শুনেছি, আদালতে নাকি সাক্ষ্যপ্রমাণের জন্যে সোর্সের উল্লেখ তেমন জরুরী নয়। আপনার পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি খাড়া করতে যে প্রমাণ আপনি পেশ করলেন, তা আসল কিনা, মহামান্য আদালত সেটুকুই খুঁটিয়ে দেখেন – সে নথি আপনার হাতে এলো কোন পথে, তা নিয়ে মাথা ঘামানো হয় না। আদালত-টাদালত থেকে সশ্রদ্ধ ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখারই চেষ্টা করে থাকি – কাজেই, কথাটা সত্যি নাকি মিথ্যে, নিশ্চিত করে বলতে পারব না।
কিন্তু, ধরুন, ডাক্তারির ক্ষেত্রে এমন কিছু উপাদান আপনার হাতে এলো – হ্যাঁ, জরুরী উপাদান – এমনকি, মানুষের প্রাণ বাঁচানো যায়, এমন উপাদান – যে উপাদান ব্যবহারের মুহূর্তে আপনি জানলেন, তা সংগ্রহের পথটি খুব একটা সহজসরল নয়। অনেক অত্যাচার, অনেক অশ্রু, এমনকি খুনখারাপি প্রাণনাশের বিনিময়ে সংগৃহীত হয়েছে সেই তথ্যাবলী। তাহলে?
অসৎ পথে উপার্জিত সম্পদ সদুদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হলে তার দোষ কেটে যায়? নাকি, অসদুপায়ে সংগৃহীত তথ্য-উপাদান একবার নির্বিচারে ঢালাও ব্যবহৃত হতে থাকলে পথ-নয়-উদ্দেশ্যই-মূল-কথা এমন বিপজ্জনক মতবাদ চিকিৎসাবিজ্ঞানের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে – যে অনুপ্রবেশ শুরু হলে তার সীমানা বেঁধে রাখা মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়?
না, এককথায় এর উত্তর হয় না। এ এক মর্যাল ডাইলেমা – মেডিকেল এথিক্স, বায়ো-এথিক্সের ধারণার সাথে ওতপ্রোত জড়িত এই দোটানা। তত্ত্বের অত গভীরে না ঢুকে গল্পটা জেনে নেওয়া যাক তাহলে।
আগেরবার বলেছি, ডাক্তারি বইয়ের ছবি নিয়ে – গতশতকের সে ছবির এক কিংবদন্তীকে নিয়ে – ফ্র্যাঙ্ক নেটার। এই ধরনের ছবির ক্ষেত্রে নেটার নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তম হলেও, সর্বশ্রেষ্ঠ কি তিনিই? না, সংশয় আছে।
সে শিরোপার দাবীদার এডুয়ার্ড পার্নকফ – গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে জার্মানির এই চিকিৎসক তৈরী করেন তাঁর মাস্টারপিস – পার্নকফ টপোগ্রাফিক এনাটমি অফ ম্যান – বিশ্বজুড়ে চিকিৎসকরা, বিশেষত নিউরোসার্জেনরা, জটিলতম ও দুরূহ সার্জারির আগে চোখ বুলিয়ে নেন সেই চিত্রমালায়, সেই এনাটমিকাল এটলাসে – হ্যাঁ, অবশ্যই যদি হাতের কাছে পান বইটি।
আর, ওই শেষ কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ – যদি হাতের কাছে পান বইটি!! কেননা, সংশয়াতীত মাস্টারপিস হওয়া সত্ত্বেও বইটি ছাপা হয় না আর, গত শতকের নব্বইয়ের দশক থেকেই বই ছাপা বন্ধ করা হয়েছে – যে কখানা কপি রয়েছে, চোরাবাজারে বিকোয় লাখ লাখ টাজা দামে – আর, এই বিপুল দাম সত্ত্বেও, সেই বই গর্বের সাথে বুকশেলফে সাজিয়ে রাখতে চান না কেউই।
