আসুন, এই প্রবন্ধে আমরা একটু উকুনের গল্প করি। গল্প করা দু’জনের মধ্যে হয়। যেহেতু আমি আপনাকে পাশে পাচ্ছিনা, তাই গল্প করা কথাটা বোধ হয় ঠিক নয়। বরং আসুন, আজ উকুনের গল্প বলি-
“Either socialism will defeat the louse or the louse will defeat socialism”- V.I. lenin. (এর বাংলা করলে দাঁড়ায়, “হয় সমাজতন্ত্র উকুনকে পরাজিত করবে, না হলে উকুনই সমাজতন্ত্রকে শেষ করে দেবে”। -ভ ই লেনিন।)
আমি এটুকু লেখার পর, আমার সন্দেহ, অনেক পাঠকই আমার সুস্থতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেছেন। তবে প্রথমেই যে কথা আমি লিখেছি, তা সত্য ঘটনা। ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিন, রাশিয়ার তখনকার দোর্দন্ডপ্রতাপ রাষ্ট্রপ্রধান, সত্যিই একথা বলেছিলেন। তার যুদ্ধ শুধু জারের বিরুদ্ধেই ছিলনা, ছিল উকুনের বিরুদ্ধেও। তবে এও সত্যি, উকুনই রাশিয়াকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল, শেষ করে দিয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যসামন্তকে। নেপোলিয়ন ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। গল্পটা এরকম-
গত শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক। নেপোলিয়ন তখন বিশ্ব জয়ের স্বপ্নে মশগুল। আর কেনই বা হবে না! ছয় লক্ষ প্রশিক্ষিত সৈন্যের দল তাঁর। বিশ্বে পরিচিত গ্রান্ড আর্মি (Grande Armee) বলে। অপ্রতিরোধ্য তারা। তাই ইচ্ছে, ইউরোপের পর রাশিয়া, তারপরে ভারত দখল করে তিনিই হবেন সর্বে-সর্বা। ইউরোপ দখল করতে খুব বেগ পেতে হয়নি, তারপর ১৮১২ সালে তিনি জার্মানি পেরিয়ে শীতের শুরুতেই রাশিয়ায় পৌঁছে গেলেন। তার দলে ছিল মেডিকেল টিম, তার প্রধান সার্জেন বা চিকিৎসক তাঁকে সতর্ক করলেন, কিন্তু নেপোলিয়ন শুনলেন না। তবে ছয় লাখ সৈন্যের দল পোল্যান্ডে এসে ধাক্কা খেল, তাদের জন্য যথেষ্ট পরিমান রসদ পেতে অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি আশ্রয় নিলেন নিমান (Nieman) নদীর তীরে। সেই সময় রাশিয়া-পোল্যান্ড জুড়ে চলছিল টাইফাস রোগের এপিডেমিক। এই টাইফাস উকুনের মাধ্যমে বাহিত হয়। কিন্তু খাবার আনতে তো যেতেই হলো লোকালয়ে, আর তারপর নেপোলিয়নের সৈন্যদের মাধ্যমে উকুন ঢুকে গেল নেপোলিয়নের সৈন্য শিবিরের ক্যাম্পে। একে তো খুব ঠান্ডা, স্নান নেই, সব সময় জামা-কাপড়ের মধ্যে থাকা, ঠিক মতো পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা নেই- উকুন একেবারে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে গেল সৈন্য ক্যাম্পে। শুরু হলো টাইফাস রোগ। শুরু হলো মৃত্যু-মিছিল। প্রথম