‘ডাক্তার অমুকের হাত বড় ভালো। আমাকে বাঁচিয়েছেন মৃত্যুর থেকে।
ফেটেছে অ্যাপেন্ডিক্স, খুব জ্বর, তার ওপরে হার্ট ও সুগার, মরে যাবো বলেছিলো যে কজন দেখেছিলো তারা প্রত্যেকে।
শুধুই বাঁচিয়ে দিলেন ডাক্তার অমুক,
ভগবান বললে মুখের সামনে আজও ভাসে তার মুখ।’
‘এই নামে নামকরা সার্জেন শুনিনি তো?
বলে দাও কোথায় বসেন, জানাটা উচিতও।
কি জানি কখন লাগে শরীরে জটিল কোনো অস্ত্রোপচার..’
‘উনি সার্জেন নন। সার্জেনও ছিলেন ভারী দক্ষ বটে, তবু ইনি ধরেননি ছুরি।
প্রাণ বাঁচানোর বাহাদুরি একা শল্যের নয়, সকলের এই কথা বোঝা দরকার।’
‘বললে যে অ্যপেন্ডিক্স হলো দুমফট?
সে তো জানি ভয়াবহ প্রাণসংকট,
নিপুণ শল্য ছাড়া কেউ বাঁচে না।
সেইখানে তুমি অন্য কাউকে তার কৃতিত্ব দাও, ব্যাপারটা কেন যেন ঠিক লাগছে না।’
‘তিনশো সুগার আর দুর্বল হার্ট,
সেখানে চালাবে ছুরি অতটা ওভারস্মার্ট
সার্জেন নন এই কালে।
হালে পানি পাওয়া মুশকিল, অথচ শল্য জরুরী, সেই গোলমালে
এসে দাঁড়ালেন ডাক্তার অমুক।
বিশ্লেষণ করে নিয়ে তাবত অসুখ,
তিনি দেখালেন দিশা ।কিভাবে অসাড় করে সার্জারি হতে পারে হার্টকে বাঁচিয়ে,
সব তিনি সামলালে তবে সার্জেন এলো শল্যে এগিয়ে।
সার্জারি চলাকালে তিনি দেখভাল করে চালু রেখে দেন দেহ,
তারপরে কি ওষুধ সামলাবে অসুখ ও ক্ষত, বলে দেন সে ও।
সার্জেন ভালো ছিলো সন্দেহ নেই,
তবুও বাঁচাবার কৃতিত্ব বারোআনা আমি দেবো সেই অজ্ঞানডাক্তারকেই।’
‘তবে কেন নাম তার কোনোখানে দেখিইনা ভায়া, আতিপাতি খুঁজলেও ড্ক্টরলিস্ট?’
‘এ পোড়ার দেশে আসল লোকেরা সব ব্রাত্যই থাকে, যেমন শল্য হলে অ্যানাস্থেটিস্ট।’