প্রতিবাদ কোরো না।
চুপচাপ যা দিচ্ছি সোনামুখে নাও।
যেখানে গণ্ডী দেবো সেটাই সীমানা।
ওর বেশি বাড়িও না একখানা পা-ও।
কী বললে? দাবী আছে কিছু?
আরে ধুর, হটে যাও পিছু,
দাবী নিয়ে না ভাবছি আজ, না ভাববো ভাবীতে,
পুতুল এ দেশ চলে আমারই চাবিতে
যেদিকে চাইবো নিতে সেদিকেই যাবে সোৎসাহে।
সেটা আঁধারের দিক,
মন্দ লোকের করা ভুল কুৎসা এ,
পড়ে আছো তপ্ত কটাহে আর পেরোলেই গনগনে আঁচ,
পালাবার পথ নেই,
যত খোঁজো আনাচ-কানাচ,
সব পথ এইখানে শেষ হয় রোমে নয়,
আমার দুপা’য়,
আমি একমেবাদ্বিতীয়ম,
শেষে শেষ, প্রথমে প্রথম,
আমি ছাড়া তোমাদের আর নেই অন্য উপায়!
তবুও খুলছো মুখ?
মূক থাকা কত সুখ এতবার বোঝাবার পরে,
এখনো খেদানো বুনো মোষ খেয়ে ঘরে?
ওহ হো হো,
এই ক্ষীণ দ্রোহ বুঝি বন্ধ বেতনে সেই খাওযারই অভাবে?
কী করবো বলো,
বিচারক খুশি নন আমার জবাবে,
চাল থেকে কাঁকর বাছা এটা নয়,
তুলনাই যদি দিতে হয়,
দুধ থেকে জল হলে বরঞ্চ কাছাকাছি যায়..
কত অনুপাতে সেটা জিজ্ঞেস করাটাই ঘোর অন্যায়,
স্ক্রু ঢিলে না থাকলে ক্লু কেউ রাখে?
ঝাঁকের সে কৈ কবে মিশে গেছে ঝাঁকে,
কার ভাগে গেছে কতখানি,
কেন সেটা নিয়ে টানাটানি,
বয়ে গেছে গঙ্গার পানি তারপর অনেক বছর,
ভরা গাঙ ভরা আজ ধু ধু বালুচর,
বেতন জীবন ধন সবই অনিত্য এখানে,
আমার বেদীটি শুধু অচল অনড়।
ভালোভাবে এইসব যত কেন বলি,
তোমাদের স্বর তাও ওঠেই কেবলই,
চুপ!
নয়তো দেখতে পাবে ভয়ানক রূপ,
যে কূপ দিয়েছি গড়ে তাতে বসে থাকো হয়ে ভেক,
মনে ভাবো যা পেয়েছি এই তো অনেক!
তবু শুনছো না!
তবু ভাবো তোমাদের করি বঞ্চনা?
বেশ তবে থাকে আলোচনা,
চোওপ!
সহ্য করি না আমি কোনো বেয়াদপ,
এসবের থেকে শুরু দ্রোহ,
বহুবার জেনেছে এ গ্রহ!
এইবারে নামবে কুলীশ, সাথে আছে বাধ্য পুলিশ,
পেটে বুকে গলায় মাথায়..
লাঠি দিয়ে সব করা যায়,
আমার বিরুদ্ধে যদি যুদ্ধে নেমেছো,
ঝরবেই তোমাদের রক্ত,
সরল সে অংকটা বোঝা নয় শক্ত।
স্বরহীন হও।
বোঝো যে খাগড়া ছাড়া কিচ্ছুটি নও।
সুবোধ স্তাবক হয়ে যদি মোট বও,
যা দিচ্ছি মেনে নিয়ে ভালো হয়ে রও,
লাথি-লাঠি ভুলে ফের তবে হাতে চক তো।
তা নইলে বুঝে নেবে অ-পুলিশ ভক্ত।