মাসেই মারা গেল আশি হাজার সৈন্য। তবুও নেপোলিয়ন হারার পাত্র নয়, তিনি রাশিয়া দখল করবেনই। কিন্তু সৈন্য মরতে থাকলো হু হু করে। অবশেষে তিনি মাত্র ৯০ হাজার জীবিত সৈন্য নিয়ে রাশিয়া নয়, মস্কো দখল করলেন, ১৮১৩ সালের জানুয়ারীতে। ততদিনে নেপোলিয়নের সৈন্যদের ভাতে মারতে রাশিয়ার সরকার ও সৈন্যরা জ্বালিয়ে দিয়েছে সব খাবারের গুদাম, সব দোকান বন্ধ করে দিয়েছে।
ঠান্ডা, টাইফাস রোগ, অনাহার, খাবারের অভাব, চলতে থাকা মৃত্যু মিছিল- নেপোলিয়ন বাধ্য হলেন পিছু হঠতে। শেষ পর্যন্ত ছয় লক্ষের মধ্যে মাত্র কুড়ি হাজার সৈন্য নিয়ে তিনি ফ্রান্সে ফিরে এলেন। তাদের মধ্যে ১৮১৩ সালের জুন পর্যন্ত মাত্র ৩০০০ সৈন্য বেঁচে ছিল।
উকুন, হ্যাঁ, উকুনই শেষ করে দিল ছয় লক্ষের অপ্রতিরোধ্য সৈন্য বাহিনীকে। নেপোলিয়নের দম্ভ চূর্ণ করে দিল।
নেপোলিয়ন চলে গেলেন, কিন্তু উকুন রয়ে গেল রাশিয়া ও পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। ১৯১৭ থকে ১৯২২ সালের মধ্যে শুধুমাত্র রাশিয়ায় আক্রান্ত হলো ২ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ। মারা গেল ৩০ লক্ষ। বাধ্য হয়ে লেনিনকেও মাথা ঘামাতে হলো উকুন নিয়ে, ঘোষণা করতে হলো উকুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।
রাশিয়া ছাড়াও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, এমনকি আমাদের ভারতবর্ষের কাশ্মীরেও এই এপিডেমিক টাইফাস হয়। রাশিয়ার অনেক পরে এরকম ব্যাপক আকারের রোগের এপিডেমিক ঘটে গেছে ১৯৭০-৭৩ সালে- ইথিওপিয়া, বুরুন্ডী ও রুয়ান্ডাতে। এবং মনে করা হয়, খৃষ্টপূর্ব ৪৩০ অব্দে টাইফাস হয়েছিল এথেন্সে।
এবার আসা যাক উকুনের কথায়। উকুন মানেই যে মহিলাদের লম্বা চুলে চুলকে বেড়ানো কালো পোকা, তা কিন্তু নয়। কিছু কিছু উকুন মাথায় থাকে না, থাকে শরীরে। আবার কিছু কিছু উকুন থাকে মানুষের পিউবিক হেয়ারে, মানে যৌনাঙ্গের চারপাশের লোমের মধ্যে।
উকুন দেখতে কেমন? সবারই বোধহয় এটাকে দেখার অভিজ্ঞতা আছে। লম্বাটে কালো চেহারা, ৬টি পা। পূর্ণবয়স্ক হবার পর এক থেকে দেড় মাসের আয়ু এদের। ডিম থেকে শুরু হয় এদের জীবন। একটি স্ত্রী উকুন প্রতিদিন গড়ে ৩০০ ডিম পাড়ে। ৪ থেকে ৯ দিন ধরে ডিম পাড়তে থাকে। ডিমগুলো সাদা দানার মতো, চুলের বা জামা-কাপড়ের সাথে শক্ত ভাবে লেগে থাকে। ডিম থেকে ৭ থেকে ৯ দিনের মধ্যে বের হয় লার্ভা বা বাচ্চা উকুন। এরা ১০ থেকে ১৫ দিন পরে পূর্ণতা প্রাপ্ত হয়। সব মিলিয়ে ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক হয়ে মৃত্যূ- সময় দেড় থেকে দু’মাস। বড়জোর আড়াই মাস। কিন্তু সেই একটি স্ত্রী উকুনই রেখে যেতে পারে দু’আড়াই হাজার বংশধর। অর্থাৎ, এরা বেড়েই চলে।
