একটু পিছিয়ে গিয়ে গল্পের শুরুটার নাগাল পাওয়ার চেষ্টা করবো আজকে। তখন মহামারীর সময়। সব কিছু একেবারে লণ্ডভণ্ড অবস্থা। ঘর বন্দী হয়ে থাকার যে যন্ত্রণা তা সবাই অনুভব করলাম।এক দিকে আক্রান্ত হবার ভয়, অন্যদিকে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকা। ঐ সময়ে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ সত্য ঘোষের। সে আমাদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিত টাটকা পনীর আর ঘী। স্কুটারে করে সেই আসতো আমার পাড়ায় সপ্তাহে তিন দিন করে। এ পাড়ায় আমরাই তাঁর প্রথম খদ্দের। তারপর আরও কেউ কেউ।
মাঝে বেশ কিছুদিন বেপাত্তা সত্য বাবু। মনে নানারকম শঙ্কার মেঘের আনাগোনা। আমাদের পাড়ার দত্ত বাড়ির তিন তিনজন ভাই সামান্য কিছু দিনের মধ্যেই চলে গেলেন।এক চরম আতঙ্কে আচ্ছন্ন সবাই। তারই মধ্যে সত্য ঘোষের গরহাজিরা। যখন সবাই নেতিভাবনায় নুইয়ে পড়েছি তখন হঠাৎ গলির মুখে “ পনীর,ঘী চাই ?” হাঁক শোনা গেল। সেই হাঁক কানে আসতেই, পড়িমড়ি করে বাইরে এসে দেখি আমার চেনা সত্য ঘোষ পীরের পশরা নিয়ে একেবারে বাড়ির দোড়গোড়ায় হাজির। স্কুটারের স্টার্ট বন্ধ করতেই জিজ্ঞাসা করলাম – “কী ব্যাপার? এতোদিন কোথায় গায়ের হয়ে ছিলেন?” প্রশ্ন শুনে একগাল হেসে সত্য বলে – না কাকু,মরে যাইনি। এই বলে গাড়ি থেকে নেমে, পরনের প্যান্টটা তুলে ধরে ডান পাটা মেলে ধরে। আমি অস্ফূট স্বরে বলে উঠি এতো ভেরিকোজ ভেইন।
ভেরিকোজ ভেইন হলো আমাদের শরীরের নিম্নাঙ্গে বিশেষ করে দুই পা, পায়ের পাতা এবং গোড়ালির চামড়ার তলায় পাক খেয়ে থাকা রক্তবাহী শিরা যা প্রাথমিকভাবে লাল হয়ে ফুলে থাকে। শরীরের চামড়ার ঠিক নীচেই জালের মতো ছড়িয়ে আছে অসংখ্য শিরা উপশিরা। অতি সূক্ষ্ম এই শিরাগুলো যদি অতিরিক্ত রক্ত সঞ্চালনের ফলে বিসদৃশ ভাবে ফুলে অনেকটাই মোটা দেখায় তখন তাকে ভেরিকোজ ভেইন বা ভেরিকোসেস বলে। এর ফলে আক্রান্ত অংশটি কালচে নীল অথবা হালকা বেগুনি রঙের হয়ে ওঠে। একদম প্রাথমিক অবস্থায় এগুলো তেমন ভয়ানক না হলেও কখনও কখনও এগুলো যন্ত্রণাদায়ক হয়ে ওঠে। আবার কখনও ফ্যাকাশে হয়ে ওঠা অংশটা খুব চুলকায়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রোগের প্রকোপ বেড়ে গেলে ফুলে মোটা হয়ে ওঠা ভেরিকোজ শিরার অংশ থেকে রক্তক্ষরণ , ত্বক বা চামড়ায় ঘা বা আলসার এবং superficial thrombophelebitis দেখা যায় । ফুলে ওঠা শিরার চারপাশ ঘিরে মাকড়শার জালের মতো লাল অথবা বেগুনি হয়ে ছড়িয়ে থাকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম উপশিরাগুলো। ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের চলন শক্তি ক্রমশ হারিয়ে যায়, ফলে মানুষটি শারীরিক, সামাজিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিক থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন।
আবার সত্য ঘোষের কাছে ফিরবো। কীভাবে পায়ের এমন সমস্যা তৈরি হলো জিজ্ঞাসা করায় সে জানিয়েছিল – আগে এক কোম্পানির সিকিউরিটি সার্ভিসে ছিলাম। সারাদিন ধরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ডিউটি করতে হতো। সেই থেকেই পায়ের ওপর বাড়তি চাপ পড়ায় আজ আমার এমন হাল। পায়ের ওপর বাড়তি চাপ পড়লে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা যে রয়েছে সে কথা বিলক্ষণ মানছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের অভিমত, আমাদের শরীরের শিরাগুলো হলো সরু পাইপ বা টিউবের মতো। এহেন শিরার আবরণী অংশ যখন দুর্বল বা কমজোরী হয়ে পড়ে তখনই ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যা দেখা দেয়। শিরার মধ্যে রক্তের চাপ বাড়লে দুর্বল হয়ে পড়েছে এমন শিরা আবরণীর অংশ সেই বাড়তি চাপ সামলাতে গিয়ে প্রসারিত হয়ে খানিকটা ফুলে যায়। এরফলে শিরার মধ্যে রক্তের একমুখী সুষম সঞ্চালনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে ভালভ থাকে সেগুলো আগের মতো কাজ করতে পারে না। শিরার মধ্যে ঢুকে পড়া অতিরিক্ত রক্ত আর ফিরে যেতে না পেরে শিরার মধ্যেই জমে ফুলে ওঠে। শিরাগুলো অতিরিক্ত রক্তের ভারে কিছুটা পাক খেয়ে যায়। প্রভাবিত অংশটি লাল হয়ে ওঠে।
