আজ ২৫ শে ফেব্রুয়ারি ২০২১, পরিসংখ্যান বলছে ভারতে করোনা গ্রাফ আবার ঊর্ধমুখী। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আবার বাড়ছে। আমার ডাক্তারি মতে আর পড়াশোনায় মনে হয়েছে এটাই স্বাভাবিক। ম্যাজিকের মতো করোনা গায়েব হতে পারে না। ভারতে জনবহুল অঞ্চলে (মূলত বড় শহর, যেখানে মানুষের ঘেঁষাঘেঁষির সম্ভাবনা বেশি) প্রচুর ইনফেকশনের কারণে একটা স্থানীয় (লোকাল ক্লাস্টারে) হার্ড ইমিউনিটি (গোষ্ঠী অনাক্রম্যতা) তৈরি হয়েছিল, তাই সংক্রমণ কয়েক মাস কম ছিল। সেই ইমিউনিটি ছ’মাস পরে আর নেই কাজেই আবার যাঁরা আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরা পুনরায় আক্রান্ত হতে পারেন, বা অসুখ ছড়াতে পারেন।
মেলায় খেলনা বন্দুক দিয়ে বেলুন ফাটিয়েছেন কখনো? যদি বেশির ভাগ বেলুন ফেটে যায় তাহলে বন্দুক ছুড়লেও বেলুন ফাটানোর প্রবাবিলিটি কমে যায়, তাই হয়েছিল করোনার ক্ষেত্রে তাই কেস কম ছিল, আবার বেলুনগুলো ফুলিয়ে রাখা হয়েছে (যাঁরা ইনফেক্টেড ছিলেন, তাঁরা আবার ভালনারেবল) ফলে করোনা আবার ছড়াবে।
ভাবছেন তাহলে তো চারপাশে দ্বিতীয় বার ইনফেক্টেড মানুষ দেখতে পেতেন, কই তেমন তো দেখছেন না? মনে রাখবেন বেশির ভাগ সিম্পটমহীন আক্রান্ত অথবা মৃদু সিম্পটমে ভোগা মানুষ। তাই আপনি বুঝতেও পারছেন না কারা দুবার সিম্পটমহীন বা মৃদু সংক্রমণের শিকার হয়ে অসুখ ছড়াচ্ছেন। কেস বাড়লে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে।
কাজেই দয়া করে মাস্ক পরুন, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন আর হাত ধোওয়াটা ছাড়বেন না।
ভাবছেন ভ্যাক্সিন এসে গেছে? দাঁড়ান একটু, সবুর করুন, একমাসে এককোটি মানুষের ভ্যাক্সিনেশন হয়েছে তাহলে ৩০ কোটির জন্য কতদিন লাগবে? আর আপনি ৪৫ বছরের নিচে হলে এই ৩০ কোটিতেও আসছেন না কিন্তু। আর ভাইরাস দুর্বল হয়ে যাবার কোন শক্তিশালী তথ্য এখনো পাইনি।
আমার আশংকা মিথ্যা হলে সবচেয়ে খুশি হব আমি নিজে। দেড় লাখের বেশি মানুষ মারা গেছেন আর না, একে আটকান, আবার লকডাউন করতে হলে আমরা ধনেপ্রাণে মারা পরব। কাজ কর্ম ব্যবসা বাণিজ্য বজায় রাখতে হবে। সাবধান হোন।
নমস্কার,
একটা পরামর্শ দরকার ছিল। আমি ৬৫ বছর বয়সী। ২০১৭ তে CABG হয়েছে। Sugar under medication 120 /200 র কাছাকাছি থাকে। HbA1c 8 আর BP 90/130 র মতো। আমার কি vaccine নিলে কোনো problem হতে। Retired লোক ফলে বাইরে খুব কম বেরলেও চলে। বেরলেও নিজেই গাড়ি চালাই, mask পরে থাকি। একটু মতামত পেলে ভালো হতো।