উকুন নিজে সরাসরি কোন রোগ তৈরি করে না। একমাত্র মাথার মধ্যেকার কুট-কুট করা ছাড়া। আর এই চুলকানির সময় কেউ যদি একটু মাথার চুলের ফাঁকে ফাঁকে উকুন খুঁজে দেয়, তখন বোধ হয় আরামই বেশী লাগে। কিন্তু এরা নিজেরা রোগ তৈরি না করলেও রোগের জীবাণু বয়ে বেড়ায়।
রিকেটসিয়া গোত্রের এক ধরনের জীবাণু হলো রিকেটসিয়া প্রবাজেকি (Rickettsia Prowajeki)। এরা উকুনের পেটের মধ্যে বড়ো হয়, বাড়ে, তারপরে উকুনের মলের সাথে নির্গত হয় অথবা উকুনের মৃত্যুর পর বাইরে বেরিয়ে আসে। আর উকুনেরা যেখানে হেঁটে বেড়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেখানে চুলকাতে আরাম। চুলকানির ফলে ছড়ে যাওয়া সেই পথে ওই জীবাণু (Rickettsia Prowajeki) প্রবেশ করে শরীরে। ব্যাস, তারপর 15 থেকে 21 দিন পরে তারা সংখ্যায় এবং সামর্থ্যে বেড়ে আক্রমণ করে মানুষকে। ফল- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এবং 4-5 দিন পরে চামড়ায় লাল লাল ছোপ ধরে। জ্বর, ভুল বকা, স্মৃতিভ্রম অবশেষে শতকরা 15 থেকে 70 ভাগ লোকের মৃত্যু। যারা ভালো হয় তাদেরও কারো কারো ,মধ্যে এই জীবাণু থাকে এবং হঠাৎ কোন একদিন তারা আবার আক্রান্ত হয়। এই রোগের নাম এপিডেমিক টাইফাস।
এছাড়া উকুন আরও রোগের জীবাণু বহন করে। উকুনের বাহিত রোগের ইতিহাস যেন যুদ্ধের ইতিহাসের সাথে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে গেছে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সৈন্যরা থাকত ট্রেঞ্চ (Trench)-এ। সেখানে বসেই যুদ্ধ করত, থাকত। দেখা গেল, এইসব সৈন্যদের এক ধরনের জ্বর হয়। পাঁচ দিন মতো থাকে। তাতে লোক মরে না বটে কিন্তু কর্মক্ষমতা হারায়। এই রোগের নামই হলো ট্রেঞ্চ ফিভার (Trench fever) অর্থাৎ ট্রেঞ্চের জ্বর। দেখা গেল এ রোগের কারণও এই উকুন-বাহিত জীবাণু, তবে এই জীবাণুর নাম আলাদা, এর নাম Rochalimaea Quintana।
আরো এক ধরনের রোগের কারণও এই উকুন, তবে সে মাথার উকুন নয়, গায়ের উকু্ন যার পোশাকি নাম পেডিকিউলোসিস করপোরিস (pediculosis corporis)। এরও গল্প সেই যুদ্ধের গল্প অথবা যুদ্ধের কারণে ঘরছাড়াদের গল্প। যেখানে রিফিউজি ক্যাম্প অথবা যুদ্ধবন্দী কিংবা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, জামা কাপড় খোলা হয় না বা খোলা যায় না অনেকদিন, সেখানে গায়ের মধ্যে এবং জামা কাপড়ের মধ্যে থাকে এই উকুন- আর এদের রক্তের মধ্যে থাকে এক ধরনের জীবাণু যাদের নাম বরিলিয়া রেকারেন্টিস (Borrelia recurrentis)। চুলকানির