হ্যাঁ, গতশতকের তিরিশের দশকে শুরু করা এই এনাটমির অ্যাটলাসের অন্তর্গত ছবিগুলোর অন্তত পঞ্চাশ শতাংশই আঁকা হয়েছিল সেই সব দেহ দেখে, যাঁদের মৃত্যু হয়ে নাৎসিবাহিনীর অত্যাচারে। বইয়ের সংকলক এডুয়ার্ড পার্নকফ নিজে ছিলেন ঘোষিত নাৎসি – ছবির শিল্পীরা বইয়ে সই করার সময় মাঝে জুড়েছিলেন স্বস্তিক চিহ্ন – নাৎসি আনুগত্যের প্রতীক হিসেবে।
কিন্তু, ছবিগুলো? এই অ্যাটলাস? যাঁরা ব্যবহার করেছেন, তাঁদের মতে, ডিটেইলিং-এর দিক থেকে বিচার করলে, পার্নকফের এই ছবির কোনো জুড়ি নেই – এমনকি, গুণগত মানে এসব ছবির ত্রিসীমানার মধ্যে আসতে পারে, এমন তুলনীয় ছবি বা চিত্রকরও মেডিকেল ইলাস্ট্রেশনের ইতিহাসে মেলে না। আর, শুধু ডিটেইলিং-এর কথা বাদ দিলেও, ছবিগুলো শিল্পসৌকর্যের বিচারেও, শ্রেষ্ঠতম শিল্পকৃতির মধ্যে গণ্য হওয়ার যোগ্য। কিন্তু, এই শিল্পকৃতির উৎস?
১৯৩৮ সাল নাগাদ ইউনিভার্সিটি অফ ভিয়েনার যে মেডিকেল কলেজ, তার এনাটমি বিভাগ কুখ্যাত নাৎসি শাসকের সাথে বিশেষ চুক্তিতে আবদ্ধ হয় – প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত আসামীদের দেহ আসবে সেই মেডিকেল কলেজে – সেইসব মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করে এনাটমির গবেষণা চলবে। গেস্টাপোদের গুলিতে হত বা ভিয়েনার কোর্টহাউসে গিলোটিনে ছিন্নমস্তক দেহ নিয়ে আসা হবে এনাটমির শবব্যবচ্ছেদের জন্যে। আর, জার্মানির সেই ঐতিহাসিক সময়ে, আর যা কিছুরই কমতি থাক না কেন, মৃতদেহের খামতি ছিল না। অকুস্থল থেকে মেডিকেল কলেজে শব পৌঁছে দেওয়ার জন্যে ব্যবস্থা ছিল বিশেষ ট্রামের – নাম, ডেথ ট্রান্সপোর্ট।
শবব্যবচ্ছেদ ও সেই ব্যবচ্ছেদ-গবেষণা প্রকল্পের প্রধান ছিলেন পার্নকফ। অক্লান্ত পরিশ্রমের শেষেও তিনি ব্যবচ্ছেদ করে কুলিয়ে উঠতে পারতেন না – শোনা যায়, নাৎসি রমরমার সময় তিনি দিনের মধ্যে আঠারো ঘণ্টাই কাটাতেন ডিসেকশন রুমে। তবে নাৎসি আমলাদের প্রাণে মায়াদয়ার অভাব ছিল না – প্রফেসররা খুব ব্যস্ত থাকলে তাঁরা প্রাণদণ্ড স্থগিত রাখতেন – প্রফেসরদের হাত খালি হলে মৃতদেহের জোগান অব্যাহত রাখা হত।
একটি একটি করে, তেরোশরও বেশী নাৎসিদের হাতে নিহত মানুষের মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ করেন পার্নকফ, এছাড়া অন্যান্য স্বাভাবিক পথে মৃতদেহ তো আসতই – সেই বিপুল ব্যবচ্ছেদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠে তাঁর এনাটমির এটলাস – কাজেই, পার্নকফের এটলাসের তুল্য ডিটেইলিং অন্য এটলাসে পাওয়া যে মুশকিল হবে, এ নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে কি!!
