কেউ কেউ ডাক্তার হতে যায় নাম ডাক, গাড়ি বাড়ির জন্যে। কেউ কেউ ডাক্তার হতে যায় বায়োলজি সাবজেক্টটা ভালোবাসত বলে। কেউ কেউ ডাক্তার হতে যায় বাড়ির লোক চেয়েছিল বলে। বিবেকানন্দ মানে ডাক্তার বিবেকানন্দ মুখার্জি কিন্ত ডাক্তার হতে গেছিলেন ডাক্তারিকে ভালোবেসে।
মাত্র কয়েকদিনের জ্বর দুর্বলতা নিয়ে, হাওড়ার যে এস সি বাগচি নার্সিংহোমে 1999 থেকে কাজ করছেন গায়নোকলজিস্ট হিসেবে, সেখানে ভর্তি হন মাস দুয়েক আগে। হজকিনস লিম্ফোমা ডায়গনসিস হোলো। তিনটে কেমো হোলো কলকাতার এক কর্পোরেট হাসপাতালে। চার নম্বরটা ডিউ ছিল।
কেমন ছিল তার ডাক্তারি জীবন। কোনো মেডিসিনের ডাক্তার থাকবেন না কয়েকদিনের জন্য, ডাক্তার বিবেকানন্দ মুখার্জিকে ইন্ডোর দেখার দায়িত্ব দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত হতেন। অর্থোপেডিক্স সার্জেন তার কো সার্জেন হিসেবে ডাক্তার মুখার্জিকে পাশে পেলে আস্বস্ত হতেন। গায়নোকলজিস্ট হলেও এরকম আবাধ যাতায়াত ছিল ডাক্তারির বিভিন্ন শাখায়। এই জন্যই বলেছিলাম যে ডাক্তার বিবেকানন্দ মুখার্জি ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন ডাক্তারিকে ভালোবেসেই।
মাত্র 53 বছর বয়সে আজ 25 শে জুলাই 2020 চলে গেলেন, ডাক্তার বিবেকানন্দ মুখার্জি। কতগুলো শুকনো তথ্য। 1992 সালে এন আর এস মেডিক্যাল কলেজ থেকে MBBS পাস। 1997 সালে মেডিক্যাল কলেজ থেকে DGO করেন। তারপর সুনামের সাথে প্র্যাকটিস।
আজ ছিল চার নম্বর কেমো নেবার দিন। কিন্তু তার আগেই ভয়ংকর সেপসিস নিয়ে প্রায় আনকন্সাস অবস্থায় ভর্তি হন গত বৃহস্পতিবার। ভেন্টিলেটার। রুটিন কোভিড টেস্ট নেগেটিভ। জানিনা কিসের তাড়া ছিল। চার নম্বর কেমো না নিয়েই আজ সকালে চলে গেলেন ডাক্তার বিবেকানন্দ মুখার্জি।
সুমিত দা একজন ভালো মনের মানুষের কথা লেখার জন্য ধন্যবাদ। এভাবে মানুষ ডাক্তার দের কথা বলবেন।