পরে বা চাপে পড়ে উকুন মারা গেলে তাদের রক্ত আসে মানুষের রক্তের সংস্পর্শে। আর তখনই জীবাণু মানুষের রক্তে ঢোকে, তারপরে তৈরি হয় রোগ এবং বেশ ভয়ংকর রোগ। জ্বর, কাশি, গা-ব্যথা, দুর্বলতা, মাথা-ব্যথা, ইত্যাদি দিয়ে শুরু। মানুষকে একেবারে কাবু করে ফেলে। কখনো কখনো মাথাও ধরে নেয়- তারপর স্বাভাবিক ভাবেই ভুল বকা, মাথা ধরা, ইত্যাদি হয়। গর্ভবতী মেয়েদের হলে তাদের বাচ্চাও নষ্ট হতে পারে। চিকিৎসা না করালে কেউ মারা যায়, কেউ বা সাময়িক ভাবে ভালো হয়- কিন্তু অনেকদিন পরে আবার রোগ হয়। আবার জ্বর হয় অর্থাৎ বারবার রিলাপ্স (relapse) করে, ফিরে ফিরে আসে। আর তাই এই রোগ এর আরেক নাম রিলাপ্সিং ফিভার (Relapsing fever)।
জীবাণুবাহিত রোগ ছাড়াও উকুনের কারণে কিছু রোগ হয়, যা অতটা মারাত্মক নয়। উকুনের নির্গত মল জমে মানুষের শরীরে, সেই মলের জন্য মানুষের অ্যালার্জি হতে পারে, চুলকানি হতে পারে এবং অবশেষে ঘা-পাঁচড়া অথবা একজিমা হতে পারে।
ভারতবর্ষ গরমের দেশ। এখানে লোক জামা-কাপড় কম পরে। গ্রামের বেশিরভাগ পুরুষ গান্ধীজীর মত একবস্ত্রে থাকেন। চুল পরিষ্কার করার অভ্যাস অনেক জায়গায় কম। আর সেই অপরিষ্কার চুলের মধ্যে উকুনের আশ্রয়। গ্রামে গেলে দেখা যায় বিকালবেলা অলস দুপুরে কাজের শেষে আশে পাশের বাড়ির কয়েকজন মহিলা বসে গেছে মাদুর পেতে। পরপর লাইন করে একজনের মাথার চুলে অন্যজন বিলি কেটে উকুন খুঁজছেন, পেলেই দুই হাতের নখের উপর রেখে নৈপুণ্যের সাথে করে পুট করে সেটির পেট ফাটিয়ে দিচ্ছেন। যদিও বর্তমানে স্বাস্থ্য সচেতনতা এই চিরাচরিত চিত্র অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে।
উকুন যদিও অনেক আছে, কিন্তু ভারতবর্ষে সৌভাগ্যক্রমে উকুন-বাহিত রোগ অনেক কম। কাশ্মীরে কিছু কিছু হয়। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশে এই রোগ এখনো প্রচুর হয়। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে এ রোগের প্রকোপ এখনো বেশ বেশী। ইথিওপিয়াতেও এখনো প্রতি বছরে কমবেশি 10 হাজার লোক আক্রান্ত হয় Relapsing feverএ। বুরুন্ডিতে রিফিউজি ক্যাম্পে হাজার ১৯৯৭ সালে এপিডেমিকে আক্রান্ত হয়েছে কমবেশি এক লক্ষ লোক। রাশিয়াতে আবার দেখা গেছে ১৯৯৮ সালে।
কাজেই যেখানে উকুন আছে, দারিদ্র্য আছে, অপরিচ্ছন্নতা আছে, সেখানেই রোগ আছে। আর এগুলোর কোনটাই কম নেই আমাদের ভারতবর্ষে। আমরাও যেকোনো সময়ে আক্রান্ত হতে পারি ব্যাপকহারে, এপিডেমিকে। আর আমাদের রাষ্ট্রনায়কদের কথা না বলাই ভাল। তাদের অন্য এতসব চিন্তা আছে তা ছেড়ে উকুনের মত ক্ষুদ্র জিনিস নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় তাদের নিশ্চয়ই হবে না। তখন কিন্তু সেই ‘একমাত্র ভগবান ছাড়া কাউকে ভয় পাই না’-র মত বলতে হবে ভগবান ছাড়া কেউ ভরসাও নেই।