আগাগোড়াই ভালো ছাত্র ছিলেন এডুয়ার্ড পার্নকফ। নাৎসিরা ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তাঁর কেরিয়ার ছিল তাকলাগানো। কিন্তু, নাৎসিদের ক্ষমতালাভের পর তিনি হয়ে ওঠেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। ১৯৩৩ সালে তিনি হলেন ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমিকাল ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর – আর, ১৯৩৮ সালে হন সমগ্র ইউনিভার্সিটির ডিন। “অনার্য” প্রফেসরদেরকে বেছে বেছে হয়রান করা – তাঁদের নামের তালিকা সরকারের ঘরে পাঠিয়ে দেওয়া – পার্নকফের উদ্যোগী কাজকারবারের ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বরখাস্ত হন অজস্র অধ্যাপক – বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষক-অধ্যাপকের তিনচতুর্থাংশ, যাঁদের মধ্যে তিনজন নোবেলজয়ী।
বইয়ের সব ছবি পার্নকফ আঁকেননি – তাঁর টিমে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই নাৎসি-ঘনিষ্ঠ – মূল দুজন শিল্পী তাঁদের স্বাক্ষরে রাখতেন নাৎসি-আনুগত্যের প্রমাণ – একজন তো সইয়ের মধ্যেই জুড়ে নিয়েছিলেন স্বস্তিকা চিহ্ন, আরেকজন নিজের সই বদলে নামের মাঝে রাখতেন নাৎসি-অত্যাচারের সাথে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত এসএস-এর নাম।
কিন্তু, ব্যক্তি পার্নকফ, তাঁর রাজনীতি, তাঁর কলঙ্কিত অতীত এসব যদি সরিয়ে রাখি? যদি ভুলে যেতে পারি পার্নকফের এটলাসের ছবিগুলো আদতে কোন পথে আসা মৃতদেহের ব্যবচ্ছেদ? তাহলে?
অতি সম্প্রতি এক বিশ্বখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ততোধিক খ্যাত মেডিকেল স্কুলের নিউরোসার্জেন বলছিলেন নিজের অভিজ্ঞতা। একজন রোগী, বহুদিন ধরে ভুগছেন অসহ্য পায়ের যন্ত্রণায়। যন্ত্রণার উপশম হাজার চেষ্টাতেও হতে পারছে না – কোনো পরীক্ষানিরীক্ষাতেই যন্ত্রণার মূলটি কোথায়, ধরা যাচ্ছে না। অনুমান করা যাচ্ছে, কোনো একটি নার্ভের কোনো এক সূক্ষ্ম, সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম শাখা সমস্যার কারণ – কিন্তু, শাখাটির দিশা মিলছে না কোনোপথেই। শেষমেশ ঠিক হল, অনুমানের ভিত্তিতেই অপারেশন করা হবে – খুলে দেখা হবে, যদি কোনোভাবে খোঁজ মেলে। অপারেশনের আগের দিন, যন্ত্রণাক্লিষ্ট রোগী চিকিৎসকের হাত জড়িয়ে ধরে বললেন, যদি সেই নার্ভের সন্ধান মেলে, বেশ কথা – আর যদি না মেলে, তাহলে সার্জেন যেন দয়া করে পুরো পাটিই বাদ দিয়ে দেন – এই যন্ত্রণা সয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব। বলা সহজ – কিন্তু, সে কাজ চিকিৎসকের পক্ষে করা তো সহজ নয়। তাহলে?
