করোনার সংক্রমণ, তার পরীক্ষা নিরীক্ষা আর মৃত্যুমিছিলের ব্যাপারে অন্তহীন আলোচনা, সংবাদ মাধ্যমে রংবেরং-এর বিশেষজ্ঞদের উপদেশ ও মানুষের অন্তহীন হয়রানির খবর দেখে দেখে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন? আচ্ছা এবার একটু লঘু হাস্য কৌতুক হোক!
বরিষ্ঠ চিকিৎসক ডা পৃথ্বীজিৎ ভাদুড়ি (নাম সামান্য পরিবর্তিত)-র দুই বিদুষী কন্যা বিদেশে উচ্চশিক্ষার্থে পাঠরতা। তাঁদের বিবাহের বিষয়ে কন্যাদায়গ্রস্ত (!) পিতা এক অভিনব পরিকল্পনা করেছেন।
মনে থাকতে পারে, ‘৬০ – ‘৭০-এর দশকে তীব্র খাদ্য সংকটের সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকার অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন চালু করে যাতে ৫০ থেকে ১০০ জনের মধ্যে আমন্ত্রিতের সংখ্যা সীমাবদ্ধ রাখতে হতো। আমন্ত্রণ পত্রে লেখা থাকত “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অতিথি নিয়ন্ত্রণ আইন প্রযোজ্য”।
আবার সেই যুগ ফিরে এসেছে। বর্তমান করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য ২৫ জনের বেশি আমন্ত্রিতকে আহ্বান করা যাবে না।
এই সুযোগে ☺️ বরেন্দ্র ব্রাহ্মণ ডাঃ ভাদুড়ি পরিকল্পনা করেছেন বিদেশে পাঠরতা দুই কন্যার বিবাহের খরচ কমিয়ে ফেলার। এমনিতে বিবাহ দিলে বিপুল পরিচিতির সূত্রে প্রায় ১০০০ মানুষকে আমন্ত্রণ করতে হতো। এই করোনার সুযোগে কন্যাদ্বয়ের বিবাহ দিলে অতিথি সৎকারের খরচ সীমাবদ্ধ রাখা যাবে। মাত্র ২৫ জন।
তার মধ্যে থার্মাল গান দিয়ে স্ক্রিনিং করে অন্তত ৫ জনকে বাদ দেওয়া যাবে বলে ডাঃ ভাদুড়ির আশা। সাপ ও মরলো, লাঠিও ভাঙল না। হাত জোড় করে বলে দিলেই হলো “খুবই তো ইচ্ছা ছিল ডাকার। কি করবো, করোনা যে ??”
এই নোভেল পরিকল্পনায় মাত্র দূটি বাধা।
১. বিদেশে পাঠরতা কন্যারা পিতার এই পরিকল্পনার কথা কিছুই জানে না।
২. পাত্র এখনো জোগাড় হয় নি।