চিকিৎসকদের মতে শিরা আবরণীর অংশের পাতলা হয়ে যাওয়া বা রক্ত নালির নিয়ন্ত্রক ভালভগুলো দুর্বল হতে পারে কয়েকটি বিশেষ কারণে। যেমন –
- হরমোন জনিত কারণে।
- বয়স বাড়ার জন্য।
- শরীরের ওজন বেড়ে যাবার কারণে।
- খুব আঁটোসাঁটো পোষাক পরার কারণে।
- একটানা অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হলে।
এখন প্রশ্ন হলো কোন কোন মানুষের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা রয়েছে? পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে যে –
- বংশানুক্রমিকভাবে যাঁদের মধ্যে ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যায় আক্রান্ত হবার প্রবণতা রয়েছে তাঁদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যায়। বাবার থেকে ছেলের মধ্যে এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
- চিকিৎসকদের মতে স্থূলতা সর্ব রোগের আকর। একালে নানা কারণে মানুষের মধ্যে স্থূলতা বাড়ছে। পায়ের পেশিতে এর দরুণ অতিরিক্ত চাপ পড়ার জন্য শিরা জালিকা নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যা পরিণতিতে ডেকে আনছে ভেরিকোজ ভেইনের জটিলতা।
- ৪০–৮০ বছর বয়সী যে কোনো মানুষের মধ্যে এই সমস্যা দেখা যেতে পারে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পায়ের পেশি শিথিল হয়ে যায়। এই সময় শিরা আবরণী দুর্বল হয়ে যায় এবং সেগুলো আগের তুলনায় অনমনীয় হয়ে পড়ায় রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়। এছাড়া নিয়ন্ত্রণকারী ভালভগুলোও তাদের সক্রিয়তা হারিয়ে ফেলে। বয়স্ক মানুষের ওঠা বসা, চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত হয় বলে ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যায় পড়তে হয়।
- সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের মধ্যে এই রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। মহিলাদের গর্ভসঞ্চার কালীন অবস্থায় নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের হরমোন রক্ত নালির আবরণীকে পাতলা করে দেয়। ফলে এই সময় ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যায় আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও মহিলাদের ঋতুকালীন সময়ে বা মেনোপজের পর শরীরের হরমোন ভারসাম্যের অনেক পরিবর্তন ঘটে যা পরোক্ষভাবে ভেইনের জটিলতা সৃষ্টি করে। এছাড়া মহিলাদের মধ্যে অনেকেই হরমোন চিকিৎসার প্রয়োজনে অথবা জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন ধরনের হরমোন পিল ব্যবহার করেন। এইসব মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত হবার ঝুঁকি রয়েছে।
- পেশাগত কারণে যাদের অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাঁদের পায়ের পেশিতে অতিরিক্ত চাপ পড়ার জন্য এই সমস্যায় পড়তে হয়।
যেসব মানুষ নিয়মিত ধূমপান করেন তাঁদের রক্ত নালির আবরণী পাতলা হয়ে যাবার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ফলে সমস্যা বাড়তে পারে।
চরিত্রভেদে ভেরিকোজ ভেইনের তিনটি আলাদা প্রকার দেখা যায়। এই রোগে মুখ্যত চামড়ার ঠিক নীচে থাকা শিরাগুলোই প্রভাবিত হয়। তবে এই সমস্যা দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকলে রোগের জটিলতা বেড়ে যায়। প্রধান তিন ধরনের ভেরিকোজ ভেইন হলো –