নিউরোসার্জেন ফিরে এলেন নিজের ঘরে। এই রোগীর জন্যে অনেক বই ঘেঁটেছেন তিনি – অনেক সময় ব্যয় করেছেন লাইব্রেরিতে। দিশা মেলে নি কিছু। অতএব, শেষ চান্স – তালাবন্ধ লকার থেকে বের করলেন পার্নকফের কুখ্যাত এটলাস। দমচাপা উত্তেজনায় খুঁজতে শুরু করলেন – বেশী সময় লাগল না – এই তো – এই তো ছবিতে নার্ভের শাখাপ্রশাখা দেখানো রয়েছে – এই তো, এই ছোট্ট বেকায়দা শাখাটিই সব ঝামেলার গোড়ায়।
পরদিন সকাল। অপারেশন থিয়েটার। চমৎকৃত সার্জেন নিজের চোখকেই প্রায় বিশ্বাস করতে পারছেন না!! তাঁর সামনে যা রয়েছে, সে কি জীবন্ত কোনো শরীরের অংশ, নাকি পার্নকফের ছবির প্রতিফলন!! একটি নার্ভের ছোট্ট একটি শাখা বাদ দেওয়া – অপারেশন শেষ হতে বেশী সময় লাগল না। যন্ত্রণামুক্ত রোগীর হাসপাতাল থেকে ছুটিও পেতেও দেরী হল না।
না, গল্পটা বানানো নয়। চমৎকৃত নিউরোসার্জেন নিজেই বলছিলেন, পার্নকফের এটলাস ছাড়া কাজটা মোটেই সহজ ছিল না – হয়ত পা বাদ দেওয়া ছাড়া পথই থাকত না। অপারেশনের আগে, শরীরের ভেতরে ঠিক কীসের দেখা পাওয়া যেতে পারে, কী কী ভেরিয়েশন থাকতে পারে, তার আন্দাজ পাওয়া জরুরী (বিশ্বাস করুন, শরীরের বাইরেটা যেমন, প্রতিটি মানুষের শরীরের ভিতরটাও ততোখানিই ভিন্ন আরেকজন মানুষের চাইতে) – সেই সমস্ত প্রকারভেদের ছবি যে অবিশ্বাস্য নথি রেখে গিয়েছেন পার্নকফ, তার কোনো জুড়ি নেই।
অবশ্য, সেটাই প্রত্যাশিত। কেননা, মৃতদেহের এমন অঢেল জোগানের বন্দোবস্ত পার্নকফের মতো আর কে-ই বা করতে পেরেছিলেন!!!
তাহলে, পার্নকফের এটলাস কি ব্যবহার করা উচিত? যদি সেই অসামান্য ডিটেইলস কাজে লাগিয়ে যন্ত্রণাক্লিষ্ট মানুষের উপশম হয়, তাহলেও? নাৎসিদের হাতে যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেইসব মানুষের প্রাণের দামে যদি এ যুগের কারো উপশম হয়, তাহলে কি সেই নিহত মানুষগুলোর জীবনদান একটা বিশেষ মর্যাদা পেতে পারে? (না, স্রেফ পার্নকফ ব্যবচ্ছেদ করবেন বলেই কোনো মানুষ নিহত হয়েছেন, এমন প্রমাণ নেই, তবুও)।
আবার, উল্টোদিকে, বর্তমানে উপকারে লাগার যুক্তিতে যদি কলঙ্কিত পথে অর্জিত উপাদান ব্যবহারযোগ্য বলে মেনে নেওয়া হয় – তাহলে, কোনো এক জায়গায় এডুয়ার্ড পার্নকফ ভ্যালিডিটি পেয়ে যান – কোনো এক জায়গায় নাৎসি শাসকদের সাথে হাত মিলিয়ে যে ডাক্তাররা অত্যাচারীদের অংশ হয়েছিলেন, চিকিৎসকের কর্তব্য থেকে বিচ্যুত হয়েছিলেন – না, শুধু বিচ্যুতি নয়, চিকিৎসকের দায় তো বটেই, এমনকি মনুষ্যত্বের দায়ের বিপ্রতীপে গিয়েছিলেন – পার্নকফের মানবদেহের মানচিত্রকে মেনে নিলে, সম্ভবত, তাঁরাও মান্যতা পেয়ে যান।
এক কথায় সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সহজ কাজ নয়। তথ্য-উপাদানই শেষ কথা নয় – কোন পথে, কী উপায়ে পাওয়া গেল সেই তথ্য, সে-ও তো সমান বিচার্য। অন্তত, চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতো বিষয়ে তো বটেই।
পথ বা উপায়ের কথা বিবেচনা না করে, শুধু উদ্দেশ্যটুকুই বিচার্য হলে শেষমেশ কখনও, হয়ত, কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের উপর চালানো টাস্কেগি ট্রায়ালের মতো ঘটনাও মান্যতা পেতে থাকবে। তাই না?
