একটি বেসরকারি সংস্থার থেকে টীকা কিনে নিতে বলা হলো অগ্রীম অর্থ দিয়ে। অথচ টীকার সামগ্রিক উৎপাদন ও বন্টনে রাজ্যগুলির কোনো হাত নেই। বর্তমানে যে হারে দুটি ভ্যাকসিন উৎপাদন হচ্ছে, তাতে সবাইকে টীকা দিতে গেলে দেড় বছর সময় লেগে যাবে। তার মধ্যে তৃতীয় (বুস্টার) ডোজের দরকার হবে কিনা কে জানে! প্রথমে কেন্দ্রীয়ও সরকার সেরাম ইনস্টিটিউট কে ৬০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন যা নাগরিকদের করের টাকা। যুক্তি ছিল জনস্বার্থ। এখন পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য আদার পুনাওয়ালা আবার সাহায্য চাইছেন। অথচ মানুষ টীকা কিনবে সাত থেকে দশগুণ দামে (যদি ক্ষমতায় কুলায়)। এরা কি সাধারণ ভারতবাসীকে দিয়ে লাশ বিপনী খুলে বসেছেন?
শোনা যায় সংবিধান মোতাবেক ভারবর্ষের কাঠামো নাকী যুক্তরাষ্ট্রীয় (Federal)। তা এক অদ্ভুত খামখেয়ালীপনার মধ্য দিয়ে চলছে। নোটবন্দী, জি.এস.টি, গতবছরের আকস্মিক কঠোর লকডাউন। কেন্দ্রের একের পর এক আধিপত্যবাদী একতরফা সিদ্ধান্ত! এখন যখন করোনা টীকা উৎপাদন ও বন্টনের পত্রটি খুব গুরুত্বপুর্ণ হয়ে উঠেছে, যা একটি কেন্দ্রীয়ও সরকারই ঠিকমতো করতে পারে, তখন কেন্দ্র হাত ধুয়ে ফেলেছে। চমৎকার!