এসে গেছে ভ্যাক্সিন,
এই বারে দ্যাখ সিন,
ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলে পালাবেই ভাইরাস
দুটো ইঞ্জেকশনে,
ভরসা ফেরাবে মনে,
স্মৃতি হয়ে যাবে এই মুখোশের ছাইপাশ।
খবর আসছে ওই,
ভ্যাক্সিন যায় কই,
পৌঁছালো কত লাখ কোন কোন নগরে
নেতাদের মুখে হাসি
এসো এসো পুরবাসী
মিডিয়া পেটান ঢ্যাড়া শত ঢোল ডগরে।
যদিও যায়নি জানা,
টিকার মুন্সিয়ানা,
কত শতাংশ সেটা কাজ করে করোনায়
তবুও অপেক্ষাতে,
কবে টিকা আসে হাতে,
ডুবন্ত মানুষ যে আঁকড়াতে খড়ও চায়।
বলতে জয় শ্রীরাম
গররাজি ঘাস বাম,
আর যারা ময়দানে গেরুয়ার বৈরী,
সিরাম ইস্টিটিউট,
এ লড়াইয়ে রংরুট
হাঁকতে ‘জয় সিরাম’ গোটা দেশ তৈরী।
তবুও অবিজ্ঞান ,
থামিয়েছে টিকাদান
দিনক্ষণ বদলেছে জ্যোতিষের ভ্রান্তি,
ভ্যাক্সিন আছে হাতে
আসে যায় কি তাতে,
দেওয়া শুরু হবে হলে শেষ সংক্রান্তি।
আজ দিলে চীন হানা
টেনে নিয়ে পাঁজিখানা,
বাহিনী দেখবে বুঝি অশ্লেষা মঘাকে,
বোঝেননা কর্তারা
পজিটিভ হয় যারা
আসলে দেখায় তারা হিমবাহ ডগাকে।
এসময়ে জমায়েতে
সহজেই ফাঁদ পেতে
কোভিড শিকার ধরে ভালো করে গুছিয়ে
মেলা স্নান ইত্যাদি
গাছে না উঠতে কাঁদি
করোনার কাছে সেটা ছড়াবার সূচি হে।
ভিড়ে ভ্যাক্সিন দিলে
দুই পাখি এক ঢিলে
বেশি লোক পেতো আর আটকাতো জ্বরটাও,
তিথিতে আটকে রেখে,
জনতাকে বলা ডেকে
জীবাণু শরীরে নিয়ে যার যার ঘর যাও।
এতটা পেরিয়ে বাধা
ভ্যাক্সিন আসে দাদা,
পেয়ে গেলে নিয়ে নিয়ো পড়ে পাওয়া সুযোগে
তবুও ভুলো না মাস্ক
সাবানের হোমটাস্ক,
যতদিন গোটা দেশ ভোগে এই কু-রোগে।
একটা ব্যাপার আর
দেখে রাখা দরকার
নেওয়ার গরজ মোটে কেন নেই নেতাদের,
এই দেশে সবকিছু
খরচ তাঁদের পিছু
ভ্যাক্সিন নিতে বাধা দেয় আজ কে তাদের।
জনগণ গিনিপিগ
নিলে আগে তারা নিক
আশা করি কেউ নেই এরকম চিন্তার
এম পি ও এম এল এ কে,
টিকাদানে আগে রেখে
আছেন সবার সাথে পরিচয় দিন তার।
তা নইলে সে ঘটনা হবে বড় নিন্দার।