- ট্রাঙ্ক ভেরিকোজ ভেইন ( Trunk varicose veins)
শিরাগুলো রক্ত জমে বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠলে তাকে এই নামে চিহ্নিত করা হয়। এগুলো বেশ লম্বা ও স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়। অন্যান্য ভেরিকোজ শিরার তুলনায় এগুলো বেশ মোটা হয়ে থাকে।
- রেটিকুলার ভেরিকোজ ভেইন ( Reticular varicose veins)
এগুলো সাধারণত লাল রঙের হয় এবং চামড়ার নিচে জালের মতো ছড়িয়ে থাকে । ট্রাঙ্ক ভেরিকোজ ভেইনের তুলনায় এই ধরনের আক্রান্ত শিরাগুলো কম স্ফীত হয় এবং খানিকটা বৃত্তাকারে বিন্যস্ত থাকে।
- Telangiectasia varicose veins
এগুলো সাধারণত স্পাইডার ভেইন নামে পরিচিত। এগুলো খানিকটা গুচ্ছাকারে থাকে। পায়ের পেশি ছাড়াও কখনও কখনও রোগীর মুখে এই জাতীয় আক্রান্ত শিরা দেখা যায়। অন্য দু ধরনের ভেরিকোজ শিরার তুলনায় এগুলো চামড়ার ওপর কম স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হয়।
শরীরী সমস্যা হিসেবে ভেরিকোজ ভেইনের সবথেকে বড়ো সুবিধা (?) হলো এই যে রোগী তাঁর সমস্যাকে নিজেই নিজের চোখে দেখে নিতে পারেন। পায়ের নানা অংশে শিরার ফুলে ওঠা ,দড়ির মতো পাকিয়ে যাওয়া, অথবা নীল, লাল অথবা বেগুনি রঙের শিরা দেখা গেলেই বুঝতে পারবেন যে আপনি ভেরিকোজ ভেইনের শিকার। পা ছাড়াও অপেক্ষাকৃত সূক্ষ্ম স্পাইডার ভেইনের দেখা পেতে পারেন মুখে, চোখের কোল ঘেঁষে। আক্রান্ত অংশের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল হয়ে যায়, চামড়া নরম হয়ে পড়ে। এছাড়া আক্রান্ত অংশে চুলকানি হতে পারে।সমস্যা গম্ভীর হলে ব্যথা অনুভূত হয়। যারফলে চলাফেরা করতে কষ্ট হয়।
এইসব উপসর্গ ছাড়া আরও যে সব উপসর্গ দেখা যেতে পারে, সেগুলো হলো –
- পায়ের পেশিতে প্রবল টান বা ক্র্যাম্প ধরতে পারে।
- পায়ের পাতা ফুলে উঠতে পারে।
- আক্রান্ত অংশের ত্বকের বর্ণ বদলে যেতে পারে।
- চামড়া এতোটাই নরম এবং স্পর্শকাতর হয়ে যায় যে সেখানে হাত দিলেও রোগী ব্যথা পান।
- উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া না হলে আক্রান্ত অংশে ঘা দেখা দেয়।
শরীর থাকলেই রোগ, আর রোগ থাকলেই প্রতিরোধ বা চিকিৎসার ব্যবস্থা। শরীরী সমস্যা দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিতে হবে, তবে অনেক সময় কিছু সাধারণ প্রচেষ্টায় রোগের উপশম হতে পারে। নিয়ন্ত্রিত করা যায় রোগের বিস্তার।এমনই কিছু সহজ পালনীয় উপায়ের কথা দিয়েই আজ শেষ করবো সত্য বাবু ও ভেরিকোজ ভেইনের আখ্যান। মনে রাখবেন এগুলো সবই ঘরোয়া চিকিৎসা।
- ব্যায়াম
নিয়মিত শারীরিক কসরত বা ব্যায়াম ভেরিকোজ
ভেইনের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রিত রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সময়ধরে ব্যায়াম করলে শরীরে বিশেষ করে পায়ে রক্ত সঞ্চালন অনেকটাই বেড়ে যায়। এরফলে পায়ের পেশির শিরায় আগে থেকে জমে থাকা রক্ত পুনরায় সঞ্চালিত হতে পারে। এছাড়া ব্যায়াম শরীরের রক্ত চাপের মাত্রা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনে যা শিরায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
সাঁতার, হাঁটা, সাইক্লিং ও যোগ ব্যায়াম পায়ের পেশি এবং পায়ের শিরায় রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।
- কম্প্রেশন স্টকিংস
