তিন চার বা ছয়মাস পরে,
আমাদের প্রত্যেকের কাছে কয়েকটা ভাইরাসের গল্প থাকবে।
ভয়ে পালানোর গল্প,
আতঙ্কে ভুল বোঝার গল্প,
বন্ধুকে দুঃসময়ে হাত না বাড়ানোর গল্প
এবং দুর্বিনীত মৃত্যুর অকস্মাৎ শিকারের গল্পগুলোর পাশাপাশি সেখানে থাকবে,
রুখে দাঁড়ানোর গল্প,
অচেনাকে সাহায্য করার গল্প,
সেবা ও ভরসা জোগানোর গল্প ,
কারো অবিশ্বাস্য ভাবে ফিরে আসার গল্প।
তুমি ও আমি কোন গল্পে কি চরিত্রে থাকবো,
সেটাও কিন্তু ঠিক করতে হবে এই তিন চার বা ছয়মাসেই।
এ যুদ্ধে শহীদ হবে কম লোকই,
কটা দিন সীমান্তে কাটিয়ে,
শতকরা নিরানব্বই ভাগ বাড়ি ফিরে আসবে ‘জিতে গেছি’ বলে।
কিন্তু যে গেছে আর যে এলো ফেরত,
সে দুটো মানুষ এক হবে না কখনো।
চেনা পাড়ার অচিন বিরোধিতা,
ভরসা করা মানুষগুলোর আতঙ্কিত অসহযোগ,
অস্পৃশ্যতার নতুন সংজ্ঞায় পরিজনদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ফতোয়াগুলোর সাথে,
তার অভিজ্ঞতায় থাকবে
‘ভালো হয়ে যাবে’ বলে রোজ আসা ফোনকল,
আপাদমস্তক আবৃত মানুষজনের গ্লাভস পরা ভরসার ছোঁয়া,
আধাচেনা ক্লাবের ছেলেদের সংসার চালাতে অযাচিত সাহায্য।
এই সব মিলে মিশে,
সমস্ত জ্বরফেরত সৈনিক অন্যতর মানুষ হবে, পরিস্থিতির বিচারে।
সন্দিহান স্বার্থপর অথবা অসময়ে সাহায্যকারী,
আগামীতে কোন মানুষের সুমারি বাড়বে,
সেটা ঠিক হবে আগামী তিন চার বা ছয়মাসে।
নিজের চাইলে ভালো দাঁড়াও এখন এসে মানুষের পাশে।