টাস্কেগি ট্রায়াল? ও আচ্ছা, সে নিয়ে আলোচনা না হয় পরের দিন হবে।
আলোকিত হৈ । বিষাণের লেখার জন্য বসে থাকা সার্থক । এ্যাতো পড়া এ্যাতো জানা – এ্যাতো সুন্দর লেখনী । চমৎকৃত হলাম ।
ঠিক উল্টো!!
চিকিৎসকজীবন আর ব্যক্তিজীবন আর সেসব অভিজ্ঞতা খুঁড়ে তোমার মতো যদি লিখতে পারতাম, তাহলে গর্বিত হতাম।
সিরিয়াসলি বললাম, দাদা। প্রণাম আর ভালোবাসা নিও।
ভীষণ ভালো লাগলো
ধন্যবাদ, আশিসদা।
অনেক অনেএক ভালোবাসা রইল…
চমৎকার লেখা! সুন্দর।
সবার জানা যা এখন হেক্সট কোম্পানি এর আদি কোম্পানি তাদের সেসময়কার বেশির ভাগ ওষুধের ট্রায়াল দেয়া হয়েছিল হতভাগ্য বন্দীদের ওপরে। এবং তাদের মৃত্যু ঘটিয়ে। এমনকি মাস্টার্ড গ্যাসও এ কোম্পানি জোগান দিত। নাৎসিদের ফান্ডের বড়ো সোর্স ছিল এই কোম্পানি।
হ্যাঁ, জয়ন্তদা, নাৎসি আমলে চিকিৎসার এক্সপেরিমেন্ট, রাষ্ট্র আর কর্পোরেট মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছিল। সে এক ভয়াবহ ইতিহাস।
দুর্দান্ত হয়েছে বিষেণদা…. মেডিক্যাল সায়েন্স এ গল্প হলেও সত্যি কাহিনী থাকতে পারে !
ঠিকই।
কিছু কিছু সকাল থাকে, যা রাতের চেয়েও অন্ধকার…
darun laglo
অনেক অনেএএএক ধন্যবাদ…
ভালো লাগলো ডাক্তার বাবু। ন্যায়-অন্যায় এর বৈপরীত্য এমন উপজিব্য রচনায় দুরত্ব কমিয়ে যেন বন্ধু হয়ে উঠেছে।
ধন্যবাদ।
অনেক ভালোবাসা….
dada ami just sihorito
হ্যাঁ, গায়ে কাঁটা লাগিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা…
চমৎকার।
নৈতিকতার সংকট, অথবা সংকটের নৈতিকতা।
ঠিকই।
ঐন্দ্রিল, তুই নিজেও জানিস না, তোর লেখনিকে আমি ঠিক কতখানি সম্মানের চোখে দেখি। কাজেই, তোর কাছ থেকে পাওয়া তারিফের গুরুত্বই আলাদা।
হ্যাঁ, অবশ্যই লেখার চেষ্টা করব। কিন্তু, তার জন্যে লম্বা প্রস্তুতি জরুরী। পুণ্যদা হপ্তায় একখানা করে লেখার দাবী জানিয়ে রেখেছেন – ওই লোকটার কথা ফেলতে পারার ক্ষমতা আমার নেই। অতএব, লিখতে তো হবেই। মেডিকেল ইলাস্ট্রেশন নিয়ে হয়ত আরো একটা কি দুটো পর্ব – তার মধ্যেই আবার অন্য একটা বিষয় নিয়ে তিনটে পর্ব, যেগুলো সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হবে – তার মধ্যেই ওই নাৎসি আমলটা গোছাতে হবে। দেখা যাক, পেরে উঠি কিনা।
অসাধারণ স্যার। চিকিৎসা শাস্ত্রের ইতিহাসের এই অধ্যায় গুলো কখনো পড়িনি। আপনি আরো এরম লেখা লিখুন যা দেখে আমরা আরো জানতে পারবো। শুনেছিলাম এই সময় নাকি সাইকিয়াট্রি খুব ডেভেলপ করেছিলো। সেই সম্বন্ধেও যদি কিছু লেখেন স্যার।
I like the valuable information you provide in your articles.
I learn something new and challenging on blogs I stumbleupon everyday.