আজকাল নানা ধরনের স্টকিংস পাওয়া যায় যেগুলো পায়ের পেশিতে বাড়তি চাপ দিয়ে শিথিল হয়ে যাওয়া পেশিকে শক্ত করে রক্ত হৃদপিণ্ডের দিকে রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে। সমীক্ষায় দেখা গেছে যেসমস্ত মানুষ এই সমস্যায় ভুগছেন, তাঁরা এই স্টকিংস ব্যবহার করা শুরু করলে ভেরিকোজ ভেইন সংক্রান্ত সমস্যার হাত থেকে অনেকটাই স্বস্তি পাবেন।
ঢিলেঢালা পোশাক পরুন
আমাদের পরনের পোষাক যত ঢিলেঢালা, আরামদায়ক হবে ততই রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক ভাবেই হবে। আঁটোসাঁটো পোষাক পরার ফ্যাশন ছাড়তে হবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।
হাই হিল জুতোর বদলে ফ্ল্যাট হিলের জুতো ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যাকে দূরে সরিয়ে রাখে।
- পা তুলে রাখুন
মাঝে মধ্যে আপনার পা দুটো একটু ওপরে তুলে রাখুন। এরফলে রক্ত সঞ্চালনে কোনো বাধা সৃষ্টি হবেনা। এরফলে পায়ের রক্তচাপ কমবে এবং পা থেকে হৃদয়ের দিকে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে।
- নিয়মিত ম্যাসেজ করুন
আক্রান্ত শিরাগুলোর ওপর কোনোরকম বাড়তি চাপ না দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন। রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকবে।
- অভ্যাসের দাস হবেন না
অযথা অভ্যাসের দাস হবেন না, এতে ভালোর থেকে মন্দ হবার সম্ভাবনা বেশি। যাঁরা একঠায়ে বসে থেকে কাজকর্ম করতে বাধ্য হন, তাঁরা কিছু সময়ের ব্যবধানে জায়গা থেকে উঠে একটু হাঁটাচলা করে নিন। ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যাকে এরফলে ঠেকাতে পারবেন।পা দুটোকে ক্রশ পজিশনে রেখে বসবেন না। এতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়।
- ওজন কমান
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় স্থূলতা হলো শারীরিক অসুস্থতার মূল কারণ। ওজন কমান।রোগেরা আপনার কাছে ঘেঁষতে সাহস পাবেনা।
- খাবার টেবিলে লবণ বন্ধ করুন
লবণ তথা সোডিয়ামের ব্যবহার কমান। অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার ছাড়তে হবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে। সোডিয়ামের পরিবর্তে পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার শরীরের পক্ষে ভালো।
- খাদ্য তালিকায় যুক্ত হোক আরও ফ্ল্যাভোনয়েডস্
আমাদের খাদ্য তালিকায় আরও বেশি করে ফ্ল্যাভোনয়েডস্ সমৃদ্ধ খাবার। ভেরিকোজ ভেইন শরীরে উঁকিঝুঁকি মারতে সাহসই পাবেনা।শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে ফ্ল্যাভোনয়েডস্ খুব কার্যকর। আপনার খাদ্য তালিকায় যুক্ত হোক ব্রকোলি, পেঁয়াজ, রসুন, পালং শাক, ক্যাপসিকামের মতো সবজি, সাইট্রিক অ্যাসিড যুক্ত রসালো ফল যেমন নানান ধরনের লেবু,আঙুর, আপেল,চেরি। এরা সকলেই ফ্ল্যাভোনয়েডস্ সমৃদ্ধ। তাই ভেরিকোজ ভেইনের সমস্যাকে পিছু হটাতে সাহায্য করে।
- ভেষজ সমাধান
কিছু কিছু বিশেষ ভাবে তৈরি ভেষজ নির্যাস রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এগুলো ব্যবহার করা যায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে।
আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যায় ভেরিকোজ ভেইনের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে। তবে সেই সব বিষয়ে আলোকপাত করতে কোমড় বেঁধে তৈরি রয়েছেন আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দল। অতদূর যেতে যেন না হয় সেই কারণেই চিকিৎসক না হয়েও এত কথা বলার দুঃসাহস দেখিয়ে চলেছি।
জুলাই ১৫,২০২৪
বেশ সহজ কথায় অনেক কথা জানতে পারছি।লেখককে ধন্যবাদ।
তবে বয়স্কদের সোডিয়াম কোমর প্রবণতা থাকে।তাই বাড়তি নুন ত্যাগ করতে হবে,।সম্পূর্ণ ত্যাগ করবেন না।
সোডিয়াম কমার হবে।ওটি মুদ্রণ প্রমাদ।
Jantam na.Amer baba o mayer paye eta ache.onek onek dhannobad Jamaibabu.