সে অনেক অনেক দিন আগেকার কথা। তখন লোকজন ঘুম থেকে উঠেই রেডিও চালিয়ে দিত। রেডিওর তখনও ঘুম ভাঙেনি। তারপর সে কুঁউউউ আওয়াজ করে বন্দে মাতরম গাইতো। এমনই এক সময় দাদু ঠাকুমাকে বলেছিল, চলো, শুধু আমরা দুজনে কাশী বৃন্দাবন ঘুরে আসি। ঠাকুমা একটু ঘোমটা তুলে বলেছিলো, ‘মরণ, সংসার ছেড়ে আমি কী করে বেরোবো।’ হাজার বার আই লাভ ইউ বললেও এ ‘মরণ’ এর স্বাদ পাওয়া যায় না। এ যে এক সাথে থাকা, এক সাথে মরা, পরলোকেও সাথে থাকার অঙ্গীকার।
ঠাকুমার খুব ইচ্ছে ছিলো ‘এও’ মরবে, মাথায় সিঁদুর নিয়ে দাদুর সামনে দিয়ে ড্যাং ড্যাং করে যাবে। কিন্তু পরক্ষনেই বলতো আমি চলে গেলে বুড়ো একা কী করে থাকবে। এদিকে বাড়িতে চার ছেলে, চার বৌমা আর হাফ ডজন নাতি। দাদুর আবার অন্য চিন্তা। আমি আগে গেলে তোর ঠাকুমার খুব কষ্ট হবে। ও মাছ ছাড়া ভাত খেতে পারে না, আলতা পরতে খুব ভালোবাসে।
দাদু আগে গেলেন। বাবারা দাদুকে অনেক ফুল দিয়ে সাজিয়ে ছিল। ঠাকুমা একদম কাঁদেনি। দাদুর কপালে চুমু খেয়ে দাদুর বুকে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিয়েছিল। গোলাপ সেদিন কান্না হয়ে ঝরে পড়েছিল।
রোজ ডে, কিস ডে, ভ্যালেন্টাইন ডে কী কখনো আলাদা হতে পারে?