কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট অর্থাৎ হঠাৎ করে হৃদযন্ত্র বন্ধ হলে ১০০ জনের মধ্যে বাঁচেন ৬ থেকে ৮ জন। বাইরে থেকে বুকে লাগাতার চাপ দিয়ে হার্টকে সচল করার চেষ্টা করলে শতকরা ২৩ জন প্রাণে বাঁচেন। কিন্তু কে রোগীর বুকে চাপ দেবেন। ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ১২ জনের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয় হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে ডাক্তার বা প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। বাকি ৮৮ জনের হয় বাড়িতে রাস্তায় ঘাটে বা কর্মস্থলে। সেখানে কে রোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করবেন?
এই পরিস্থিতিতেই bystander CPR এর প্রয়োজন। গত ১৬ ই অক্টোবর ছিল World Restart a Heart 💗 Day, সেই দিনটিকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে chest compression only CPR কে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ নেয় কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়। পশ্চিমবঙ্গে এই উদ্যোগে যুক্ত হয় শ্রমজীবী স্বাস্থ্য উদ্যোগ ও স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণ।
কেবল একদিন নয়। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে এরা CPR শেখানোর প্রয়াস চালাচ্ছেন। ২২ ই অক্টোবর শেখানো হয় বারাসতের একটি স্কুলে, ১৩ই অক্টোবর জলপাইগুড়ি ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন ও পূর্ব মেদিনীপুরের পাটনায় নর্মান বেথুন জনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে, ১৪ই অক্টোবর প্রশিক্ষণ হয় মাথাভাঙ্গার যুক্তিসংগত চিকিৎসা শিবিরে। ১৬ই অক্টোবর রামরাজাতলার অভিজিৎ মিত্র মেমোরিয়াল চেরিটেবল সোসাইটি ও চাকদহের অনুভব সংস্থায় প্রশিক্ষণ হয়। ১৭ই অক্টোবর উপস্থিত রোগী ও তার পরিজনদের chest compression only CPR শেখানো হলো বারাসাত সিটিজেন্স ফোরাম ও চেঙ্গাইলের শ্রমিক কৃষক মৈত্রী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ২০ তারিখ শেখানো হবে বসিরহাটে স্বাস্থ্য শিক্ষা নির্মাণের একটি সচেতনতা শিবিরে।