তবে সামান্য একটু সর্তকতা অবলম্বন করলেই এই রোগ বা উকুন কোন ধারে-কাছে আসতে পারে না। তা হলো ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার থাকা, একটু সাবান মাখা, মাথা পরিষ্কার রাখা, জামা কাপড় পরিষ্কার করা বা রাখা। তবেই উকুন থেকে মুক্তি, পুরোপুরিভাবে এবং উকুন-বাহিত রোগও আর আসবে না। ভয়ও থাকবে না। আর যদিও উকুন হয়, কোন ভগবান ভরসা না করে ডাক্তার দেখানো অবশ্য দরকার। এখন খুব ভালো ভালো ওষুধ বেরিয়েছে। এক দু’বার মাথায় লাগালেই উকুন থেকে মুক্তি। উকুন ঝাড়ে বংশে লোপ পাবে।
তবে কেউ যদি উকুনের জন্য মাথা চুলকে আরাম পেতে চান, তবেই ভগবান ভরসা করে সব ভগবানের হাতে ছেড়ে দিন। ডাক্তারের ধারে কাছে যাবেন না, আমিও আপনার হয়ে বলব ভগবান ভরসা।
এবার উকুন নিয়ে পুরনো দিনের কিছু কথা
বারবারা এল থর্ণ, আমেরিকার উকুনের চিরুনি সংগ্রহকারী নিজেই একটি উকুন বের করা চিরুনি আবিষ্কার করে তার পেটেন্ট নিয়েছেন।
পুরনো দিনে মিশরের মেয়েরা মাথায় যে পাগড়ি ব্যবহার করত তার ভেতরের দিকে সুগন্ধি গ্রিজ দিয়ে রাখতো। এটি গলে গিয়ে হাওয়া চলাচল বন্ধ হতো। উকুনও কিছু মরতো। উকুন মারার অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে তখন এটি ব্যবহার হতো।
পর্তুগালের লিসবনে কিছু মানুষ বাঁদরকে ট্রেনিং দিয়ে ঘরে রাখতো উকুন মারার জন্য। এখন অবশ্য দিনকাল পাল্টেছে সেসব সম্ভবত নেই।
পিগমি এবং পাপুয়াদের কাছে উকুন মারা একটা সামাজিক যোগাযোগের অঙ্গ। অর্থাৎ এর উকুন ও মেরে দেয়, তারও উকুন কোন অন্য কেউ মেরে দেয় মাথা চুলকে, অর্থাৎ মাথায় বিলি কেটে।
গ্রিনল্যান্ডে উকুনের স্থান অনেক উপরে। তাদের ধর্মীয় মতে সমুদ্রের দেবীর মাথার উকুন থেকেই সমস্ত সামুদ্রিক জীব-জন্তু সৃষ্টি। গ্রিনল্যান্ডে স্কুলের ছেলেমেয়েদের অনেক উকুনের গল্প পড়ানো হয়। উকুন খায় পুরুষতিনি নামের এরকম একটি বালিকার গল্প সেখানে খুব প্রিয়।
পুরনো দিনের মমিদের চুলের উকুনের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
প্রি-কলম্বিয়ান সভ্যতায় উকুনের বাজার দাম ছিল। গরীব লোকে ব্যাগ ভর্তি উকুন দিত খাজনা হিসাবে। বহুদিন ধরে ধৈর্্য্য সহকারে তারা যে উকুন ধরেছে, এটা দিয়ে তাই প্রমাণ করা হতো।
শেষ কথাঃ
এই কাহিনীর আমি পরিবেশক মাত্র। তথ্য নিয়েছি বিভিন্ন ডাক্তারী শাস্ত্রের বই থেকে এবং অন্তর্জালে জড়িয়ে পড়ে।
চমৎকার
দারুণ।
Very much informative.
Osadharon!