একটা স্টুডেন্ট সংগঠন “প্রতিবাদ” করছে – যারা পুলিশের ভূমিকায় খুশি, যাদের অ্যাডমিনিস্ট্রেশনার বিরুদ্ধে কোনো ক্ষোভ নেই, যারা সন্দীপ ঘোষ মহাশয়কে পারলে পুজোটুজো করেন, আবার তারা অন্য কাউকে কলেজে ঢুকতে দিতেও চান না, কারণ তারাই “প্রতিবাদ” করবেন।
খুবই হাসিখুশি প্রতিবাদ।
সবচেয়ে খারাপ লাগে এরা একটা “ছাত্র সংগঠন”, আঠারো বছর বয়স যদি এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে না উঠে, সবকিছু আড়াল করতে লেগে যায় তখন বোঝা যায় সমাজটা ঠিক কতোটা পচেছে।
ভাই-বোন, আমার উত্তরসূরীরা, বাড়ি ফিরে নিজেদের একটু প্রশ্ন করিস, ঘরে আয়না থাকলে আয়নায় নিজেদের দেখিস – দেখিস তো তোদের নিজেদের মানুষ মনে হয় কি?
যে মেয়েটার সাথে ঘটনটা ঘটলো তাঁর জায়গায় একবার নিজেকে, নিজের প্ৰিয় বান্ধবীকে, নিজের প্রেমিকা, বউ, দিদি, বোনকে বসিয়ে দেখিস। এরপরেও যদি তোদের লজ্জা না হয়, ঘেন্না না হয়, আতঙ্ক না হয় তবে তোরা মানুষ না, ডাক্তার কি হবি!