‘আমাদের কোনো কম্যুনিটি ট্রান্সমিশন হয়নি’
প্রায় সাড়ে তিনমাস ধরে আই সি এম আর এই বার্তাটি কপি পেস্ট করে চলেছেন।
এই সাড়ে তিন মাসে, সাড়ে আট লাখ ছুঁয়েছে সংক্রমণের সংখ্যা,
আর এক অঞ্চল থেকে অন্য অঞ্চলে ভ্রমণ পরিবহনের অভাবে প্রায় সংখ্যাহীন।
তবু, সিনেমার হিরো থেকে ঘরে জিরোনো পঙ্গু বৃদ্ধ,
রোজ বেরোনো স্বাস্থ্যকর্মীর থেকে কখনো না বেরোনো পড়ুয়া কিশোর,
বাজারুর থেকে মুঠোফোননেশাড়ু,
ওয়ার্ক ফ্রম হোম থেকে ওয়াক ফর হোম,
সমস্ত স্তরে আজ ভাইরাস ছড়িয়েছে, ছড়াচ্ছে, ছড়াবে।
কে জানে, কম্যুনিটি সংজ্ঞাতে এই সব মানুষেরা পুরো বাদ নাকি।
‘সকলের মাস্ক পরা চাই!’ হুংকার দিলেন রাজনীতি ‘রুমাল হোক বা গামছা, মুখ ঢাকা চাই’
সে কি! চমকে মাথা চুলকে বললেন ভাইরোলজিস্ট,
‘ইয়ে মানে কাপড়ে তো ভাইরাস..’
তাঁকে কথা শেষ না করতে দিয়েই সমর্থকের দল নেতার নামে জয়ধ্বনি করে উঠলো।
সেই থেকে,
বাহারের মাস্ক, বাটিকের মাস্ক, কারুকার্য করা মাস্ক,
সাইকেলে বিক্রি করা মাস্ক, ফ্যাশনের দামী মাস্কে বাজার ছেয়ে গেছে,
যাদের কোনোটারই ভাইরাস আটকানোর যোগ্যতা নেই।
মাস্ক ঠিক ভাবে পরার সাথে ঠিক মাস্ক পরাটা জরুরি,
সেই সারসত্য এড়িয়ে গেলে রাজনীতি দায়মুক্ত হলেও,
ভাইরাস তার লক্ষ্য থেকে সরে না।
কোভিডের চিকিৎসার নামে ‘হরেকরকমবা’ চলছে চারদিকে।
কেউ বেচছেন কোভিড প্যাকেজ, কেউ ‘ঘরে বসে করোনানির্ধারক পদ্ধতি’,
কেউ ইম্যুনিটি বাড়াবার ভুয়ো দাবীর জরিবুটি।
ডুবন্ত লোকের কুটো আঁকড়ানোর মতো লোকে সেগুলো ধরে বাঁচতে চাইছে,
আতঙ্ক সবাইকে ভুলিয়ে দিয়েছে, সঠিক মাস্ক ও হাতে সাবান ছাড়া করোনার কোনো প্রতিষেধক নেই,
আর শতকরা পচানব্বই ভাগের প্যারাসিটামল ছাড়া সেরে উঠতে কোনো ওষুধ লাগে না।
বাকি পাঁচভাগ, এতকাল ধরে রাষ্ট্রের সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে ধর্ষণের পাপে,
হয় সর্বস্বান্ত হবেন, অথবা প্রাণ হারাবেন,
এ আমাদের গণতান্ত্রিক প্রায়শ্চিত্ত।
রাষ্ট্র বলবেন না, রাজনীতি বলবেন না দায় এড়াতে।
বিজ্ঞানী বলবেন না চাকরি বাঁচাতে,
ডাক্তারও বলবেন না , কারণ তাঁর কথা কোনোদিনই কেউ শোনেনা।
অগত্যা পরিস্থিতির কথা এক অকবিই বলে গেলো।
শুনছেন? আপনাকে বলছি…
সঠিক মাসিক নিয়ে বিশদে বলুন।?