১)
দুপুরটা একদম নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। ছেলেটার অনলাইন ক্লাস চলছে তো, হোয়্যাটসঅ্যাপ গ্রুপে হোমওয়ার্ক, প্রজেক্ট আপডেট সবই চলছে– থ্রি হবে, এতোদিন পড়ার অভ্যেস নষ্ট হলে মুশকিল..
ইসকুল বন্ধ, ছেলেটার দুপুরের খাবারটাও এখন জোগাড় করতে হবে…
২)
ফ্লাইট চালু হলে সব স্টেবল হলে, একটা হাওয়া বদল মাস্ট। যা গেল করোনা-আমফান….হাঁফিয়ে উঠলাম।
দোকানপাট খুলবে বলছে এবার, কিন্তু দোকানটাই তো ঝড়ে হাওয়া।
৩)
কস্ট কাটিং করতেই হবে, না হলে প্রজেক্টটা দাঁড় করানো যাবে না। তোমার টিমের সাইজ ছোট করতে হবে।
রেড জোন না কি বলে, দুটো কাজের বাড়ি নাকি সেখানে ছিল, তাই ওদিকে রান্নার বাড়ির কাজটা গেলো। এদিকে এরাও ছাড়িয়ে দিলো….বাচ্চাকাচ্চার ঘর, করোনার আগে খিদেয় মারবে।
৪)
বুঝলে গিন্নি তোমার পেনশনের টাকায় আমাদের দুজনের ঠিক চলে যাবে, আমারটা ঝড়ের রিলিফ ফান্ড-এ দিয়ে দি। তুমি কি বলো?
সবই তো খুলে গেলো, ডাক্তারবাবু আর আর কদিন বাড়িতে লুকিয়ে থাকবে?
উনি তো গত চারদিন সুন্দরবনে ক্যাম্পে গেছেন।
শেষ ভালো যার সব ভালো তার।