আজ সিতং এর আশপাশ ঘুরে দেখলাম।
প্রথমেই গেলাম অহলদাড়া ভিউ পয়েন্টে। এটা সিতং এর সবচেয়ে উঁচু স্থান, যেখান থেকে প্রায় ৩৬০° দেখা যায়।
গাড়ি নীচেই থেমে যায়। অনেকটা হেঁটে উঠতে হয়। তবে উপরে ওঠার পরিশ্রম সার্থক। বহু নীচে এঁকে বেঁকে চলেছে তিস্তা নদী। তিস্তা নদীর গতি পথের অনেকটাই এখান থেকে দেখা যায়। উপত্যকায় মেঘ রৌদ্রের যুদ্ধ চলেছে। আর চার পাশের উঁচু উঁচু পাহাড়গুলো ঝুঁকে নিজেদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করছে।
এখানে চারদিকে সিনকোনা আর চা গাছের বাগান। অহলদাড়ায় হোম স্টে আছে। তাবু খাটিয়েও থাকার ব্যবস্থা আছে৷
এরপর গেলাম নামথাং লেকে৷ লেকে একফোঁটা জল নেই। এই লেকটি জনসাধারণের জন্য বন্ধ। কারণ এখানে একাধিক বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির সালামান্ডার পাওয়া যায়। সালামান্ডার একটি উভচর প্রাণী। অনেকটা আমাদের তক্ষকের মতো। তবে পাশের পাইন গাছের জঙ্গলে দিব্যি ঘোরা যায়।
সেখান থেকে লেপচা মনাস্ট্রিতে। পাহাড়ের কোলে কিছু সমাধি, আর পুরাতন একটা মনাস্ট্রি। বুদ্ধদেব অহিংসার বাণী প্রচার করেছেন। কিন্তু এখানকার মনাস্ট্রিগুলির দেওয়ালে এতো বীভৎস দেবদেবীর মূর্তি আঁকা থাকে কেন কে জানে? মন্দিরের বিভিন্ন জায়গায় রাক্ষসের মুখোশ টানানো। ধর্ম সম্পর্কে আমার জ্ঞান শূন্য। ধর্মগ্রন্থ বলতে আমি ‘হ্যারিসন’ কে বুঝি।
তারপর পাহাড়ি রাস্তায় অনেকটা উঠে মালদিরাম চা বাগান। সেখানে মেঘ ভাসতে ভাসতে একেবারে গায়ের উপর উঠে পড়ছে। চা বাগানে এক প্রস্থ ফোটো তুলে সোজা আমাদের হোম স্টে-তে।