আজ পয়লা বৈশাখ। দিনটা নাকি একটা শুভদিন। অবশ্য যুক্তিবাদীরা বলবেন, এসব কুসংস্কার। ঠিক আছে, তাহলে আমার একটা বিৎকুটে অভিজ্ঞতাই বলি। গতসন্ধ্যায় আমার মোবাইলটা চার্যে বসিয়ে, পাশের ঘরে বসে একটা পুরনো বাংলা বই পড়ছিলাম। মোবাইল বাজছে শুনে দেখতে গেলাম। একেবরেই অপরিচিত নম্বর, বিদেশের নম্বর, ধরলাম না। আবার কয়েক মিনিট পরে বাজলে ধরলাম। ভদ্রলোক জানালেন, আমার দেখা রুগী, এখন কয়েক হাজার মাইল দূরের একটা দেশে আছেন। চোখ লাল হয়ছে। তারপরই বললেন, আমার ছেলের সাথে কথা বলুন। ছেলে অনেক কথাই বললেন, মোদ্দাকথা, ওটা করোনা ভাইরাস থেকে হল কিনা জানতে চান। ফোনে কোন পরামর্শ দিতে পারব না ব লে শেষ করতে পারতাম। করিনি, সেটাই আমার অপরাধ। সবিনয়ে জানালাম, করোনা ভাইরাস থেকে চোখে কি হয় আমার দেখা নেই। উনি ইন্টারনেট থেকে কি জেনেছেন, আমাকে পড়াতে শুরু করলেন। আবারও বললাম, থিওরি আপনি যা জানেন, আমিও তাইজানি, এরকম কোন রুগী এখনও দেখিনি। ওনার কাছে আমার prescription আছে জেনে ওটার একটি ছবি পাঠাতে বললাম। সঙ্গে সঙ্গে পাঠালেন। সাথে চোখের দুটি ছবি। দেখেবুঝলাম, এগারোমাস আগে যা হয়েছিল, এবারেও তাই হয়েছে। আগের ওষুধই লাগাতে বললাম। পরের পনের মিনিটের মধ্যে আরও বার ছয়েক ফোন করায়, ঐ নম্বরটি ব্লক করতে বাধ্য হলাম। কলকাতার ডাক্তাররা কতোটা অভদ্র আর কসাই তবেই বুঝুন।
পুনশ্চঃ আমার এই লেখা পড়ে মুম্বইএর প্রিয়াংকা কদম জানিয়েছেন,ওনার মায়ের চোখের জন্য মুম্বই এর ডাক্তারবাবুকে ফোন করেছিলেন। সব শুনে ডাক্তারবাবু অনলাইন ফিস পাঠাতে বললেন। টাকা পাঠানোর সাথে সাথেই দুটি ওষুধ লিখে পাঠিয়েছেন। এ খবর বাঙালীবাবুদের হজম হবে কি?
বিদেশে থাকে বলে কথা।